Friday, April 30, 2010

বুড়ো বয়সের ভীমরতি!


বুড়ো বয়সে ভীমরতি বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে। এর মধ্যে অনেক মতবাদ থাকলে থাকতে পারে। তবে আমি দুটো জিনিসের মধ্যেই বিশ্বাসী। তার আগে একটা ঘটনার কথা উল্লেখ করে নিই।

আমাদের এলাকায় এক বুড়ো মানুষ আছেন। তিনি আবার সম্প্রতি হজ্ব করেছেন। তাঁর তিন ছেলে এক মেয়ে। ছোট ছেলে বাদে সবাই বিবাহিত। এবং সব ঘরেই নাতি-পুতি আছে।
দেশের বাড়ি বরিশাল। এলাকার ছেলেরা দেখলে সালাম দেয়,সম্ভবত হাজ্বি মানুষ বলে। দেড় মাসের বেশী হয়েছে তাঁর স্ত্রী মারা গেছেন। যেদিন তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হয় সেদিন তিনি হাসপাতালে স্ত্রীর শীয়রের পাশে বসে রয়েছেন।
যেই মূহুর্তে তিনি শুনতে পেলেন যে তাঁর স্ত্রী আর ইহদুনিয়ায় নেই,তখনি তিনি মূর্ছা গেলেন। ডাক্তার লাশ ফেলে আগে বৃদ্ধর সেবা করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়লেন।
কিন্তু তিনি তখন করুণ সুরে বিলাপ করে চলছেন,
-ওরে মোর খোদেজা, মোরে হালাইয়া তুই গেলি গা উরফের দিকে। মুই কি দোষ করছিলাম? ওই সাদেক ভূইয়ারে(খোদেজা বেগমের পিতা) মুই খারা কইরা বরিশালের ক্ষেতের ভিত্রে পুইত্যা না আইছি, তো মোর নাম ইকবাল খন্দকার না!
এভাবে চলল একটানা সাত-আট দিন কান্নাকাটি। তাঁকে দেখেই মনে হত যেন তাঁর দেহ হতে আত্না বেরিয়ে গেছে। প্রায় সময়ই “ও আমার খোদেজা” বলে হাউমাউ করে কেঁদে উঠতেন।
তারপর হঠাৎ দীর্ঘ দুই মাস তাঁর দেখা নেই। এ সময় তিনি কোথায় আছেন কিংবা কি করছেন তা সম্পূর্ণ ভুলে গেলাম।
নিজেদের নিয়েই কুল পাই না,আবার অন্য মানুষের ব্যপারে খোজ-খবর নিব!
হঠাৎ একদিন সন্ধ্যার সময় একটি মাইক্রোবাস এসে আমরা যে বিল্ডিং-এ থাকি তার সামনে এসে দাঁড়াল। মানুষজন বাইরে তেমন একটা নেই। আমি বারান্দা হতে বাইরে উকি দিয়ে দেখি সেই ইকবাল সাহেব নামছেন। তারপর যিনি নামলেন তাকে দেখে আমার ভুরু কুঁচকে উঠল। একজন বয়স্ক মহিলা,নববিবাহীতার ন্যায় লাল শাড়ি পরিহিতা।
পাশের বাড়ির এক আন্টি তখন ব্যপার দেখে ইকবাল সাহেবের কাছে এগিয়ে গেলেন। ইকবাল সাহেবের মুখে তখন বিস্তৃত চওড়া হাসি। সেই অবস্থায় তিনি সেই লাল শাড়ি পরিহিতাকে দেখিয়ে বললেন,
-আমার স্ত্রী।
ঘটনা আপাতত এখানেই শেষ। এরপর বলতে গেলে তাঁদের পারিবারিক জীবনের ঠুয়াঠুয়ির গল্প বলতে হবে যা কেমন হতে পারে সবাই জানে।
এ কাহিণীটা বলার উদ্দেশ্য হল যে বুড়ো বয়সে লোকে কেন বিয়ে করে। এর পক্ষে অনেকগুলো কারণ আছে।
যেমন হল এই একটি। স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে শেষ সময়ে বৃদ্ধরা নিজেদের অসহায় মনে করেন। স্ত্রী পাশে থাকলে অন্তত সুখ-দুঃখের ভাগীদার হিসেবে একজন পাওয়া যায়।
এছাড়া আমি আরেকটি ঘটনা শুনেছি। তার বর্ণনা দিতে গেলে কারেন্ট চলে যাবে। তাই সংক্ষিপ্তভাবে বলছি।
বৃদ্ধ নিজের স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে বাসার কাজের মেয়ের সাথে মধ্যরাতের তান্ডবলীলায় লিপ্ত হতেন।
এর কারণ লোভ কিংবা যৌনস্বাদহীনতা যাই হোক না কেন এটাকে কেউ কিন্তু বয়সের দোষ বলতে পারবেন না।
বয়স বাড়ার পর মানুষের মনের অবচেতন একটা অংশের উপর মানুষের কোন নিয়ন্ত্রন থাকে না। এ কারণে দেখবেন অনেক বৃদ্ধ লোক স্থান-কাল-পাত্র বিবেচনায় না এনে যেখানে-সেখানে লুঙ্গি উঁচিয়ে লোকের সামনেই হয়তো বা রাস্তার মধ্যে পেশাব করে দিচ্ছেন।
এ একপ্রকার শিশুসুলভ আচরণ। এ নিয়ে হাসার কিছু নেই। আজ হতে ষাট(৬০) বছর পর (যদি আপনি আমি বেঁচে থাকি) তাহলে যে এরকমটাই ঘটবে না তা কি কেউ বলতে পারবে?
আমার মাঝে মাঝে মানুষকে প্রচন্ড ভালবাসতে ইচ্ছে করে। কিন্তু যখন আমি পৃথিবীর এই অসম্ভব নিষ্টূরতা দেখি তখন মনে হয় মানুষ হল পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ জাতি।
আমি চোখ বুজলেই দেখতে পাই যাদের সাথে আমার দেখা হয়,কথা হয়, কিংবা ব্লগিং হয় তারা আমার পাশে। আমরা একই মাঠ,হয়তো বা হাশরের মাঠে দাঁড়িয়ে আছি।


ভিজিট করুন http://www.blogvoice.tk
রাজনীতি,হলিউড কিংবা বলিউডের খবর জানতে চান? আজই ভিজিট করুন http://foulgossip.blogspot.com
আপনার লেখাটিও পাঠিয়ে দিন- arafat_bd@ymail.com

টয়লেটে বসে বিদ্যুৎ উৎপাদন করুন+টাকা কামাই করুন!


