Sunday, May 9, 2010

নারীর পেটে আমাদের বাচ্চা! (শেষ পার্ট)

অনেকদিন পর আপনাদের জন্য কিছু লিখছি আমি। বর্তমানে সময়ের পরিস্থিতি খুব খারাপের দিকে।
ইদানিং আমাদের দেশে সুইসাইড বা আত্নহত্যার প্রবণতা অতিরিক্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলায় জেলায় এবং শহরে শহরে আধুনিক মানষিকতার মেয়েগুলো আত্নহত্যা করছে।
এর জন্য সবাই পুরুষদের দোষারোপ করছেন। কিন্তু এক হাতে তালি বাজে না, এটা বোধহয় তারা ভুলে গেছেন।
অধিকাংশ পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী যা পাওয়া যায়,তা মোটামুটি এরকম-
অমুক জায়গায় অমুক স্কুল কিংবা কলেজের ছাত্রী বখাটে যুবকদের দ্বারা বেশ কয়েকদিন যাবত ইভটিজিং-এর স্বীকার হচ্ছিল। বখাটেরা প্রায় সময় উক্ত ছাত্রীকে উত্যক্ত করত এবং প্রেম নিবেদন করত।
ফলশ্রুতিতে গত অমুক তারিখে গলায় ফাঁস দিয়ে কিংবা বিষ খেয়ে আত্নহত্যা করেছে সেই স্কুল/কলেজ ছাত্রী।
মোটামুটি এই হল সকল জায়গার নির্যাতন বিবৃতি। কিন্তু এর কারণ কি তা কেউ ভেবে না দেখে বরং বখাটেদের ধরে আইনের হাতে তুলে দিচ্ছে।
বখাটেরা কি ওই সমস্ত অভিমানী মেয়েদের গায়ে হাত তুলেছে, নাকি তাদের জোর করে ধরে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেছে?
তারা শুধু সামান্য ইভটিজিং করেছে। এর জন্য মেয়েটি অন্য কোন ব্যবস্থা নিতে পারত। যে ব্যবস্থা প্রথমে নেয়া যেত।
যেমন- মেয়েটি হঠাৎ করে বিয়ের কার্ড নিয়ে এসে বলতে পারত, দেখুন ভাইয়া আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। এই নিন বিয়ের কার্ড, আপনাদের সবার দাওয়াত রইল।
এরপর নিশ্চয়ই বখাটেগিরী করতে ওই সমস্ত ছেলেদের বিবেকে বাধত।
অনেকে বলতে পারেন এদের আবার বিবেক কিসের?
আসলে সব দিক ভেবে চিন্তে দেখলে এটা মেয়েদেরই দোষ।
তবে ছেলেদের দোষও কিছুটা আছে।
আমি সম্প্রতি একটা গবেষণা চালিয়েছি সাইক ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট এন্ড টেকনোলজি কলেজের আটশ ছেলেদের উপর।
গবেষণায় দেখতে পেলাম ওই সমস্ত ছেলেদেরই ইভটিজিং-এর প্রবণতা বেশী যারা কোনভাবেই মেয়েদের সাথে সম্পর্ক গড়তে পারেনি।
তাদের সাধারণত গার্লফ্রেন্ড কিংবা লাভার নেই। এবং তারা এই ধরণের কিছু যোগার করার জন্য অনেক আগ্রহী। শুধু এক্সপেরিয়েন্স নেই বলে কি করে কি করতে হবে তা জানে না।
এই না জানার ফলে তারা মেয়েদের স্কুল-কলেজের সামনে উত্যক্ত করে এবং অশালীন মন্তব্য করে তাদের বুঝতে চায়।
এতো গেল ইভটিজিংকারী যুবকদের কথা। এবার আসুন দেখি যারা ইভটিজিং করে না,তারা কি ধরণের ক্ষতি করছে মেয়েদের।
ইভটিজিং যারা করে না তাদের বেশীরভাগই নারী জাতকে সম্মানের সাথে দেখে। তারা অনেক সভা-মিটিং করেও নারীর অধিকার ফলানোর জন্য লাফালাফি করে।
কিন্তু ইভটিজিং-এর ধারে কাছে দিয়েও এরা যায় না।
কারণ এরা জানে কি করে মেয়েদের পটাতে হয়। তারা তাদের মিষ্টি সুলভ কৌশলি বাক্য শুনিয়ে নারীর মন ভুলায় এবং ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব তথা প্রেম-ভালবাসা গড়ে তুলে।
তারপর সময় বুঝে সেই নারীর সর্বোচ্চ সম্পদ কুমারীত্ব নিজের হাতে নষ্ট করে। নারী এটা বুঝতেও পারে না।
কারণ তখন সে গভীর ভালবাসার আবেগে ডুবে থাকে। এরপর ফস করে ছেলেটি সরে পড়তে চায়,তখন মেয়েটি একেবারে শেষ মূহুর্তে যদি বুঝে ফেলে তখন সে ছেলেটিকে বিয়ের চাপ দেয় কিংবা অনুরোধ করে তার সাথে এ ধরণের বিশ্বাসঘাতকতা না করার জন্য।
ছেলেটি বাধ্য হয়ে এ ধরণের আপদ থেকে নিজেকে মুক্ত করতে হয় মেয়েটিকে নিজের হাতে খুন করে কিংবা এমন একটা পরিস্থিতি নিজে তৈরি করে যার ফলে মেয়েটির আত্নহত্যা ছাড়া উপায় থাকে না।

