Sunday, May 9, 2010

নারীর পেটে সমাজের বাচ্চা!

পার্ট-১

মাঝে মাঝে আমাদের বাসার সামনে দিয়ে বিভিন্ন হকার প্লাস্টিকের মাল স্বল্প মূল্যে বিক্রির জন্য চেঁচিয়ে পাড়া মাথায় তুলে। এদের সাথে বর্তমানের তরুণী মেয়েদের কোন পার্থক্য আমি দেখতে পাই না।
তবে হ্যাঁ,কিছু মেয়ে আবার এর চেয়েও নিম্ন পর্যায়ে চলে গেছে। এমনটা অবস্থায় বাংলাদেশের মত মুসলিম দেশের প্রতি আফসোস করা ছাড়া কোন গতি নেই।
মেয়েদের জন্মের পর সর্বপ্রথম যে মারাত্নক ভুলটা করছেন গুরুজন এবং সূধিমন্ডলীরা তা হচ্ছে ছেলেদের সাথে মেয়েদের সহশিক্ষার ব্যবস্থা করে।
আধুনিক মননশীলতার মেয়েরা যাই বলুন না কেন সহশিক্ষা হল মেয়েদের নিজেকে বেশ্যাবৃত্তির পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার শামীল। একটা ছেলের সংস্পর্শে এসে মেয়েরা উছৃঙ্খল এবং অশালীন আচরণের সৃষ্টি করে। অথচ তারা দাবি করতে চায় ছেলে আর মেয়েরা পাশাপাশি না দাঁড়ালে নাকি জাতি উন্নতি এবং আশার আলো দেখতে পাবে না!
তাদের পাশাপাশি একই সূত্রে কাজ করার মধ্যেই নাকি সমস্ত কল্যাণ নিহত!
যদি সত্যিই তাই হত,তাহলে আমি আমার মা-বোনকে পাঠাতাম কর্মক্ষেত্রে পুরুষের পাশে স্থান নেওয়ার জন্য।
তাঁরা যতই গুণ কীর্তন করুন সহশিক্ষার,এই সহশিক্ষার ফলেই অল্প বয়সী চেঙরা ছেলে-মেয়েরা অবৈধ প্রেম-ভালবাসায় জড়িয়ে পড়ে। ফলে একটি মেয়ে তার নিজের সর্বোচ্চ সম্পদ কুমারীত্ব দান করে একটি ছেলেকে যৌবনের নেশায় নেশাগ্রস্থ করে তোলে। তখন থেকে শুরু হয় ছেলেদের এ যৌনতার নেশা।
এর মূলে মেয়েদের বিভিন্ন উত্তেজক অঙ্গভঙ্গি ও বেপর্দা চরমভাবে প্রমাণিত।
অথচ এ সাধারণ,অথচ নিখাদ বাস্তব কথাটি নারী সমাজের কেউ স্বীকার করতে চান না। বরং তাঁরা উল্টো দাবি করে বসেন নারীর অধিকার ও সম্মানের কথা!
এ কথা সবাই জানে যে নারীও মানুষ,আর মানুষ মাত্রই সকলের সম্মান-অসম্মান রয়েছে। তাহলে তাঁদের আবার নতুন করে কি ধরনের সম্মান কিংবা অধিকারের দাবি থাকতে পারে তা আমার কাছে বোধগম্য নয়।
এ ধরনের দাবি করে নারীরা যদি নিজেদের পুরুষের সমকক্ষ বানানোর চিন্তা-ভাবনা করেন তবে তা পাগলামী ছাড়া কিছু নয়।
এ কথা ঠিক যে একসময় নারীদের উপর অনেক অত্যাচার-নির্যাতন হয়েছে,কিন্তু সেই অন্ধকার যুগ এখন দূর হয়েছে। কাজেই এ সময়ে যদি নারীরা পুরুষদেরকে অধিকারের মত একটি সামান্য বিষয়ে বিরক্ত করেন তাহলে শুধু আমি নই,আরো অনেকে ভাবতে বাধ্য হবেন যে নারীরা পূর্ব ইতিহাসের প্রতিশোধ বৈকি কিছু নিচ্ছেন না।