আজকাল আমরা বিদ্যুৎ শেডিং-এ বাস করি। যখন-তখন বিদ্যুৎ চলে যায়। এ শেডিং বন্ধ করতে হবে আমাদেরকেই। যদিও ডায়ালগটা পত্র-পত্রিকা এবং সরকারী সংস্থা হতে বলা হয়,তবুও তার প্রকৃত বাস্তবায়ন করি আমরা ঘরে বসে।
ডায়নিং রুমের লাইট বিনা কারণে জ্বলজ্বল করে, ড্রইং রুমের টিভি মানুষ ছাড়াই কথা বলে, ঘরের পাঙ্খা কিংবা বড়লোকের এসি বিনা বাতাসে চলতে থাকে।
তাইতো আমাদের দেশে এত বিদ্যুৎ স্বল্পতা!
নাকি অন্য কোন কারণ আছে?
এইতো, সরকারী অফিসে একটা ছোট-খাট পার্ট টাইম জব করছি আমি। সেখানে অবস্থা একদম ভিন্ন ধরণের। বিনা কারণে অসংখ্য কম্পিউটার চালু করে বসে আছেন তাঁরা। শুধু তাই নয়,সকাল থেকে রাত আটটা-নয়টা পর্যন্ত নন স্টপ এসিও চলছে।
এ বিষয়ে সতর্কবাণী বলতে গিয়ে আমার ঢের শিক্ষা হয়েছে।
বিদ্যুতের অপচয় রোধকল্পে আমাদেরই এগিয়ে আসা উচিত, এ কথা বলাতে একজন বললেন,
“আমরা সরকারের টাকায় বিদ্যুৎ ব্যবহার করি,তোমার এত জ্বলে কেন?”
এই যদি হয় সরকারী অফিসের মানুষের চিন্তা-চেতনা,তাহলে তো এই দেশের বিভিন্ন সম্পদ রক্ষার্থে যেসব দাবী জানানো হচ্ছে সব উলু বনে মুক্তা ছড়ানোর মতই প্রায়।
আমার লেখা পড়ে অনেকে হয়তো কিছুক্ষণের জন্য ভাববেন যে কথাটি ঠিকই বলেছি,কিন্তু কথায় আছে না।
কুকুরের লেজ বার বছর চোঙে ভরে সোজা করা যায় নি। আর আমরাতো মানুষ,আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ সবে শুরু হয়েছে। বার যুগেও তা শেষ হবে কিনা আমার ঘোর সন্দেহ আছে।
চলুন তাহলে,কথা না বাড়িয়ে টয়লেটে বসে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবস্থা শিখিয়ে দেই।

টয়লেটে বসে বিদ্যুৎ তৈরির প্রণালীঃ এই রেসিপিতে আপনি টয়লেটে বসেই বিদ্যুৎ তৈরি করে ফেলবেন। পাশাপাশি সেই টয়লেট থেকে টুপাইস ইনকামও করবেন খুব সহজে।
এ জন্য শুরুর দিকে অবশ্য আপনাকে সামান্য কিছু নিজের মূলধন বিনিয়োগ করতে হবে।
বর্তমানে যে হারে বিদ্যুৎএর ঘাটতি দেখা দিচ্ছে তাতে সহজেই অনুমেয় যে নিজেদের গড়া বিদ্যুৎ ছাড়া অন্য কিছু ব্যবহারের গতি আমাদের নেই।
আসুন,ছাগলের মত প্যা প্যা না করে এখুনি বিদ্যুৎ উৎপাদনের আলোচনায় আসি।
বর্তমান সময়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে কার্যকরী এবং বিজ্ঞান সম্মত পদ্ধতি হচ্ছে বায়োগ্যাস পদ্ধতি।
বায়োগ্যাস কি সেটা আমরা কম বেশী সবাই জানি।
পশু-পাখি,গরু-ছাগল এবং মানুষের হাগু-মুতু একত্র করে তথা বিভিন্ন শুকনো ও পচনশীল আবর্জনা গচ্ছিভুত করে তা বায়োগ্যাস প্লান্টে জমা করে সহজেই বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়।
বায়োগ্যাসে সঞ্চিত এসব ডাস্টবিন উপাদান কৃত্রিম উপায়ে ভেষজ হয়ে পিষ্ট হয়। এই পিষ্ট হওয়া উপাদান সমূহের যে অভ্যন্তরীণ চাপ তা গ্যাস আকারে বহির্ভূত হয়। সেই গ্যাস বায়োপ্লান্ট সংলগ্ন গ্যাস সিলিন্ডারে জমা হয়।

যদিও এই গ্যাস অনেক খবিস বস্ত দ্বারা উৎপাদন হয়েছে তবুও এই উৎপাদিত গ্যাস গন্ধ ও বর্ণহীন। একটু শুকলেই বোঝা যাবে যে এতে কোন বাজে গন্ধ নেই।
এই গ্যাস দিয়ে টিভি,ফ্রিজ,লাইট,ফ্যান প্রভৃতি চালানো যাবে।
এ পদ্ধতি আমরা জানলেও এর মাধ্যমে নিজেও কি করে ইনকাম করা যায় তা আমরা কেউ জানি না।
বায়োগ্যাসে গ্যাস উৎপাদনের পাশাপাশি কিছু কামাই করার জন্য আপনাকে প্রথমে বায়োগ্যাস সংলগ্ন একটি তাজমহলের মত টয়লেট তৈরি করতে হবে।
সেই টয়লেটের ড্রেনেজ সিস্টেম সমস্ত মল নিয়ে আসবে আপনার বায়োপ্লান্টে (যেখানে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে)।
এবার আপনি সেই তাজমহল সম টয়লেট খানাকে আধুনিক টাট্টিখানায় পরিণত করুন।
টাট্টির উপরে অবশ্যই বড় করে লিখে দিবেন,


“এখানে প্রসাব করিতে তিন টাকা মাত্র এবং পায়খানা করিতে পাঁচ টাকা মাত্র লাগিবে।”

টয়লেটে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পারফিউম ব্যবহার করবেন,তাহলে দু-চারদিনের মধ্যে আশা করি আপনার টাট্টিতে লোকজন নিয়মিত যাতায়াত শুরু করবে।
আপনি নিজে বসতে না চাইলে কোন ছোট কর্মচারী ছেলে নিয়োগ দিতে পারেন স্বল্প খরচে।
সেই টাট্টির বিল তুলবে,এবং মাসের শেষে আপনার হাতের মোটা একটা খরচের এক্সট্রা ব্যাবস্থা হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
আর অনেকে হয়তো জানেন না কি করে বায়োগ্যাস প্লান্ট তৈরি করতে হয়।
নো প্রবলেম, খুজে দেখুন আপনার আশেপাশে নিশ্চয়ই দু/একজন নাইন-টেনের ছাত্র-ছাত্রী আছে।
সেই ছাত্র-ছাত্রীদের সাধারণ বিজ্ঞান বইয়ে বায়োগ্যাস তৈরির খুটিনাটি এবং প্র্যাকটিক্যাল নিয়ম বিস্তারিত দেওয়া আছে।
আশা করি আপনারা সফল হবেন।
শুভ কামনা রইল।

বিনীত-
মোঃ আরাফাত হোসেন

আওয়ামীলীগের নেতারা না খেয়ে শুটকী হয়ে মরছেন!