উপরের গড়পড়তার চিত্র দেখার পর বুঝতে পারছেন নিশ্চয়ই যারা ইভটিজিং করে তাদের দোষ শুণ্যের কোঠায়।
অন্যদিকে যারা এটা করে না, তারা সবার অলক্ষ্যে থেকে কি করে নারী জাতের সর্বনাশ করে চলছে। অবশ্য সবার বেলায় এই কথা প্রযোজ্য নয় এটা আমি হাযার বার স্বীকার করি।
আর যেই সমস্ত মেয়েরা আত্নহত্যার চিন্তা করছেন তাদের বলছি, মন এত নিচু প্রকৃতির কেন আপনাদের?
এত অসহায় বোধ করেন কেন আপনারা?
আবার সময় হলে ঠিকই তো নারী আর পুরুষ সমানধিকার বলে ব্যাঙের মত একটা লাফও দেন!
তাহলে এই বৃথা অভিমান করে আত্নহত্যার মাধ্যমে অমূল্য জীবন নষ্ট করে কি কোন উপকার হচ্ছে?
এই লজ্জা সমস্ত দেশের,এই লজ্জা সমস্ত মেয়ের,এই লজ্জা আপনাদের সবার।
এই লজ্জা এই ব্লগের ব্লগারদের।
এ লজ্জা আমার নয়,কারণ আমি তো প্রতিবাদ করেই যাচ্ছি।
আরেকটা বিষয় নারী পুরুষ সবারই জানা দরকার, সেই জিনিসটা জানানোর আগে একটি প্রশ্ন করছি।
আচ্ছা বলুনতো, নারীর শরীর বেশী লোভনীয়,নাকি পুরুষের শরীর বেশী লোভনীয়?

নারী সম্পর্কে একটি ভারতীয় বইয়ে বলাই আছে, নারী জাতি পুরুষের চেয়ে বেশী আকর্ষণীয় হয়েছে তাদের পদ্মকমল সুরভীত দুটি সৌন্দর্য মন্ডিত স্তনের কল্যাণে।