আলোচনার এই পর্যায়ে আমি একটু অন্য বিষয়ে যাচ্ছি। দেশে অনেক কর্মপ্রতিষ্ঠান আছে যেখানে নারীরা চাকরী করেন। অনেকে আবার বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুরুষদের চেয়েও বেশী বেতনাদি পেয়ে থাকেন। আমরা মুসলিম জাতি। এ কথা আমরা শুধু মুখে দাবি করি, তাই কেউ যদি কখনো ইসলামের বিষয়ে ভাল কোন ফতোয়া দেয় কিংবা হাদিস বলে,তাহলে কোন প্রকার দ্বিধা না করে আমরা সাথে সাথে তাকে মৌলবাদিদের দলে ফেলে দেই। আমাদের মুসলিমদের-ই যখন এই অবস্থা,তখন ভারত,বৃটেন কিংবা আমেরিকা প্রায়ই শুধুমাত্র সন্দেহের বশে মুসলিম আচরণের লোকদের গণহারে যেভাবে টেরোরিস্ট বলে মেরে ফেলছে তাতে আমি কোন দোষ দেখি না।
কারণ এ গল্পতো আমরা সবাই জানি যে ভাইয়ে ভাইয়ে যখন ঝগড়া-ফ্যাসাদ লেগেই থাকে,তখনই তো আশেপাশের প্রতিবেশী শত্রুদের আক্রমণের সুবর্ণ সুযোগ আসে।
তো,সেই সব বড় বেতন পাওয়া নারীরা কর্মক্ষেত্রে পুরুষদের সাথে যেভাবে ঢলাঢলি করে সোহাগ মাখা কথা বলেন তা বোধহয় স্বামীর সাথেও বলেন না। ইসলামের বোরখার বিধানতো তাঁরা মানেনই না,বরং উল্টো সামান্য আবেগের বশে তাঁরা বিবাহিত কিংবা অবিবাহিত উভয় অবস্থাতেই অবৈধ প্রেম-ভালবাসায় জড়িয়ে শেষ পর্যন্ত ভয়ংকর জ্বীনা পর্যন্ত করে বসেন।
কেউ যদি কখনো তাঁদের বোরখা পড়ার আদেশ বা অনুরোধ করে,তখনই দল বেঁধে শুরু হয়ে যায় নারী জাগরণ,নারী আন্দোলন,নারী উন্নয়ন সহ আরো কত প্রতিষ্ঠান!!!
খোলা পিঠে,খোলা বুকে,খোলা মুখে চলাফেরা করে যখন তাঁদের এত সুখ, নগ্ন দেহে চলাফেরা করে না জানি তাঁরা কত শান্তি পাবেন!
অনেক নতুনধর্মী সংস্কার বিরোধী আছেন যারা বলেন,নারী-পুরুষ একত্রে শিক্ষা,কর্ম এবং জীবন নির্বাহ করলে দেশের উন্নয়নে অশেষ অগ্রগতি হবে।
সেই সব সংস্কার বিরোধীরা বোধহয় বাংলাদেশকে নারী দূষণে ভরিয়ে আমেরিকার মত উন্নত করে ফেলতে চাইছেন। যাতে করে জীবনের অর্ধেক সময় সেই পাশ্চাত্যবাসীদের মত বয়ফ্রেন্ড আর স্বামী বদলে বাঙ্গালী মেয়েদেরও হান্ড্রেড পুরুষের পার্সেন্ট অভিজ্ঞতা হয়!!!
অবশ্য তাঁরা বলে থাকেন নারী-পুরুষের মন ঠিক থাকলেই হল। তাহলে আর পাপ কাজের সৃষ্টি হবে না।
কিন্তু একটা কথা কি পাঠকরা জানেন?
চোখের সামনে তেতুল দেখলে জ্বিবে পানি আসবেই-
কাজেই নারীরা যদি নিজেকে সাজিয়ে সুসজ্জিতভাবে পুরুষের সামনে প্রদর্শন করে,তাহলে তো পুরুষরা এই অশ্লীল সৌন্দর্যে বিভোর হবেই।
আর নারীরা যে হারে বোরখা পড়া বন্ধ করে যে রকম শারীরিক চলাফেরা শুরু করেছেন। রাস্তায় বেরোলে আমার প্রায়ই ভ্রুম হয়,কে আসছে, আমার আন্টি না বোন?
কাছে থেকে দেখে শিউর হই,আন্টিও না বোনও না, তাদের কাজের বুয়াতো অবশ্যই!
আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যদি হতে পারি,তাহলে আর কোন উন্নয়নের জোয়ার হোক কিবা না হোক,আগে পুরুষদের বোরখা পরিধান বাধ্যতামূলক করে দেব।
নারীরা তো তখন আন্দোলন নিয়েই ব্যস্ত, ব্যস, পুরুষরাও ঘরে বসে থেকে নারীর আয়-উপার্জন ভোগ করবে।
যাই হোক,এতক্ষণ তো কেবল একতরফাভাবে মেয়েদের-ই দোষ ধরলাম। আরেকটা দোষ যে এই নারীদের দোষকে মারাত্নকভাবে বাড়িয়েছে এবার তা নিয়ে বলা দরকার।
এ কথা অবশ্য অনেকের ধারণাতেই আছে।
বিষয়টা হল বাংলাদেশের ঘরে ঘরে টিভিতে ব্যবহৃত হওয়া স্যাটেলাইট চ্যানেল সমূহ। এ স্যাটেলাইট চ্যানেলের সিংহভাগ অংশ জুড়ে আছে ইন্ডিয়ান টিভি চ্যানেল।
তাদের চ্যানেলগুলোতে এখন এত বেশী অশ্লীল দৃশ্যাবলী দেখাচ্ছে যে তা দেখে নবম-দশম শ্রেণীর কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা প্রেম থেকে অবৈধ সম্পর্ক গড়ছে এমনকি এসব কারণে আত্নহত্যাও করছে। এই জানুয়ারী মাসেও বাংলাভিশন চ্যানেলের রিপোর্টে আমি এই আত্নহত্যার মত করুণ সংবাদ দেখেছি।
এখন আমি যদি সরকারকে অনুরোধ করি এইসব ইন্ডিয়ান চ্যানেলগুলো সম্পূর্ণরুপে বন্ধ করে দেওয়ার জন্য,তাহলে দেশের মানুষ আমাকে জুতা দিয়েও পিটাতে আসতে পারে।
কারণ ইসলাম কিংবা পরকাল,এ দুটির কোনটিই মানুষের হৃদয়ে প্রবেশ করবে না,প্রবেশ করবে বর্তমান সময়ের আনন্দ-বিনোদন চিন্তা।
আমাদের এক বড়ভাই আছে যে মানুষকে বিভিন্নভাবে ফাঁদে ফেলে টাকা আদায় করেন। কেউ যদি বলে-ভাই,আজ টাকাটা আমার দরকার,কাল দিব। তাহলে ওই ভাই বলেন-আরে বেডা কাইলকা বাঁইচা থাকলে সেনা তোর টেকা খামু। যদি মইরা যাই তেয়লেতো খাইতে পারুম না। তুই এহনি দিবি।
মানুষের হিসাবও এখন এই রকম।
অবশ্য আমিও যে টিভি চ্যানেল দেখি না তা নয়,কিন্তু আমার মত কয়জন আছে যারা এসব দৃশ্যাবলী দেখে মনকে কুরুচিপূর্ণ কামনা থেকে নিবৃত রাখতে পারবে?
পারবে না বলেই আজ ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন মানুষ করছে ওয়েব সেক্স। নারীরাও এই ক্ষেত্রে একধাপ এগিয়ে আছে।
হেন কুরুচিপুর্ণ দৃশ্য নেই যা নারীরা করছে না। পুরুষের সাথেও তাদের মন ভরেনি বিধায় জন্তু-জানোয়ারের সাথেও তারা দৈহিক সম্পর্ক শুরু করেছে। এ কেয়ামতের আলামত ছাড়া কিছুই নয়।
নেটে প্রায় প্রত্যেকটা সাইটই নারীর এসব অবৈধ যৌনদৃশ্য আপলোড করছে। সেখানে পাশ্চাত্যের পাশাপাশি বাঙালী,পাকিস্তান এবং ইন্ডিয়ার সেক্স ভিডিও-ও স্থান পেয়েছে গর্বের সাথে।
নারীরা সামান্য কারণে যদি এভাবে পুরুষের সাথে বিবাহপূর্ব অবৈধ যৌন সম্পর্ক শুরু করে,তাহলে হয়তো শেষ পর্যন্ত আমার মত পুরুষও নিজেকে শিকলের বেড়াজালে ধরে রাখতে পারবে না।
হাজার হোক,আমিও মানুষ। পাপের উর্ধ্বে নই আমিও।
কাজেই দেশ থেকে প্রথমে সমস্ত বিদেশী নারী সংস্থা দূর করে দিতে হবে। নারী-পুরুষ যাতে রাস্তা ঘাটে প্রেম ভালবাসায় মজতে না পারে সেজন্য সরকারকে কঠোর আদেশ জারী করে দিতে হবে যাতে রাস্তায় এমন ঘটনা কেউ একবার করলে দ্বিতীয়বার আর করার হিম্মত না হয়।