দল ক্ষমতায় আসলেই যে নেতা-কর্মীদের “রাস্তা ভরা গাড়ি কিংবা জায়গা ভরা বাড়ি” থাকবে এটি সত্য নয়।
যারা ভাল তাঁরা ক্ষমতায় আসার পর থেকে চার বছরের জন্য দিন এনে দিন খেয়ে জীবন গুজরান করেন।
এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দল আওয়ামীলীগের কাহিণী।
এখানে কোন ধরণের দুর্নীতি চলে না। কঠোর সংগ্রাম ও অমানুষিক কষ্ট সহ্য করে দেশের সেবা করেন এ দলের নিবেদিত প্রাণ কর্মীরা।
তাঁদের সেবার গাড়ির গতিময়তায় বাংলাদেশ চলমান।
আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে লোকেরা স্লোগান দিচ্ছে,
চলছে গাড়ি, শশুরবাড়ি।
নেতারা শশুরবাড়ি যাওয়ার চেয়ে যাত্রাবাড়ি যাওয়া পছন্দ করেন।
আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীরা দেশের সেবা করতে করতে ডায়রিয়া,পাতলা পায়খানা,আমাশা ইত্যাদি সহ আরো বিভিন্ন মারাত্নক রোগে ভুগছেন।
যারা একটু বড় মানের নেতা,যেমন- ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, তিনি একটানা এগার মাস ধরে দেশের লোকের সেবা করতে করতে এখন দূরারোগ্য হার্টের ব্যাধিতে পড়েছেন। যেকোন সময় তাঁর প্রাণবায়ু বেরিয়ে যেতে পারে।
আচ্ছা, প্রাণ বায়ু বেরোবার সময় কি পাদ বের হয়?
বের হলেও আমার মনে হয় ওই সময়ের পাদে শান্তি থাকে না, জীবনের মাঝে দেওয়া পাদেই শান্তি থাকে।
পাদ নিয়ে কি কোন থিসিস করা হয়েছে? সে কথায় পরে আসি। আগে ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস-এর অবস্থা দেখি।
একমাস আগে রংপুরের এক অঁজপাড়াগায়ের ডাক্তার তাঁর হৃদরোগকে শনাক্ত করেছেন। টাকার অভাবে তিনি ঢাকা হতেও চিকিৎসা নিতে পারেন নি।
তাঁর ঘরে একবেলা চাল থাকে,তো পরের বেলা থাকে না।
এখানে হয়ত বিএনপির কোন নেতাকর্মীর হাত থাকতে পারে। তাঁরা অত্যন্ত চরিত্রবান একটি দলকে না খাওইয়ে ছিয়াত্তরের মনন্তরে ফেলতে চাইছে।
তবে বাংলার বুকে যতকাল রবে দামাল হারামজাদা,ততকাল এই আওয়ামীলীগের কিসসুটি হবে না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থাতো আরো করুণ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিনি গত দুদিন ধরে দানা-পানি কিছুই মুখে দেন নি। সামান্য ডায়রিয়া প্রতিরোধের জন্য আয়োডিনযুক্ত লবণ কেনার সামর্থ্যও তাঁর নেই।
ডাক্তার গুরু পাদা রায় ওরফে ভোদাই চন্দ্র ঘোষণা করেছেন, অতিরিক্ত পরিশ্রমের ও চিন্তার ফলে প্রধানমন্ত্রীর দেহে বিষাক্ত দুর্নীতিদমন কমিশনের ভাইরাস ঢুকে গেছে।
কবে নাগাদ এ থেকে তিনি মুক্তি পাবেন তার কোন ঠিক নেই। এছাড়া এই ভাইরাস হয়ত মারাত্নক রকমের পাগলামীও শুরু করে দিতে পারে।
আচ্ছা,প্রধানমন্ত্রীরা পাগল হলে তাঁরা কি করেন?
মাজারের সামনে উলঙ্গ নাচানাচি করা যায় কি?
নাকি তখন লজ্জা লাগে?
যাহ! এ বিষয়ে পরে আলোচনা হলে ভাল হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন টাকার অভাবে সিনেমায় অভিনয় করতে গিয়েছিলেন। পরিচালক কি বলেছেন জানেন?
-আপনি অভিনয় করতে চান?
-জ্বি ভাইজান।
-আপনাকে দিয়া অভিনয় হবে না। যারা অভিনয় করতে চায়, তাদের মোটা গলা লাগে।
-আমার মোটা গলা আছে, বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একটা ভাষন দেওয়ার মত করে হাম্বা ডাক দিলেন।
-আপনার হাম্বা ডাক হয় নাই। আমাদের নায়ক মেয়র মহিউদ্দিন ভাই এর চেয়ে সুন্দরভাবে হাম্বা ডাক দিতে পারেন। তাছাড়া হাম্বা ডাক বাদ দিলেও আপনি অতিরিক্ত সুন্দরী, এত সুন্দরী লোক মহিউদ্দিন ভাই পছন্দ করেন না।
গম্ভীর মুখে জবাব দিলেন পরিচালক সাহেব।
-ভাইজান, আমি সুন্দরী সেটা কোন সমস্যা না, দরকার হলে ইন্ডিয়া থেকে কাল হওয়ার মেকাপ নিয়ে আসব। জানেন তো ওদের মা কালীর বেদিতে কাল হওয়ার অনেক যন্ত্রপাতি আর প্রসাধনী আছে।
-তা ঠিক, তাহলে একটু নেচে দেখান তো দেখি।
-আমি নাচতে পারি না। তবে গান-কবিতা শুনতে চান তো শুনাতে পারি।
বলে পরিচালকের জবাবের অপেক্ষায় না থেকে সাহারা খাতুন গান-কবিতা শুরু করলেন।