সুতরাং নারীকে দেখে পুরুষের লোভ লাগতে পারে,তবে পুরুষকে দেখে নারীর সহসা লোভ লাগার কারণ নেই। কারণ পুরুষের দেহের উপর অংশে এমন কোন উত্তেজক অঙ্গ নেই যা দেখে নারী নিজেকে হারিয়ে ফেলবে।
কিন্তু নারীর দেহ বিধাতা এমনভাবে বানিয়েছেন যা দেখে স্বভাবতই পুরুষের মনে এক অসীম কামনার আকর্ষণ অনুভূত হয়। কাজেই এখন সমাজের এই সব ছোট-বড় নারী পুরুষের গোলমাল বন্ধ রাখার জন্য কি করা উচিত আপনাদের মনে হয়?
অবশ্যই পর্দা করে নিজেদের রক্ষা করবে নারীরা। এছাড়া অন্য কোন উপায় নেই,থাকলে আপনি বলুন আমি মাথা পেতে মেনে নিব।
আরেকটা উপায় আছে। সেটা আমাকে এক মেয়ে বলেছিল। তা হল, পুরুষদের চোখকে নিচের দিকে নামিয়ে রাখা। তবে তা সব পুরুষের দ্বারা সম্ভব নয়। সামনে আছে মধুর রাজ্য,তা দেখে কি করে চোখ ফিরাবে সকল পুরুষরা? তাই সে আমাকে বলছিল পুরুষদের চোখ যদি উঠিয়ে দেওয়া হয়,তাহলে নিশ্চয়ই তারা সেই চোখ দিয়ে নারীদের সৌন্দর্য দেখে তাদের ইভটিজিং কিংবা ধর্ষণের মত কঠিন অপরাধ করতে পারবে না।
কিন্তু এ হচ্ছে নিষ্টূর যুক্তি। নারীরা শুধু মাত্র বোরখা পরিধানের মাধ্যমে পারে পুরুষদের কামনাকে দমন করতে।
কিন্তু নারীরা বর্তমানে চাচ্ছে তাদের দেহের সৌন্দর্য বিভিন্নভাবে বিভিন্ন আঙ্গিকে পুরুষের কাছে প্রদর্শন করতে। কত পুরুষ তার জীবনে দরকার তা আমি ঠিক বুঝতে পারছি না।
নিজের জীবন সঙ্গীর জন্য শুধু সাজগোজ না করে সারা দেশবাসীর সেবায় নিজের দেহকে বিনিয়োগ করলে লাভ কি হতে পারে তা আমার জানা নেই।
আপনারা নারীরা যদি আমাকে বলেন যে কি লাভ তাহলে আমি খুশী হতাম। তবে আমার ধারণা,আবার কোন বদমাইশ বখাটে আপনাদের উত্যক্ত করবে,আর আপনারা অতি তাড়াতাড়ি এই দুনিয়া ছেড়ে যাওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়বেন।
কারণ যেদিকে তাকাই সেদিকেই দেখি আজীমপুর গোরস্থান!
আপনাদের গন্তব্য যদি সেদিকেই হয় তাহলে আমার কিছু বলার নেই।
আর পর্দা করা আল্লাহর আদেশ, সেই কথা নাই বললাম। কারণ ইসলামের কথা বললেই বাংলার লোকেরা মনে করে বোধহয় জামায়াতে ইসলাম কিংবা হিযবুত তাহরীর সংগঠন বুঝি!
একটা বিষয় কি ভেবে দেখেছেন,যখন হিযবুত তাহরীর প্রথম দিকে তাদের সংগঠন কি উদ্দেশ্যে চালু করেছিল?
তাদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল দেশ হতে জাহেলিয়াত দূর করে মানুষের মনে ইসলামের আলো জ্বালিয়ে দিবে।
মাত্র স্বল্প কিছু সময় পরে কি হল, হিযবুত তাহরীর নিজেই জামায়াতে ইসলামের মত আরেকটি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনে পরিণত হল।
কারণ হল মানুষ আজকাল ইতর হয়ে গিয়েছে। ইসলামের কথা শুনলে গা চুলকায় মাথা জ্বলে। অনেকের হয়তো আরো অন্যান্য উপসর্গ দেখা যায়।
এ সমস্ত ক্ষেত্রে কোমলমতী নারীরাই আজ সবচেয়ে কঠোর।
কোথায় তারা স্বামীর ছায়ে থেকে তাকে ভাল কাজে সহায়তা করবে,তা না করে হাজার পুরুষের মনে নেশার আগুন জ্বালিয়ে কামনার উস্কানীমূলক প্ররোচনা চালায়।

এই সমস্ত কার্যকলাপ নারীবাদী সংগঠনের ফসল। নারীবাদ সংগঠন বলতে যা আছে দেশে,তার সবটাই পুরুষদের বিরুদ্ধে। অনেকে এই নারীবাদ শব্দ নিয়ে চিল্লিয়ে গলা ফাটালেও এর প্রকৃত কি অর্থ তা হয়ত বলতে পারবে না।
আমরা যেমন বলি-পূজিবাদ,সাম্যবাদ,রাজতন্ত্রবাদ, নারীবাদ তেমনই এক ধারা নিয়ে আঠারশ শতাব্দিতে যুক্তরাষ্ট্রে চালু হয়েছিল। সে সময় এর ধারা ছিল মূলত নারীর অধিকার এবং অত্যাচার প্রতিরোধের জন্য।
কিন্তু এর পর থেকে বর্তমান পর্যন্ত নারীবাদ শব্দটার অর্থই বদলে গেছে। এই নারীবাদ শব্দটি বাংলাদেশে মোটামুটি নব্বই দশকের পর থেকে লোক মুখে প্রচলিত হতে থাকে এবং কালক্রমে আমাদের দেশীয় অঙ্গনে এটি বেপরোয়াভাবে ঢুকে পড়ে।
নারীবাদ শব্দটা এসেছে ল্যাটিন শব্দ ফ্যামিনা থেকে। পরে ইংরেজিতে এসে ফেমিনিজম নামে নারীবাদ শব্দের উৎপত্তি হয়েছে।