নারীর পেটে সমাজের বাচ্চা!
পার্ট-২

ভাইরে, গত পোষ্টে প্রথম পর্ব দিয়েই আমার আক্কেল হয়েছে। আমি ভুলে গিয়েছিলাম যে দেশে কিছু সমালোচনাকারী আছেন যারা কেউ কোন নীতির চর্চা করলে তাকে সমাজবিরোধী কিংবা মাদ্রাসার ছাত্র বলে গণ্য করে দেবেন। তাঁরা আমাকে পাগল বলে ঠাউরেছেন গত পর্বে। দুঃখের সাথে জানাতে বাধ্য হচ্ছি যে তাঁদের ঘরের মা-বোনদের সম্ভবত তিনি সেই একই লাইনে ছেড়ে দিয়েছেন।
তাঁদের বিচারবুদ্ধির ওজন নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। তাঁরা আমাকে শুধু গালাগালিই করেছেন, কিন্তু আমার প্রশ্নের জবাব না দিয়ে বলেছেন যে আমার মানসিক হাসপাতালে যাওয়া উচিত।
একজন ব্লগারকে যদি তার লেখার জন্য মানসিক হাসপাতালে যেতে হয়, তাহলে তাঁরাও তো ব্লগে লেখালেখি করছেন। এখন আমিও কি তাঁদের পাগল ভাবব?
তাঁরা এও বলেছেন যে বাংলাদেশের মাদ্রাসাগুলো বন্ধ করে দেওয়া উচিত। তাঁদের দুঃখের সাথে জানাতে বাধ্য হচ্ছি যে আমি কোন মাদ্রাসায় পড়াশোনা করি নি, করেছি সাধারণ স্কুলে।
তাঁদের মত বিদ্রোহী ব্লগারদের জন্য আমি যদি আমার মন্তব্য প্রকাশ করতে না পারি, তাহলে আপনারাই বলুন সমাজের অশান্তির জন্য দায়ী কারা?
এজন্যই বলে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করা ঠিক নয়। তাঁরা একে তিল থেকে তাল বানাতে চাইছেন। আমার মনে হয় পাবনা হাসপাতালে তাঁদের সিট পাওয়ার জন্য ব্যক্তিগতভাবে আমারই সাহায্য করা উচিত।

বি.সি.এস IT Fair-2010 এর শুরু থেকেই যাই যাই করে যাওয়া হচ্ছিল না। বন্ধু-বান্ধব অনেকেই ঘুরে এল কিন্তু আমি সময় করতে পারলাম না। এর মধ্যে আমার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু কলিন্স-এর কম্পিউটার আসুসের মাদারবোর্ডের সিডি মিরপুরে কোথাও খুজে পেলাম না। তাই বাধ্য হয়ে দুইজন গেলাম বিসিএস আইটি ফেয়ারে। মেলা বলতে বরাবর আমরা যা দেখে আসছি তার সম্পূর্ণ আঙ্গিক-ই পাল্টে দিয়েছে এই মেলার আয়োজক এবং প্রযোজকরা।
কারণ সারা বছর বিসিএস কম্পিউটারে ভবনে যা দেখা যায় ঠিক তাই আছে।
না হয়েছে এর কোন পরিবর্তন,না হয়েছে এর নতুন কোন আকর্ষন।
কারণ গতানুগতিকভাবে এ ভবনে যে সমস্ত কম্পিউটার ও এ সম্পর্কিত যন্ত্রপাতি থাকে তার কোন পরিবর্তন করা হয়নি এ মেলায়।
তবে হ্যাঁ, পরিবর্তন হয়েছে দুইটি। যা সবাই উপভোগ কিংবা ভোগ করেছেন।
এক, মেলা নাম দিয়ে পণ্য সামগ্রি বিক্রির জন্য লোভনীয় গলা কাটা অফার।
দুই, যদি বলে একটা কথা আছে না। সেই যদির জন্য যদি পণ্য বিক্রি কমে যায়, না সে রিস্ক কিছুতেই নিবেন না বিসিএস কম্পিউটার মেলার আয়োজকরা। তাইতো দোকানে দোকানে পণ্যের বদলে এসেছে নিত্য-নতুন সদ্য যৌবনাপ্রাপ্ত যুবতী নারীগুলো। পণ্যের চেয়ে তারা অনেক বেশী মূল্যবান সম্পদ!
যারা কিছু কিনবেন না, তাঁরাও একবারের জন্য হলেও ঘুরে যাবেন বিসিএস কম্পিউটার ফেয়ারে। স্বয়ং আমার বন্ধু এসে আমাকে বলল যে বিসিএস মেলায় নাকি সুন্দরী মেয়েদের অর্ধউলঙ্গ এভারেস্ট পাহাড় দেখা যায়!
পাবলিক যারা দেখতে আসবে,তারাও মেয়েদের দেখে গদগদ হয়ে আর তাদের ছোলানো-চোবানো কথা শুনে হয়তো দুই/একটা পণ্য কিনবে, এই আশ্বাস ছাড়া আর কি দিতে পারে ওই সমস্ত একাধিক প্রেম করে হিন্দুদের দেবী বনে যাওয়া মেয়েগুলো?
মানুষের কথা আর কি বলব, স্বয়ং আমার বন্ধু একজন এসে আমাকে বলল বিসিএস আইটি ফেয়ারে নাকি মাত্র বিশ টাকা দিয়ে মেয়েদের পাহাড় দেখা যায়।
সেই দিনই সে গিয়েছিল ওই মেলায়।
আমি যে একেবারেই দুধে ধোয়া পবিত্র মানুষ তা নয়, তবে বিসিএসে গিয়ে আমি আর কলিন্স দশ মিনিট পরই বেরিয়ে গেছি সিডিটা কিনে।
শুধুই কি বিসিএস? বাণিজ্য মেলা থেকে শুরু করে ডেসটিনি-২০০০ লিঃ,বিভিন্ন এনজিও কোম্পানী সবখানেই মেয়েদের চাহিদা অকল্পনীয় বেশি।
আমার এক বড়ভাই বলেন- তোর কি আছে যে তোকে চাকরি কিংবা গুরুত্বপূর্ণ কাজে নিবে? মেয়েদের নিচ্ছে এবং নিবে কারণ তাদের ওইটা(!!!) আছে। তোরতো আর ওইটা নেই।
আমি ভেবে পাইনা এর কারণ কি?
পরীক্ষা করবেন?
ফেসবুকে একটা একাউন্ট খুলুন যে কোন মেয়ের নাম দিয়ে। দেখবেন স্বল্প সময়ের মধ্যে আপনার ফ্রেন্ড লিস্টে কয়েক হাজার ছেলে আপনার অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।
আর ছেলে নাম দিয়ে খুলুন,কেউ আপনার প্রোফাইলে ভিক্ষা দিতেও আসবে না।
এই দোষ শুধু তাদের নয়, আমার-আপনার সবার।
কেন আমাদের চরিত্রের এই অধপতন বলতে পারেন?
থাক, আমি জানি এখানে খুব বড় বড় কথা বলে রাতের আধারে আমার কামোত্তজনাকে আমি দমন করতে পারব না। তবে এটা ঠিক, আল্লাহ যদি রহম করেন আর কোনদিন কান্দুপট্টিতে যাওয়া হবেনা। হয়তো হস্তমৈথুন করা হবে অসংখ্যবার।