১. তোমারে লেগেছে এত যে ভাল,
চাঁদ বুঝি তা জানে,হুউ,চাঁদ বুঝি তা জানে।
২. বস্তি আমি,হস্তি তোরা,
ঘাড় মটকে যাব মোরা।
এক,দুই,তিন চট্টাশ,
বোম ফাটে ফট্টাশ।
আন্ডা-বিচি ছিলিয়ে,
ঢাকা দিব জ্বালিয়ে।


গান-কবিতা শেষ হল। কেউ তালি দিল না দেখে সাহারা খাতুন নিজেই একটা ছোট্ট তালি দিলেন।
পরিচালক সাহেব ভুরু কুঁচকে খানিক্ষণ চিন্তা করলেন। সাহারা খাতুন বলে উঠলেন,
-ভাইজ্বান,আসল জিনিসটাই বাকী রয়ে গেছে, এখনো ভাষণ দেওয়া হয় নি। দিয়ে দিব নাকি?
-না না, তার দরকার নেই। আপনি সিলেক্টেড।
তাড়াতাড়ি বলে উঠলেন পরিচালক সাহেব।

সাহারা খাতুন এই চান্সে কেমন করে যেন বেঁচে গেলেন।
অথচ অন্যান্য নেতারা তখনো দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।
ফজলে নূর তাপসের অবস্থা তেমন ভাল নয়। সারাক্ষণ কি সব উল্টো-পাল্টা স্বপ্ন দেখে তাঁর ঘুম ভেঙ্গে যায়।
গত রাতে তিনি স্বপ্নে দেখেছেন তিনি একটা ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁর দুই পাশে দুইজন ঘোমটা দেওয়া জল্লাদ।
তিনি অবাক বিস্ময়ে আবিস্কার করলেন জল্লাদরা তাঁরই দুই স্ত্রী। ঘোমটা পড়ে ছিল বলে তিনি চিনতে পারেন নি।
তিনি প্রথম স্ত্রী চমচমকে প্রশ্ন করলেন,
-তুমি আমাকে মারতে চাও?
-চুপ হারামজাদা,সারাদিন খালি দেশের সেবা, আমাদের একটু আদর-সোহাগ করবি তা না, বরং সারাদিন মানুষের বাসায় বাসায় দেশের সেবার জন্য দৌড়াদৌড়ি। আজকে আগে তোর দেহের বিশেষ অঙ্গগুলো কাটব। তারপর তোর মুন্ডু কাটব।
তিনি আশা নিয়ে ছোট স্ত্রী পদ্মিনীর দিকে তাকালেন।
-শেষ পর্যন্ত তুমিও এই কাজটা করতে চাও?
-আমার দিকে তাকায়ে লাভ নাই। আমি আগে তোর কাপড় খুলে তোকে নেঙটো করব,তারপর তোর যেই সব দেশে যেতে মন চায় সেইসব দেশে ভ্রুমন করায়ে আনব। এ জার্নি টু ফেভারিট কান্ট্রি উইদাউট ক্লথস। লোকে জিজ্ঞ্যেস করলে বলব এই লোক পাগল হয়ে গেছে,এরে একটু আপনাদের দেশের টাট্টিখানায় চুবাতে হবে। হিহঃ হিহঃ......
বলে অকৃত্রিম হাসিতে ফেটে পড়লেন তাঁর ছোট স্ত্রী পদ্মিনী।
তাপস অবাক হয়ে ভাবলেন গ্রাম থেকে কি সহজ সরল মেয়েটাকে বিয়ে করে এনেছিলেন, এই কি সেই মেয়ে?
যে স্বামীর ভয়ে কথা বলতে পারত না। এখন কিনা তাঁকে তুই তোকারী করছে, কাপড় খুলে নেঙটো করিয়ে দেবে বলছে। আরো বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে কি করে যেন তাঁর স্ত্রী ইংলিশ কথাও বলতে পারছে।
পদ্মিনী না হয়ে শঙ্খিনী হওয়া উচিত ছিল তাঁর স্ত্রীর নাম।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর অবস্থা কিন্তু কম সিরিয়াস নয়। তাঁর ডায়রিয়ার ময়লা পরিস্কার করতে যেয়ে ডাক্তার গুরা পাদা রায় ওরফে ভোদাই চন্দ্র বমি করে ঘর ভাসিয়ে দিয়েছেন।
ছিহ, কি বিশ্রি অবস্থা!
ফজলে নূর তাপস এক রাতে শুকিয়ে চর্মসার হয়ে শুটকিতে পরিণত হয়েছেন।
চিটাগাঙ থেকে শুটকির নেক্সট এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট সাপ্লাই হয়ত তাঁর কপালে জুটবে না।
প্রধানমন্ত্রী,ব্যারিস্টার ও মেয়র সাহেব দেশের মানুষের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন। এ যাত্রা তাঁরা বেঁচে গেলে বাংলাদেশের জয় হবে এ ঘোষণা দিয়েছেন বিকল্প ধারার নেতা হাইকুম বাক্কুস গাফফার।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সাহায্য পাঠানোর দরকার নেই। তিনি এখন ঢালিউডে অভিনয় করে সুপারস্টারনী!!

প্রধানমন্ত্রীকে সাহায্য করুন এই ঠিকানায়,
সুইস ব্যাংক,
সঞ্চয়ী হিসাব নং-০০৭-৩২৫৯৮০
ক্র্যাশ পোস্ট নং-৩৬৫২
একাউন্ট ইনফরমেশন-হিডেন
টাইটেল-প্রাইম মিনিস্টার
কান্ট্রি-বঙ্গদেশ।
উত্তর শ্যামপুর,ইউএসএ।

ঘরে বসে মোটা এবং চিকন হওয়ার টিপস!


সুপ্রিয় ব্লগারবৃন্দ এবং ব্লগারবৃন্দা, স্বাস্থ্য বিষয়ে লিখার তেমন আগ্রহ আমার ছিল না। কিন্তু গতকাল আমাদের এলাকার অত্যন্ত ভুটকু একটি ছেলে এবং শুটকো একটি মেয়েকে দেখে আমি এ বিষয়ে লিখার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আসুন,কথা না বাড়িয়ে আমরা দেখি কিভাবে আপনি খুব সহজে মোটা এবং চিকন হতে পারেন।

মোটা হওয়ার জন্য করণীয়ঃ মোটা হতে চায় এমন লোকের সংখ্যা বাংলাদেশে নেহায়েত কম নয়। এর বিশাল একটা অংশ আবার অত্যন্ত দরিদ্র ঘরের। তবে আমি অনেক বড়লোক ঘরের ছেলে-মেয়েদেরও দেখেছি যারা অত্যন্ত স্বাস্থ্যহীন। এর কারণ কি?
এ বিষয়ে আমার ধারণা যদিও সবার সাথে মিলবে না,তবুও আমি মনে করি জীবন এবং লাইফস্টাইলের প্রতি বিরক্তি এবং অতিরিক্ত টেনশন মানুষকে স্বাস্থ্যবান হওয়ার পথে বাধা দেয়।
তাই যারা শুটকো শরীর নিয়ে খুব বিপাকে আছেন, তাদের জন্য এই টিপস দেয়া হল। সকাল হতে রাত পর্যন্ত এই টিপস অনুসরণ করলে ইনশাআল্লাহ, আশা করি এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে সফলতা পাওয়া যাবে।

মোটা হওয়ার টিপসঃ সকাল বেলা তাড়াতাড়ি ঘুম হতে উঠুন। রাতে ভাল ঘুম না হলেও উঠা উচিত। সকালে তাড়াতাড়ি উঠা মানে নিজেকে সারাদিনের জন্য প্রফুল্ল চিত্তে রাখা।
প্রথমে একগ্লাস পানি খেয়ে হাল্কা ব্যায়াম করে আসুন। যদি শুকনো দেহে কুলোয়,তবে বার ইঞ্চি দুটো ইট দিয়ে প্রথমদিন থেকেই হাতের ব্যায়াম করতে থাকুন। যত বেশী পারবেন,তত আপনার মাসল উন্নত হবে।
ব্যায়াম করে এসে পুনরায় এক গ্লাস পানি খান।

সকালের নাস্তা হয়তো দেরীতে হবে,কিংবা আপনাকে হয়তো এমন কিছু খেতে দেওয়া হবে যা আপনার রুচিতেই আসে না।
নো প্রবলেম, খুজে দেখুন গত রাতের বাসী ভাত আছে কিনা। যদি থাকে তাহলে একটি পেয়াজ,দুটো পোড়া মরিচ আর এক চামচ আয়োডিনযুক্ত গলগন্ড প্রতিরোধকারী লবণ নিন।
তারপর পানি দিয়ে পান্তা ভাত তৈরি করে খান।
এতে সবচেয়ে বড় সুবিধা হল আপনি যত বড় খাদকই হন না কেন আপনার পেট এই পান্তা ভাতের মাধ্যমে ভরে যেতে বাধ্য।
এরপর অনেকে আবার দুপুরের আগে কোন কিছু না খেয়েই থাকেন।
কিন্তু আর না, এখন থেকে অবশ্যই খেতে হবে।
ভাবছেন কি খাবেন?
দুপুরের জন্য যে ভাত রান্না হয়েছে তার মালসার মধ্যে দেখুন অত্যন্ত পুষ্টিকর ভাতের মাড় বা ফেন, যা প্রায় সময়ই গরুকে খাওয়ানো হয়, (ইহা আবার বাতের ব্যাধির জন্য অত্যন্ত উপকারীও বটে) সবটুকু নিন।
তারপর পরিমাণমত আয়োডিনযুক্ত লবণ নিয়ে চামচ দিয়ে ভাল করে নেড়ে খেয়ে নিন।
খেয়াল রাখবেন যাতে লবণের পরিমাণ বেশী না হয়,তাহলে অতিরিক্ত লবণ কটার জন্য খেতে পারবেন না।
সুন্দরভাবে নাড়াচাড়ার পর চামচ দিয়ে খেয়ে দেখবেন অত্যন্ত সুস্বাদু হয়েছে।
খাওয়ার পর আপনার মনে হবে আজ সারাদিন না খেলেও আপনার পেট ভরা থাকবে। এই মনে হওয়াটাকে পাত্তা দিবেন না।
দুপুরের ভাত যাতে ঠিকমত খেতে পারেন তার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। বাইরে থেকে ঘুরে আসুন। পকেটে কিছু টাকা থাকলে দোকান হতে চা খেয়ে আসুন। আর অবশ্যই একটা লম্বা হাটা দিয়ে আসবেন। তাহলে পেটটা খালি হওয়া শুরু হবে।
এরপর বাসায় এসে যেই তরকারীই থাকুক না কেন আপনার নারিকেল তেলের শিশি হতে বোতলের মুখে যে কর্ক রয়েছে তার পুরোটা ভর্তি করে সেই তেল মিশিয়ে ভাতের সাথে খেয়ে ফেলুন। এতে আপনার ভুরি তৈরি করার জন্য পেট অন্যধরণের এক উৎসাহ পাবে।
ভাত খাওয়া শেষে বিকেলের আগ পর্যন্ত একটানা ঘুম দিবেন। দেখবেন ঘুম থেকে উঠার পর শরীরটা একদম ঝরঝরে মনে হচ্ছে।
বিকেলে খাওয়ার কিছু নেই এই ভেবে আপনার মন খারাপ হচ্ছে?
নো টেনশন, যেসব বন্ধু-বান্ধবদের সাথে অনেকদিন ধরে দেখা নেই তাদের বাসায় হাজির হয়ে যান। কিংবা পরিচিত বড় ভাই অথবা ছোট ভাই হলেও সমস্যা নেই।
দেখবেন বেশ কয়েকদিন পর আপনাকে দেখে তারা অন্যধরণের এক অভ্যর্থনা জানাবেন। সেই সাথে সময় বুঝে বিকেলে এসেছেন বলে হাল্কা নাস্তা পানি এবং চা প্রদানে সচেষ্ট হবেন তাঁরা।
এই সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগান। সবাই ভদ্রতা করে বলে “থাক,এসবের কি দরকার ছিল!”
আপনি এসব না বলে বলুন যে খিদেয় আপনার পেট চো চো করছে,দেখবেন আপনার জন্য কিছু বেশী খাদ্য-খানার ব্যবস্থা করা হবে। সব খাবার আপনি আবার নিঃশ্বব্দে খেয়ে ফেলবেন না যেন। স্বাভাবিকভাবে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যান। পাশাপাশি সব খাবার আপনার পেটে চালান করুন।
তারপর আরেকদিন আসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিদেয় নিন।
আর রাতের খাবার তো আপনার বাসায় অপেক্ষা করছে।
সারাদিনের ঘোরাঘুরি এবং ছুটন্ত চলন্ত ধান্দা শেষে আপনার রাতে হয়তো বেশী ক্ষিদা লাগবে।
আহার করুন যতটুকু আপনার পেটে সংকুলান হয়।
আপনি এভাবে তিন/চারদিন কাটালে খাবারের প্রতি আপনার অন্যরকম এক আগ্রহ প্রকাশ পাবে।
খাদ্যের স্বাদ আপনি হাড়ে-পিঠে টের পাবেন। প্রত্যেকদিন এই রুটিন অনুযায়ী চলবেন মাত্র এক থেকে দেড় মাস পর্যন্ত।
ইনশাআল্লাহ, এরপর আপনি নিজেকে চিনতে পারবেন না। মনে হবে আপনি গরুর দুধের খামার হতে উঠে এসেছেন।