সমাজের আলোচনায় আসি, আমাদের বাঙ্গালী জাতির একটা সুনাম আছে। তা হল যে আমরা একগুঁয়ে জাতি,বিশেষ করে দেয়ালে পিঠ ঠেকলে আমরা সবাই কম-বেশী রুখে দাঁড়াতে জানি।
তো,পৃথিবীতে যত মানুষ আছে তাদের নির্দিষ্ট একটা অংশকে আমি দুই ভাগে ভাগ করেছি। একটি হল, আরাপাগলা জাতি,আর অপরটি পাগলা জাতি।
আমাদের বাঙ্গালী জ়াতিরা হল আরাপাগলা জাতি। তাদের তেমন সম্পদ-সম্ভার নেই। কিন্তু মোটামুটি কৃষ্টি-কালচার আছে।
কেউ যদি আমাদের এই কৃষ্টি-কালচার দখল করার চিন্তা করে, অমনি আমরা এর জন্য মহা স্বরগোল তুলে নিজেদের সংস্কৃতির ঐতিহ্য রক্ষা করতে সচেষ্ট হই। যার প্রমাণ আমাদের ভাষা আন্দোলন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ ইত্যাদি।
এ সংগ্রাম শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বের ইতিহাসেও একটি উল্লেখযোগ্য আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
অথচ অন্যদিকে আমাদের দেশীয় স্বচ্ছলতা এবং সমৃদ্ধির অবস্থা একেবারেই করুণ। নিজেরাই যখন খেতে পাই না, তবুও কোন কারণে আমরা আমাদের স্বল্প একটু সম্পদ কিংবা বিপদে মাথা গোজার ঠাই যাই বলি না কেন, সেইসব বিদেশে অঢেল হস্তে পাচার করে দেই।
এ শুধু গ্যাস ইন্ডিয়ায় পাচারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়,বরং বিদ্যুৎ থেকে শুরু করে খাদ্য-শষ্য পর্যন্ত আমরা ডলারের আশায় রপ্তানী করি।
ডলার তো আর কম হল না! তাহলে এখন লাগামহীন উর্ধমুখী খাদ্যমূল্য স্থিতি হচ্ছে না কেন?
আমি মনে করি যে দেশে বাইনচোদ মানসিকতার লোকজন নেতাগিরি ফলায়, সে দেশে কস্মিনকালেও কোন উন্নতি হবে না।
ওদিক দিয়ে আমেরিকা, বৃটেনের মত পাগলা জাতিরা যদিও পায়খানা থেকে প্রাপ্ত সত্তুর দশকের পিতলের বদনা শুধু মাত্র এনটিক মূল্যের কারণেই লাখ লাখ ডলারে বিক্রি করে, তবুও তাদের মাথায় কিছু প্রতিভা তো অবশ্যই আছে।
তারা স্বপ্ন দেখে দেশ এবং মানুষকে বদলে দেওয়ার। আর আমরা স্বপ্ন দেখি দিনকে বদলে দেওয়ার।
উদ্দেশ্য এক,প্রয়োগ ভিন্ন।
যাই হোক,রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চাই না। আলোচনা করতে চাই সমাজ এবং নারী বিষয়ে।
ব্লগার ভাইদের কাছে একটি অনুরোধ, যদি পারেন তাহলে আজ থেকে প্রতিজ্ঞা করেন যে খোলা পিঠের মেয়ে কিংবা মহিলা যেখানেই থাকুক। বাড়িতে,অফিসে কিংবা পার্টিতে,তাদের পিঠের মধ্যে যদ্দুর জোরে সম্ভব চটাশ করে থাপ্পর মেরে দিবেন।
আর যদি তা না পারেন তাহলে আমার কাছে খবর দিবেন। আপনার লজ্জা ঢাকবার জন্য দেশে আমি ইনশাআল্লাহ পুরুষদের বোরখা পরিধানের ব্যবস্থা করব।
গত সংখ্যার লেখা যারা পড়েছেন তাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো ভাবছেন আমি পুরোপুরি পুরুষবাদী।
ভুল, আমার মধ্যেও কামনার লেলিহান শিখা জ্বলজ্বল করে দীপ্তি ছড়ায়।
কামের উত্তেজনায় আমিও অধির হয়ে বঙ্গের মাতাল রমণীদের আশায় অস্থির হয়ে যাই।
কিন্তু গত চার বছরের সেক্সুয়াল জীবনে আমি মাত্র একবার এক কান্দু পট্টিতে যেয়ে অপি নামের পনের বছর বয়সী এক মেয়ের সাথে যৌনলীলা সাঙ্গ করেছি,তাও মেয়েটি আমাকে বিষেশভাবে অনুরোধ করেছে বলেই। কিন্তু আমি তারপরেই বাসায় যেয়ে এই ভেবে ভয়ে অস্থির হয়েছি যে একদিন তো আমাকে মরতেই হবে। তখন আল্লাহ কি আমাকে ছাড়বেন?
তখন তো গরুর গোশত যেভাবে পার্ট পার্ট করে ঝুলানো হয়,সেভাবে ঝুলিয়ে আমার আর ওই মেয়েরটা পুড়ানো হবে।
কিন্তু আজকের বাঙ্গালী ললনাগুলো কিভাবে যে বাবা-মায়ের মাথা কেটে বয়ফ্রেন্ড কিংবা লাভারের সাথে সেক্স করে তার ভিডিও টেপ বের করে ব্লুটুথ এবং ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়!!
এসব সমস্যাগুলো দিনদিন প্রকট আকার ধারণ করছে। অথচ বাবা-মায়েরা তেমন হুশিয়ার হতে পারছে না।
হলেও আধুনিক যুগের মেয়েরা ফু মেরেই বাবা-মাকে বোকা বানাচ্ছে।
রাস্তা-ঘাট থেকে শুরু করে সকল স্থানে চলছে অবৈধ অসামাজিক কার্যকলাপ।
দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা,সামাজিক ব্যপক দুর্নীতি এসব বাংলাদেশ থেকে কস্মিনকালেও দূর হবে কিনা সন্দেহ আছে আমার।
দেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কথা ভাবুন একবার। সত্তর দশকে বাংলাদেশ,ইন্ডিয়া এবং পাকিস্তানের প্রযুক্তি তথা ফিল্ম শিল্প ছিল একই রকম সমগোত্রীয়।
অথচ আজ এই দিনে এসে বাংলাদেশ এমন পর্যায়ের ছবি তৈরি করছে যা দেখে ভদ্র এবং সূধী দর্শকরা ব্যাঙ্গের হাসি ছাড়া আর কিছুই উপহার দিতে পারছেন না।
এর ব্যর্থতার মূলে বাংলাদেশ সরকার। সরকার যদি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির দায়িত্ব আরো আগে কোন বেসরকারী সংস্থাকে দিয়ে দিত,তাহলে সেখানে প্রচুর ইনভেস্ট হত এবং দেশের চলচ্চিত্রের এই ধ্বস আমাদের বিংশশতাব্দীর লোকদের দেখতে হত না।
তবুও আশার কথা এই যে ইদানিং দেশে বিকল্প ধারার ফিল্ম তৈরি হচ্ছে যা দর্শক দ্বারা প্রশংসিত। তবে এক্ষেত্রে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম-এর অবদান অনস্বীকার্য।
তারা ছবি তৈরির সময় কাহিণীতে বৈচিত্র আনার চেষ্টা করে। তবে তারা শুধুমাত্র ইনভেস্ট এর অভাবে একটা সুন্দর কাহিণীকে প্রয়োজনমত এনিমেটেড করতে পারে না। তাছাড়া দেশের ক্যামেরাগুলো ততটা উন্নত প্রযুক্তির নয় যতটা উন্নত হলিউড-বলিউডে ব্যবহৃত হয়।
ইন্ডিয়ার সিরিয়াল কিংবা ছবিগুলোর প্রিন্ট সাধারণত অত্যন্ত ঝকঝকে হয়। এছাড়াও তাদের কাহিণী একটানা দর্শককে ধরে রাখতে পারে।
ফলে দেশীয় অনেক দর্শকই বাংলা চ্যানেল ছেড়ে ইন্ডিয়ান সিরিয়াল কিংবা নাটক দেখতে বেশী পছন্দ করে।
এ ব্যর্থতা আমাদের একার নয়, গোটা দেশের।
(চলমান)