চিকন হওয়ার জন্য করণীয়ঃ আমাদের দেশে অনেক পরিবার আছে যাদের টাকা এত বেশী যে কুত্তা-বিলাই খেয়েও সেই টাকা শেষ করতে পারে না। এইসব লোকের ছেলে-মেয়েরা সেই টাকার জোরে এমন দেহ ধারণ করে যা গিনেস রেকর্ড বুকে ১০০এর মধ্যে এসে পড়তেও কষ্ট হয়।
সেই মোটা দেহ নিয়ে রাস্তা-ঘাটে ঘুরে মানুষের মাঝে নিজেকে ভোটকা-ভুটকি হিসেবে আলোচিত করে। তাছাড়া অনেক ছেলে-মেয়ে শুধু এই স্থুল দেহের কারণে নিজের প্রেমিক-প্রেমিকাদের কাছে হেয় হয়,এমনকি অনেক ক্ষেত্রে সম্পর্কও নষ্ট হয়ে যায় এ তুচ্ছ কারণে।
তাই অতিরিক্ত মোটাদের জন্য এই শুকনো বা চিকন হওয়ার টিপস দিলাম।

চিকন হওয়ার টিপসঃ চিকন হওয়ার জন্য ছেলে-মেয়েদের একই পদ্ধতির দুটি উপায় অনুসরণ করতে হবে। পদ্ধতিটি বলার আগে আমি একটি কথা বলে নেই,এই পদ্ধতিতে আপনি যত সহজে এবং তাড়াতাড়ি চিকন হতে পারবেন,তা অন্য কোন পদ্ধতিতে কস্মিনকালেও সম্ভব নয়। এ পদ্ধতিতে আপনার সময় লাগবে দুই থেকে আড়াই মাস। তবে শরীরের স্থুলতার ভিত্তিতে এ বেধে দেয়া সময় কমতে বাড়তে পারে। তবে অধিকাংশের বেলায় দুইমাসের মধ্যেই হয়ে যায়(পরীক্ষিত)।
আমি শুকনো হতে সময় নিয়েছি দেড়মাস।
আসুন কথা না বাড়িয়ে চিকন হওয়ার টিপস সম্পর্কে আলোচনা শুরু করে দেই। প্রথমে ছেলেদেরটা দিচ্ছি।
ছেলেঃ আপনাকে প্রতিদিন চার থেকে ছয় পোটলা তামাক (গাঁজা) টানতে হবে। সকালে নাস্তা খেয়ে একবার, দুপুরে খাবার আগে,পরে এভাবে আপনার সুবিধামত সময়ে আপনি শিডিউল ভাগ করে নিতে পারেন।
এ নিয়ে অবাক হওয়া কিংবা হাসাহাসি করার কিছু নেই। সিগারেট যারা খান তাঁদের বলছি তামাকের সাথে সিগারেটের একটা অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক রয়েছে। ক্লাস নাইন-টেইন এবং ইন্টারে আপনারা পড়ে থাকবেন হাজার বছর ধরে ও পদ্মা নদীর মাঝি উপন্যাসের নায়ক চরিত্রগুলো কলকিতে তামাক খেত।
এই পদ্ধতি অনুসরণ করে যদি সাফল্য না পান তবে তার দায় সম্পুর্ণ আমার ঘাড়ে।

মেয়েঃ আমি আগেই বলেছি ছেলে আর মেয়েদের জন্য একই পদ্ধতির দুটি উপায় অনুসরণ করতে হবে। বুঝতেই পারছেন আপনাদেরও তামাক খেতে হবে। তবে যেহেতু মেয়েরা তাঁদের ঠোট কিছুতেই নষ্ট করবেন না, সুতরাং আপনারা তামাক খাবেন কলকিতে করে। অর্থাৎ হাজার বছর ধরে এর মন্তর মত করে।
রাজধানীর অনেক জায়গায় মাটির কলকি পাওয়া যায়। দাম পড়বে বিশ থেকে তিরিশ টাকা পর্যন্ত।
আর অনেকে হয়তো তামাকের উৎস সম্পর্কে মোটেও জানেন না।
নো প্রবলেম, আপনার এলাকাতেই এমন অনেক ভদ্র কিংবা অভদ্র গোছের লোক পাবেন যারা নিয়মিত তামাক খায়। তাদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তামাকের সাপ্লাই নিন। আর বানানোর পদ্ধতি তারা বেশ ভালই জানে।

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ তামাক খেয়ে প্রথম প্রথম মাথা চক্কর দিতে পারে। সামলে উঠবেন এক থেকে দেড় সপ্তাহের ভিতর। আর দেড় দুই মাস পর যখন দেখবেন আপনার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেছে,মানে স্লিম হয়ে যাচ্ছেন, তখন থেকে তামাক খাওয়ার পরিমাণটা কমিয়ে আনবেন। অনেকে আবার সিগারেটের মত তামাক খাওয়ার পর সেটা বন্ধ করতে চায় না।
সব কিছু নিজের কাছে,আমি দীর্ঘ ছয় মাস খেয়ে বর্তমানে পুরোপুরি বন্ধ করেছি। এখন আল্লাহর রহমতে আমার স্বাস্থ্য খুব স্লিমভাবে আছে।
অতিরিক্ত তামাক সেবনে দেহ কঙ্কালসার হয়ে যেতে পারে। অবশ্য সবার ক্ষেত্রে এই কথা প্রযোজ্য নয়, যেমন- মোটা মানুষের ক্ষেত্রে। সুতরাং, মোটামুটি দুই মাস পর আপনাকে অবশ্যই এটি বন্ধ করার জন্য আমি অনুরোধ করব।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

বিনীত-
মোঃ আরাফাত হোসেন


বিঃদ্রঃ এই পদ্ধতিগুলো শুধুমাত্র টোটো কোম্পানীর ম্যানেজারদের জন্য (বাদাইমমাদের জন্য)। অন্যান্য লোকের বেলায় এই পদ্ধতি আলোচনা সাপেক্ষে ব্যক্তিগতভাবে সমাধান দেয়া হবে।

একুশে টেলিভিষনের অশ্লীল ভিডিও সম্প্রচার!


সম্প্রতি একুশে টেলিভিষনে সরকারী প্ররোচনায় বিভিন্ন অশ্লীল ধরণের নাটক প্রচারিত হচ্ছে যা ফ্যামিলী নিয়ে দেখার জন্য যথেষ্ট সঙ্কোচের ব্যপার। এসব নাটকগুলোতে আবার অভিনয় করছেন কিছু জনপ্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রী।

এমনিতেই বলিউডের কালচার ফলো করে আমাদের দেশে ইভটিজিং,মারামারি,খুন,ধর্ষণ,অবাধ যৌন সম্পর্ক ইত্যাদি কল্পনাতীতভাবে বেড়ে গেছে। তার উপর এখন আবার কিনা দেশীয়ভাবে এসব ছোট পর্দার নাটক তৈরি হচ্ছে।
তাহলে বাচ্চা এবং টিনএজাররা এই দেশ হতে কি শিখবে?
এ প্রশ্ন সরকার এবং পাগলের কাছে।
সম্প্রতি কিছুদিন আগে একুশে টেলিভিষনে ইউ টার্ন নামে একটি নাটক প্রচারিত হয়েছে যেখানে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় নাট্যাভিনেতা সজল এবং অভিনেত্রী রুমানা।
নাটকে বেশ কয়েকবার তাঁরা ঘনিষ্ঠ কিছু দৃশ্যে নিজেদের ক্যামেরার সামনে তুলে ধরেন। এইসব দৃশ্যগুলো বাংলাদেশের মত প্রেক্ষাপটে নাটকের জন্য খুবই আপত্তিকর।
অনেকখানি যেন সিনেমার রোমান্স দৃশ্য তৈরি করা হয়েছে নাটকটিতে। অন্তত প্রথম দর্শনে সকলের তাই মনে হবে।
ত্রিভুজ প্রেমের ধারা নিয়ে শুরু করে রুমানা এবং সজলের মিলন ঘটানো হয়েছে নাটকে। তার মাঝে তাদের ভালবাসার দৃশ্য,যেমন- একজন আরেকজনকে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরা,মুখের কাছাকাছি মুখ আনা,সজোরে রুমানার তলপেটে সজলের চাপ দেওয়া ছাড়াও বেশ কিছু আপত্তিকর দৃশ্য আছে এতে।
যা দেখে নাটক দর্শনার্থীরা নতুন কিছু অশ্লীলতা শিখে নিবে।

এমনিতেই আমাদের দেশ দুর্নীতিযুক্ত দেশ। এখানে দুর্নীতি দমন কমিশনের মূল অফিসের সামনেও ওপেন সিক্রেট দুর্নীতি হয়।
এছাড়া সেই দিন একই সাথে প্রথম আলোর মালিক এবং সম্পাদক মতিউর রহমান ওরফে বাচ্চুকে আদালতে দাঁড়াতে হয়েছে।
বড়জন ইন্ডিয়ার উলফার সাথে সখ্যতা গড়ে টাকার পাহাড় বানিয়েছেন। আর ছোট জন মতি ভাই সেই টাকা নিজে মেরে দিয়ে প্রথম আলোর কর্মীদের বেতন শুণ্যের ফাঁকে ঝুলিয়ে রেখেছেন।
সব জায়গায় যদি একই অবস্থা চলতে থাকে,তাহলে আমাদের মত হারামখোর বাঙ্গলীগণ কোথায় যাবে বলুন তো?
নাকি এই কথাগুলো তুলে দিয়ে আমরা আরো বড় কোন খারাপ হয়ে গেলাম?

আসুন,এক থাপ্পর দিয়ে ঢাকা শহরের জ্যাম দূর করে ফেলি!


আর কত সহ্য করা যায় আব্বা বলুন?
আমি শশ্বুর সাহবকে প্রশ্ন করলাম। তিনি তখন লুঙ্গি উচিয়ে গুপ্তাঙ্গে বাতাস ঢুকানোর চেষ্টা করছেন। যে হারে লোডশেডিং হয়, তাতে করে আইপিএস-এর চার্জই হতে পারে না। ফ্যান ঘুরবে কি?
তাই মুরুব্বীদের বাতাস খেতে হলে এইভাবেই খেতে হবে।
আমার আজকের বিষয়বস্তু কিন্তু লোডশেডিং না, ঢাকা শহরের জ্যাম কমানোর উপায় নিয়ে আজকের এই স্পেশাল রেসিপি।

রেসিপি বলায় রাগ করবেন না যেন। মানুষ সবসময় একটু পাগলামী কথা বলতে ভালবাসে। আমার মধ্যেও এই ধরনের প্রবণতা আছে। যে কারণে আমি প্রায় প্রত্যেকটা পোস্টে এমন ভিন্ন কিছু ব্যবহারের চেষ্টা করি যাতে আপনারা আমার লিখা পড়ে মন্তব্য করেন। তবে আজকে একটা চরম সত্য কথা বলে ফেলি।
আমি কিন্তু শতকরা একশর মধ্যে নব্বইটি মন্তব্যের জবাবই দিতে পারি না।
কারণ আমি ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পাই খুব স্বল্প সময়ের জন্য। দেখা গেছে পাশের বাসার ভাই যখন আমার প্রতি একটু সদয় হবেন,তখন আমাকে মডেমটা দিয়ে যাবেন। সেটা হতে পারে আধাঘন্টার জন্য,কিংবা এক/দুই ঘন্টার জন্যও হতে পারে।
এ সময়টা আমি ব্লগের লিখাগুলো পড়ি,দুই-একটা লিখা আপলোড করি এবং দীর্ঘদিন অনুপস্থিতির ফলে জ্ঞানের যে ঘাটতি দেখা গিয়েছে তা পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করি ইন্টারনেট ব্যবহার করে।
আর আমার কম্পিউটার?
সেতো জগতের নবম আশ্চর্যের একটি।
ফকিরের কপালে সিঁদুর উলে না” কথাটি ঠিক না। আমার কপালে কি করে যেন উলে গেছে।
কারণ এক রুমের ভিতর ঢাকা শহরে তিন ভাই ও বাবা-মাকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে বাস করার যে আনন্দ তা আমি ছাড়া আর কেউ জানে না। আমরা একটা রুমের ভিতর পুরো পরিবার বাস করি।
ইচ্ছা করে না,দায়ে পড়ে।
সেই রুমেই একজনের দয়ায় একটা সেকেন্ড হ্যান্ড সেলেরন প্রসেররের কম্পিউটার ঢুকে গেছে। প্রথমে আমি ভেবেছিলাম এটা বুঝি স্বপ্ন। পরে নিজের গায়ে দশ ইঞ্চি সুই দিয়ে দশটা গুতা দিলাম।
জানন তো,মানুষ কোন অপ্রত্যাশিত ঘটনার সম্মুখিন হলে নিজের গায়ে চিমটি দিয়ে বোঝার চেষ্টা করে যা দেখছে তা বাস্তব কিনা।
আমি সুই দিয়ে গুতিয়ে তা পরখ করেছি।
অনেক আউল-ফাউল পেচাল হয়েছে। আসুন,কাম টু দ্যা পয়েন্ট।