নারীর পেটে সমাজের বাচ্চা!
পার্ট-৩




গত বছরের মাঝামাঝি সময়ের ঘটনা। আমি আর আমার বন্ধু পনির (ছদ্বনাম) মিরপুর এক নাম্বারে রাত দশটার সময় বসে ফুচকা খাচ্ছিলাম। শীতের রাত, মানুষজন একটু তাড়াতাড়িই বাসায় ফিরে যাচ্ছে। ফলে রাস্তা-ঘাট বেশ নির্জন হয়ে পড়েছিল। এ সময় একটা বেশ সুন্দরী মেয়ে আমাদের কাছে এসে দাঁড়াল।
পাশে বসে ফুচকা খেতে খেতে বিচিত্র অঙ্গভঙ্গি করতে লাগল। পনির প্রথমে ব্যপারটা বুঝতে পারল না। খানিক বাদেই বিষয়টা সে পরিস্কার বুঝতে পারল। তার মাথায় শয়তান নাড়া দিয়ে উঠল।
নির্লজ্জ আগ্রহ নিয়ে মেয়েটাকে এক নজরে দেখতে লাগল। বুঝতে পেরে মেয়েটাও উৎসাহিত হয়ে উঠল।
সে কোনরকম সঙ্কোচ ছাড়াই পনিরের কাছে এসে দাঁড়িয়ে তার নাম জিজ্ঞেস করল।
শুরু হয়ে গেল তাদের আলাপ। আমি পনিরের কানে ফিসফিস করে বললাম,
-এসব মেয়েরা মোটেও ভাল নয়, পটিয়ে নিয়ে সব রেখে দিবে।
-কি করে?
-ওদের পরিচিত ছেলের দল আছে, যাদের মাধ্যমে তারা বেকুব পাবলিককে ফাঁদে ফেলে।
পনির আমার কথা বিশ্বাস করল না। বলল,
-কিযে বলিস না! মেয়েটার চোখ দেখেছিস? কি রকম মায়াময় চাহনী। ওর সাথে আমি ফ্রেন্ডশীপ করতে চাই।
সেরেছে! মনে মনে ভাবলাম আমি। পনিরতো পুরোপুরি গেছে। তাও আবার রাস্তার ধান্দাবাজ মেয়ের পাল্লায়।
আমি মেয়েটার চোখের দিকে তাকালাম। সন্দেহ নেই, বেশ সুন্দরী। কিন্তু চোখগুলোয় অস্বাভাবিক কিছু যেন আছে। কি সেটা ধরতে পারলাম না আমি। ফলে সেখানেই সবচেয়ে বড় ভুল হয়ে গেল।
খানিকবাদে মেয়েটার বাসা চিনার জন্য পনির নিজ হতে যেচে পড়ে বলল,
-এত রাতে আপনি একা একা বাসায় যাবেন, সমস্যা হতে পারে তো। চলুন আপনাকে পৌছে দিয়ে আসি।
মেয়েটা মুচকি হাসি দিয়ে বলল,
-না থাক, তার দরকার হবে না।
তবুও পনির কিছুক্ষন জোড়াজুড়ি করতে মেয়েটা রাজী হয়ে গেল। মেয়েটার নাম দিনা। সম্ভবত ভাওতা একটা নাম। বাসা নাকি স্টেডিয়ামের পিছনে।
আমি পনিরকে নিষেধ করতে লাগলাম। তবুও ও মেয়েটার বাসা চিনার জন্য দু’পায়ে দাঁড়িয়ে গেল।
ওরা দুইজন এক রিক্সায় উঠল,আমি আলাদা একটা রিক্সায় উঠলাম। মিনিট দশ পরে স্টেডিয়ামের সামনে রিক্সা থামল।
হেঁটে আমরা স্টেডিয়ামের ভিতর দিয়ে পিছন অংশে চলে এলাম। গেট দিয়ে বের হওয়ার সময় আচমকা কয়েকটা ছেলে সামনে এসে দাঁড়াল। সবার হাতে ছুরি।
আমি আর পনির যা বুঝার বুঝে নিলাম। মেয়েটার ব্যবহার এবার হল দেখার মত। অস্রাব্য গালিগালাজ করতে করতে পনির আর আমাকে কলার ধরে টেনে পাকা স্লাপে বসাল। তারপর শুরু হল এ্যাকশন। জোর করে চার/পাঁচটা থাপ্পর মেরে আমাদের দুইজনের মোবাইল আর ক্যাশ টাকা পয়সা রেখে দেওয়া হল।
সেই থেকে পনিরের শিক্ষা হল। মেয়েটার পেশার প্রশংসা করতে হয়। নিজের রূপের যোগ্যতায় সে ধান্দা করে বেড়াচ্ছে।
ঢাকা শহরতলীতে এই ধরনের অসংখ্য মেয়ে রয়েছে। অবশ্য এই পেশা ছেড়ে ওইসব মেয়েদের হিজড়াদের পেশা ধরা উচিত হবে আমি মনে করি।
রাতের অন্ধকারে আর ধান্দা নয়, দিনের আলোয় ডাকাতি করতে সুবিধা হবে তাদের।
কোন রিস্কও নেই।
গত পরশু দিন একটা বিশেষ দরকারে রাত এগারোটায় মিরপুর মাজারে গিয়েছিলাম। সেখানে দেখতে পেলাম সেকি এলাহী কান্ডরে বাবা!
মাজারের প্রাঙ্গনে রাতের শো বসেছে। দর্শক হল কুলি-মজুর থেকে কামলা,মিস্ত্রি এবং রিক্সাওয়ালা সবাই আছে। খাজা বাবার ওরস উপলক্ষে গানের আসর। ঘোষক ঘোষনা দিল,
-খাজা বাবার গুন কীর্তন করতে স্টেজে আসছেন বাউল গায়িকা মমতাজ বানু।
দশ মিনিটের জন্য আমি থমকে দাঁড়ালাম কি ঘটে দেখার জন্য।
স্টেজে উঠে এলেন গায়িকা মমতাজ বানু। গান শুরু হল আউলা চুল নাচিয়ে নাচিয়ে।