আমার মত ছাত্র এই ব্লগে কতজন তা আমার জানা নেই। তবে বেশ বড় একটা সংখ্যা যে আছেন তাতে আমার কোন সন্দেহ নেই।
এই সব ছাত্রদের যানজট নিরসনে ভূমিকা সবচেয়ে বেশী।
যতই ফ্লাইওভার,ফুটওভার ব্রীজ কিংবা পাতাল রেল চালু করি না কেন, এই দেশে সহজে জ্যাম দূর হবে না নিচের স্টেপটি ফলো না করলে। সরকারের প্রতি অনুরোধ,এই সব ফ্লাইওভার,ফুটওভার করার ব্রীজ বানানোর জন্য বিদেশী ঋন নেওয়া কিংবা টাকা-পয়সা নষ্ট করার কোন মানে হয় না। কারণ অতীতে দেখা গেছে এসব বানানোর পরও জ্যামজট মোটেও কমে নি। বরং বৃদ্ধি পেয়েছে।
একটু সংক্ষেপে বলি, যখন আপনারা রাস্তাঘাটে,শপিং-এ,পার্কে কিংবা হতে পারে গার্ডেনে,উদ্যেনে,বাদাড়ে ঘুরতে অথবা কাজে বেড়োবেন, তখনই যদি রাস্তাঘাটে (যেখানে পার্কিং করা নিষেধ বা লোক অথবা যানবাহণ চলাচল হচ্ছে) কোন গাড়ি পার্ক করা অবস্থায় দেখেন তাৎক্ষণিকভাবে গাড়ির ড্রাইভারকে একটা রাম বয়রা মারবেন। বয়রা মানে হচ্ছে চটকানা।
এর আরো প্রতিশব্দ আছে। যেমন- চটোপাঘাত,থাপ্পর,কানসার নিচে ইত্যাদি।
কানসা বলতে যদিও মাছের নির্দিষ্ট পাখনাকে বোঝায়,তবে আজকাল ঢাকা শহরের অনেক ছেলেরাই কথায় কথায় বলছে “দিমু ধুইরা কানসার নিচে”।
অনেকে ভাবছেন এতে যানজট কমবে কি করে। আসলে যেকোন জায়গায় এই উল্টা-পাল্টা পার্কিং সিস্টেমের ফলেই অধিকাংশ জায়গায় জ্যাম লেগে যায়।
এছাড়া আরো কিছু কমন স্বভাব হয়েছে বাংলাদেশের ড্রাইভার নানাদের।
যেমন- তাঁরা অযথা ভাব দেখানোর জন্য ধীর গতিতে যানবহুল রাস্তায় গাড়ি চালাবেন।
এটি বন্ধ করার পর দেখবেন রাস্তাঘাট অনেক ফাঁকা হয়েছে,কিন্তু যানজট সেইভাবে আশানুরূপে কমেনি। এর দায়িত্বও কিন্তু আপনাদেরই।
নতুন ঘোষণা চালু করে দিতে হবে ঘোষণা কমিটির মাধ্যমে। ঘোষণা কমিটি বানাতে না পারলে আমার সাহায্য গ্রহণ করুন। তবে শুরুতে আপনাদের মধ্য থেকে এমন একজন লোকের প্রয়োজন হবে যার কিনা সাংগঠনিক ক্ষমতা রয়েছে। অর্থাৎ প্রয়োজনের সময় ঘোষণা কমিটিকে মূহুর্তের মধ্যে আসমান-জমিনের মধ্য অংশ দিয়ে চালনা করতে পারবেন।
ঘোষণা কমিটি নির্মাণের পর সবাইকে জানাতে হবে- এখন থেকে সাপ্তাহিক ছুটির দুটি দিন,যথা শুক্র ও শনিবার ছাড়া প্রাইভেট কার বেরোনো নিষিদ্ধ। যদি কোন প্রাইভেট কার এই দিনে দেখা যায়,তাহলে সেদিন কারের ড্রাইভারকে থাপ্পর না মেরে কারের আরোহীকে থাপ্পর মারা হবে। উক্ত দুইদিন প্রাইভেটকারের মালিকরা বিশাল ভলভো বাসে কিংবা এয়ার কন্ডিশান বাসে চলাচল করবেন।
থাপ্পর দেওয়ার আগে অবশ্যই আপনারা আগে একবার হাতে থুতু মেরে নিবেন। তা না হলে থাপ্পর পিছলে যেয়ে আস্তে লাগার সম্ভাবনা রয়েছে।
এভাবে টানা দুই থেকে তিন সপ্তাহ থাপ্পর মারামারি চলতে থাকলে দেখবেন রাস্তাঘাট বর্তমানের চেয়ে অন্তত চল্লিশভাগ বেশী ফাঁকা লাগছে।
ওয়ারেন্টি না,গ্যারান্টি দিলাম। বাকীটা থাপ্পর কমিটির চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
আশা করি একুশ শতকের ডিজিটাল বাংলাদেশ হওয়ার আগে এই কমিটির সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে এবং বাংলাদেশে ফ্লাইওভার ছাড়াই মাত্রাতিরিক্ত জ্যামজট নিরসন হবে।

কমিটির নামটি আমি প্রস্তাব করে দিয়ে গেলাম। বাকীটা ব্লগার মহোদয়ত্রের সদিচ্ছার প্রতিফলন মাত্র।

জ্যাম সড় থাপ্পর কমিটি কার্যালয়