ওরেও প্রাণ সোহাগী,ওরেও রসের ভাগি,
আইজকা কোন দিবস,
ধনের রাজা,প্রাণের রাজা
খাজা বাবার ওরস।
ওরে,রান্ধ যত পোলাউ-কোর্মা,রান্ধ যত ফির্নি,
তারচেয়ে মজা হায়রে খাজা বাবার শিন্নি।
গানের তালে তালে কিছু মুরুব্বি গোছের শুভ্র দাঁড়িওয়ালা লোকেরাও নাচছে। মাজারের মেইন গেটের সাথেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। মাজারে অনেকটা উৎসবের আমেজ। এক মহিলা বাউল গায়িকার গানই ভরিয়ে দিচ্ছে হাজারো মন্ডাভুক পুরুষের হৃদয়। মহিলার গলাটাও দশাসই।
বাজী ধরে বলতে পারি, কোন ভাঙ্গা বনের ফাটা বাশে যে আওয়াজ হয় তারচেয়ে কম হবে না।

আমাদের আজকের বাঙ্গালী বোনেরা আর নায়ক রিয়াজকে পছন্দ করে না। করে ম্যাট্রিক্স কিংবা অ্যাভাটর (AVATAR) ছবির নায়ককে, বলিউডের কিং খানকে তো অনেকে পছন্দ করা ছেড়েই দিয়েছেন। বয়স বেড়ে গেছে বলে কথা।
এখন তাঁদের পছন্দ নায়ক ইমরান হাশমী কিংবা রণবীর কাপুরকে।
দুই চারজন বান্ধবী মাঝে মাঝে আমাকে বলে তাদের জীবনের সেরা স্বপ্নগুলোর কথা। সেই স্বপ্ন হল পছন্দের নায়ককে জড়িয়ে ধরে লিপকিস করা, আর পারা গেলে তাদের সাথে এক বিছানায় রাত যাপন।
এখন আমার বান্ধবীদের মত আর কেউ যে এ দেশে নেই তা আমি স্বীকার করছি না।
অবশ্যই আছে। কিন্তু পুলিশ কি দেশের সব চোরদের ধরে প্রকাশ্য হাইকোর্টে চোর প্রমাণ করতে পারবে?
অধিকাংশই তো রয়ে যাবে ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
যাই হোক, কথা তা নয়। মেয়েদের বিষয়ে পুলিশকে টানা উচিত হবে না।
তাঁরা দেশের মহান কারিগর। বর্ষার সময় তাঁরা শুধু নৌকায় চড়েন, ওই সময়ে ধান না খেলেও চলে তাঁদের।
অবশ্য মন্দার সময় তাঁরা শুধু ধান খান। পর্বত প্রমাণ পানি আসলেও তখন তাঁরা নৌকায় উঠেন না।
আপনাদের এই মূহুর্তে একটা ধন্যবাদ দিতে চাই। না দিলে আমি ছেলে নিমকহারাম বলে গণ্য হব।
আপনাদের অনুপ্রেরণার পর আমি এই প্রবন্ধটি পার্ট আকারে প্রকাশে উৎসাহ পেয়েছি।
আশা করি সমালোচকরা আমাকে নিয়মিত পাগল বলবেন, (হাজার হোক,আমার গোত্রীয় বংশ কিনা!) আর যারা আমার গুণগান গেয়ে আমাকে এই ছিঁড়া-ফাড়া পথে চলতে সাহায্য করেছেন, তাঁদের আমি কথা দিচ্ছি, আগে পিছে আমি তাঁদের সাথেই থাকব। (একই পথের পথিক)
যাক, বহুত রসকষ হল। এবার কার কি হয়েছে তা নিয়ে আলোচনায় আসি। একটা গোপন কথা বলতে চাই।
সেটা হল, এই যে আমি মেয়েদের নিয়ে আশেপাশের এত ঘটনা লিখছি, এ ধরণের ঝুলি ভড়া এক্সপেরিয়েন্স আমার নিজেরও কিন্তু যথেষ্ট আছে। কিন্তু আমি এই ভেবে ভয়ে লিখছি না যে, একেতো অন্যের ঘটনা লিখাতেই তেনারা রেগে ফায়ার হয়ে আমাকে বিশিষ্ট সম্মানিত হিসাবে ঘোষনা করেন, আর যদি আমি নিজের ঘটনা লিখি, তাহলেতো কাজ সারা!
তেনারা এবার বলবেন যে আমি পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে মেয়েদের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছি।
তো দেশে যদি তেনাদের মত ওভার স্মার্ট, মাদ্রাসা পড়ুয়াহীন জলকুস মাস্টার না থাকত তাহলে আমি অবশ্যই অন্তত আপনাদের সৌজন্যে লিখতাম।
পাইকপাড়ায় ফারিয়া নামে আমাদের ফ্রেন্ডের এক বান্ধবী আছে। তার চেহারাটা আমার কাছে বেশ মায়াময় মনে হত।
কি কারণে আমি জানি না, এখনো মেয়েদের দেখলেই তাদের মুখে আমি রাজ্যের সরলতা আর চঞ্চল হরিণীর মত মায়াবী চাহনী দেখতে পাই।
সবাইকে তো আমি ভালবাসি না, তাহলে কেন সবার প্রতি এই মিছে আদর মিশ্রিত শুভেচ্ছা?
তবে কি এটা কারেক্টর লুজ?
না, তাহলে সেই সব তেনাদের মত আমিও মেয়েদের মুখে না তাকিয়ে আগে বুকে তাকাতাম।
তো সেই ফারিয়া যখন প্রেগনেন্ট হল, আমিতো অবাক। তাও আবার এস.এস.সি পরীক্ষা দেওয়ার অনেক আগেই।
আমার সেই ফ্রেন্ডটাই যে এ ঘটনা ঘটিয়েছে তার কোন গ্যারান্টি নেই। কারণ ওই ফ্রেন্ডের মত অন্তত আরো চার/পাঁচটা বয়ফ্রেন্ড আছে ফারিয়ার। তাদের যে কারো দ্বারাই তো এ ঘটনা ঘটাতে পারে ফারিয়া, নাকি?
এরপর সর্বশেষ ফারিয়াকে নিয়ে সবচেয়ে বেশী অবাক হলাম গত বছর এস.এস.সি পরীক্ষা শেষে। ফারিয়া একবার নয়, দুইবার নয়, তিন তিনবার গর্ভবতী হয়েছে!
শেষের দুইবারই ফ্যামিলির হাতে ধরা এবং উত্তম মাধ্যম খেয়েও কুকুরের লেজ বার বছরে সোজা না হওয়ার মত ঘটনা ঘটেছে।
আমার এ কথা বলার উদ্দেশ্য হল এই, একজন মানুষ, তা সে ছেলে হোক কিবা মেয়ে হোক। জীবনে যদি সে কখনো কঠিন কোন ঢুশ খায়, তাহলেই তার হুশ হয়ে যায়।
তবুও কিছু বেলায়েক,বেত্তমিজ তো থেকেই যায় শিক্ষার বাইরে। এখানে তারই উদাহরণ দিলাম।
আর ভাল লাগছে না। বিশ্বাস করুন, মেয়েদের এসব কুৎসা রচনা করার ইচ্ছে মোটেও আমার নেই।
কিন্তু তাদের কিছু চামচ আছে, যারা মেয়েদের নামে কিছু শুনলেই বাংলা ছবির নায়কের মত “তোর এত্ত বড় সাহস!” বলে ঝাপিয়ে পড়ে। আমি আসলে তাদেরই হুংকার শুনতে চাই।
পাশাপাশি যদি বাংলার নারীরাও নিজেদের গায়ের গন্ধ দূর করার একটু চেষ্টা চালায় আমার এ চামার মার্কা লেখা পড়ে, তো মন্দ কি।
এটুকু তো ভাবতে পারব। বাংলাদেশে আমার লক্ষ-কোটি মা-বোনেরা, যাদের শ্রদ্ধেয় পিতা-মাতা মহান একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন, সেই সব মহৎ প্রাণ লোকের কন্যাদের আমিই সঠিক পথে এনেছি।
অবশ্য তেনারা,
মানে যেইসব চামচের কথা বললাম, তারা যদি বাঁধা দেয়,তাহলে তারাই নিজেদের কর্মের জন্য একদিন নিজেরা ইয়া নাফসি করবে।



নারীর পেটে সমাজের বাচ্চা!
পার্ট-৪


সেদিন সহশিক্ষা এবং সহকর্মী হিসাবে মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেদের থাকার খুবই গুরুত্ব দিয়েছিলেন আপনাদের অনেকে। এখন যেই ঘটনা বলব তা শুনে আপনারাই বিচার করবেন যে সহকর্মী হিসেবে মেয়েদের প্রয়োজন কতটুকু।
বেশ কিছুদিন আগে গিয়েছিলাম মিরপুর দুই নম্বরে এক বিখ্যাত সুপার ভ্যালুশপে, ঢুকেছিলাম কিছু কেনাকাটার উদ্দেশ্যে। ভিতরে যেয়ে দেখি ছেলেদের চেয়ে মেয়ে কর্মীর সংখ্যাই বেশী। বেশীরভাগই পার্টটাইম জব করছে,স্টুডেন্ট তারা।
যেখানে কসমেটিকস পাওয়া যায় সেখানে এগোলাম আমি।
সুপার ভ্যালুশপে শোরুমের ভিতরেই গুদাম বা গোডাউনে যাওয়ার আলাদা দরজা থাকে,সেখান দিয়ে তাদের নিজস্ব লোকজন আসা-যাওয়া করে।
হঠাৎ সেখানের এক দরজায় আমার নজর আটকে গেল। জায়গাটা মিরপুরের সনি সিনেমা হলের পাশে বিখ্যাত সুপারভ্যালু শপের একেবারে ভিতরের দিকে। একটি মেয়ে,শপের কর্মী। হাতে কাগজ নিয়ে দরজা ঠেলা দিয়ে ঢুকল।
দরজার ফাঁক দিয়ে আমি স্পষ্ট একটা ছেলের হাত বেড়িয়ে আসতে দেখলাম। ছেলেটা মেয়ের গায়ের শার্ট ধরে সজোরে টান দিয়ে নিজের বুকের কাছে নিয়ে এল।
তারপর তাদের মাঝে বেশ কিছু ঘটনা ঘটে গেল। আমি ফিসফাস শব্দ আর উত্তেজিত ভঙ্গির কথা-বার্তা শুনতে পেলাম।
বুঝতে পারলাম তারা একজন আরেকজনকে পছন্দ করে।
ছেলেটার হাত পলকে পলকে মেয়েটার শরীরের বিভিন্ন স্থানে চলে যাচ্ছে। এভাবে প্রেম করে কোন লাভ নেই মেয়েটা কি তা বুঝছে না।
দেখা গেল পরে ছেলেটার কিংবা মেয়েটার পরিবার কেউ হয়তো বিয়েতে মত দিবে না।
আর আজকালকার মেয়েরা তো আর দুধে ধোয়া পানি নয়। তারা পুরুষের মতই এন্টারটেইনমেন্ট করতে পছন্দ করে। তাইতো কমবেশী সকল আধুনিক উগ্র মেয়েদের একাধিক বয়ফ্রেন্ড এবং সিঙ্গেল একটা লাভার অবশ্যই থাকে।
অবশ্য দুই/চারজন অতিবমেয়ে আছে। মানে তারা সম্ভবত ভুল ক্রমে পৃথিবীতে মেয়ে হয়ে এসেছে। কিন্তু তাদের আচার-আচরণ দেখে শুনে মনে হয় পরিপূর্ণ ছেলে। ভাগ্যিস তারা ছেলে হয়ে আসেনি বলে রক্ষা।
আসলে আর খবর থাকত না। যৌবনের শুরুতেই নিশ্চয়ই যৌন হয়রানিতে শীর্ষে উঠে গিনেস বুকে নাম লিখাত।
ওই সব মেয়েগুলোর ধারণা যার যত বেশী লাভার,তার তত বেশী ক্রেডিট। ক্রেডিট বুঝেন তো,তাহলে নাকি ওই মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে আর কাউকে চিন্তা করতে হবে না। সে একাই ছেলেদের ভেজে খেতে পারবে।
এই ধরণের মানষিকতার মেয়েরা যে কি করে আমাদের মত সমাজে আমাদেরই প্রশ্রয়ে আমাদের চারপাশে ঘুরে বেড়ায় তা আমার বোধগম্য নয়।
আপনাদের আশেপাশে তাকালেই বুঝতে পারবেন তাদের সংখ্যা কি আকারে বেড়ে গেছে।
এর মূল কারণ আমাদের সংস্কৃতি নামের মিডিয়ার বিভিন্ন বেহায়াপনা। তা আমি আগেও একবার উল্লেখ করেছি। এ সম্পর্কে আপনাদের হয়তো পরিপূর্ণ ধারণা নেই,কি করে মিডিয়া আমাদের তরুণ-তরুণীদের নষ্ট করছে।
ইদানিং আমরা আর সত্তর থেকে আশি দশকের মত ফিল্ম তৈরি করছি না। করছি ইন্ডিয়ার মত নগ্ন কুরুচি দেশের অশ্লীল ধারার ছবি। যার নগ্নতা ও যৌনতার ঢেউ দেখে আমাদের যুবক-যুবতি থেকে শুরু করে বয়স্ক লোকের মনেও প্রভাব ফেলে। তার প্রমাণ আমি নিজ হাতে পেয়েছি।
আমার এক পরিচিত আঙ্কেল আছেন, তাঁর তিন মেয়ে ও এক ছেলে আছে। তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নিয়মিত পড়েন। এলাকায় তাঁর যথেষ্ট সুনাম আছে ভাল চরিত্রের অধিকারি হিসেবে।
কিন্তু তাঁর বাসায় হিন্দি ফিল্ম,গান ও কালচার দেখে দেখে সকলেই রসাতলে গেছে।
তাঁর বড় মেয়ে সবে ক্লাস টেন পড়ুয়া। এরই মধ্যে সে সাতবার লাভার বদলেছে। তার মা, মানে ওই আঙ্কেলের স্ত্রী নিজের দেবরের সাথে অবৈধ যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছেন হিন্দি ফিল্ম দেখতে দেখতে।
আর আমার সেই ভাল চরিত্রের আঙ্কেল সর্বশেষ খবর অনুযায়ী দ্বিতীয় বিবাহ করেছেন।
সেই আঙ্কেলের হিন্দি সিরিয়ালের প্রতি প্রচন্ড আসক্তি ছিল এবং এখনো আছে।
সুতরাং বুঝতে বাকী নেই যে এই হিন্দি মিডিয়া আমাদের মুসলিম সমাজকে তিলে তিলে ধ্বংস করছে। একদিন আমাদের মুসলমানদের মাঝে যখন আল্লাহ বলার মত কেউ থাকবে না,তখনই কেয়ামত সংঘটিত হবে।
এ কথাও আমরা অনেকে হয়তো ভুলে গেছি। কারণ আমাদের তরুণীরা হিন্দি ফিল্মের নায়িকাদের পাছার দুলুনী দেখে একদিকে,তারা নাড়া দেয় আরেকদিকে।
এসব অশ্লীল বেহায়াপনাযুক্ত দৃশ্যাবলী দেখে সকলের মাথা হয়ে যাচ্ছে বিদঘুটে চিন্তা-ভাবনার অধিকারী। ফলে ইদানিং আমাদের সমাজের নারীদের অধিকাংশ এখন নষ্ট হয়ে গেছে। তারা বিবাহের পরও নিজের পুরানো বয়ফ্রেন্ড কিংবা লাভারদের যৌন আসক্তি পূরণ করে।
আমার এক ঘনিষ্ঠ ফ্রেন্ডের বান্ধবী (বিবাহিত মেয়ে) নিয়মিত সেই ফ্রেন্ডের যৌন মনোরঞ্জন করে। তার সাথে আমি কয়েকবার কথা বলেছি। এ জন্য তার মনে বিন্দুমাত্র অনুশোচনা নেই। বরং সে গর্ব করে আমার কাছেও এই কুরুচিপূর্ণ কাজের বর্ণনা দেয়।
আমি বর্তমানের নারীদের অবস্থা দেখে শুধু শঙ্কিত নই,বরং ভয়াবহ রকম আতঙ্কিত।
আমি বর্তমানের পুরুষদের একটা কথা বলে রাখছি। আপনারা যারা এখনো বিয়ে করেন নি,তাঁরা শতকরা একশভাগ দুশ্চিন্তাযুক্ত থাকুন যে স্ত্রী তাঁদের কপালে জুটবে তারা কখনোই পরিপূর্ণ কুমারী নয়। বরং তারা সময়ের চাহিদা পূরণের জন্য এক বা একাধিক পুরুষের সাথে ফষ্টিনষ্টি করেছে।
আপনি যদি বাসর রাতে আপনার স্ত্রীকে তার কুমারীত্ব বিষয়ে প্রশ্ন করেন,তাহলে যদি সে সৎ মানষিকতার হয়,তাহলে আপনার কাছে এভাবে কৈফিয়ত দিবে- “বিশ্বাস কর,আমি পরিস্থিতির স্বীকার হয়েছিলাম।”
স্ত্রী যখন অশ্রু বিসর্জন দিবে,তখন আপনি নিশ্চয়ই ক্ষমা না করে পারবেন না। এটা আমার বেলায়ও প্রযোজ্য।
কারণ এ কথা ঠিক যে পুরুষের একটা মন আছে। তবে হিংস্র যে দু’চারজন নেই তা আমি অস্বীকার করছি না। তবে পুরুষের পক্ষে যুক্তি হল তারা তখনই নারীকে আক্রমণ কিংবা আঘাত করে যখন তাদের সীমা ছাড়িয়ে যায়। এ ক্ষমতা যদি নারীকে দেয়া হত,তাহলে যে কি সাংঘাতিক ঘটনা ঘটত!
মেয়ে লোক প্রায় সময় কারণে অকারণে রেগে যায়। তাহলে পুরুষ মানুষকেও কারণে অকারণে মার খেতে হত মেয়েদের হাতে।
আমি যাকে ভালবাসি,তার রাগের সাথে আমার খুব ভাল করে পরিচয় আছে। সে রেগে গেল প্রায় সময় আমার গায়ে হাত তুলতেও দ্বিধা করেনা। উল্টো এতে সে কেমন যেন অমানুষিক তৃপ্তি পায়।
এ অবস্থা কিন্তু শুরু থেকেই ছিল না। বরং আমাদের সমাজের নানা রকম অসামাজিক আর অনৈতিক ব্যবস্থাপনা মেয়ে তথা নারী সমাজকে এই অধ্বর্মুখে ফেলেছে।
রাস্তা-ঘাটের কথা যদি ভাবেন,দেখবেন অনেক ধান্দাবাজ মেয়েদের দল আছে। তারা সেধে সেধে আপনার সাথে মিষ্টি মার্কা কথা বলবে। তারপর হয়তো হঠাৎ করে আপনার অসাবধানতার সুযোগ নিয়ে আপনাকে অন্ধকার রাস্তায় নিয়ে চেঁচিয়ে লোক জড়ো করে আপনাকে হেস্তনেস্থ করে আপনার টাকা পয়সা রেখে দেবে।
সুতরাং এ ধরণের ফাঁদ হতে সাবধান থাকবেন। পুরুষ জাতি হচ্ছে মাছের মত। আর নারীরা হল টোপ। টোপ দেখলে মাছ খেতে আসবেই। সুতরাং এই সমস্ত বেহায়াপনাময় এবং বার ভাতারযুক্ত মেয়েদের হতে সাবধান!

No comments:

Post a Comment