এই নারীবাদ নিয়ে এখন যত ফাও আন্দোলন হচ্ছে তার আর দরকার নেই। কারণ এই দেশে নারীরা পুরুষদের নির্যাতন করতে পারে,ঢালাও ভাবে ব্যবহার করতে পারে।
সর্বোপরি এই দেশের শাসনকর্তা এবং হর্তাকর্তা স্বয়ং একজন নারী! সেই দেশে নারীদের উন্নতি এবং অধিকারের পথে আর কি বাধা থাকতে পারে?
তারপরেও যা আছে তা টুকটাক বললে ভুল হবে না।
নারীবাদিরা পাগলের মত প্রলাপ বকে,তারা বলে বিশেষ করে ইসলাম নাকি তাদের একঘরে করে রেখেছে। ধর্ম বিদ্বেষী এ সমস্ত নারীরা মূলত নাস্তিক পর্যায়ের। পৃথিবীর রূঢ় বাস্তবতাকে এরা বিসর্জন দিতে চায় ধর্মের আড়ালে।
আমাদের নারীরা যে বলিউড-হলিউড দেখে রসাতলে গিয়েছে সেই বলিউডের দেশের এক বিখ্যাত জ্যোতিষি এবং পুরোহিত মনু বলেছেন,
-নারীদের অন্তঃকরণ নির্মল নয়; বেদস্মৃতিতে তাদের অধিকার নেই; তারা ধর্মজ্ঞানবর্জিত; মিথ্যা পদার্থ; পুরুষ পেলেই তারা সম্ভোগে মিলিত হতে চায়; তাদের চিত্তের স্থিরতা নেই; শয্যা,আসন,কাম,ভূষণ, ক্রোধ,কুটিলতা এবং পরহিংসা তাদের সহজাত প্রবৃত্তি; নারীরা পুরুষের জন্য নরকের দ্বার এবং নরকের কীট।

খ্রিস্ট ধর্মেও নারীদের অনেক দোষ ধরা হয়েছে। নারীরা পুরুষের তুলনায় নিকৃষ্ট,তাদের সঙ্গে যোগাযোগ আছে সন্তান জন্মদান-বাড়ি এবং স্বামীর। সে জন্য ধর্মের সঙ্গে তাদের কোন যোগাযোগ কিংবা অধিকার নেই।

বিভিন্ন ধর্মে যখন নারীত্বের এরুপ অপমান করা হয়েছে তখন আমাদের ইসলাম ধর্ম নারীকে তার সর্বোচ্চ মর্যাদা প্রদান করেছে। একটানে তাকে উঠিয়ে এনেছে রাজসিংহাসনে।
ইসলাম ঘোষণা দিয়ে দিয়েছে যে মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত। মায়ের সামান্য মনক্ষুণ্ণ ভাব থাকলেও তার খুশী ভাব না হওয়া পর্যন্ত সন্তান বেহেশতে যেতে পারবে না।

এরপর ইসলাম সেই সাথে সতর্ক করে দিয়েছে যে সাবধান হে নারীরা! তোমরা নারীত্বের অবমানত্ব করো না। তোমাদের রুপকে পরপুরুষের সামনে ঢালাওভাবে উন্মোচন কোর না। নিশ্চয়ই বেগানা নারী পুরুষকে হাশরের মাঠে কঠিন শাস্তি দেয়া হবে।
এত সম্মান প্রদানের পরও যখন মুসলিম নারীরা আধুনিক খৃস্টান তথা বিধর্মী সম্প্রদায়ের অনুকরণে নিজের হায়া-লজ্জাহীন ক্ষমতা ও অধিকার দাবি করে তখন তাদের উচিত ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করা। কেননা একেতো তারা ইসলামের আদেশ পালন করে না,দ্বিতীয়ত তারা সরাসরি আল্লাহর দেয়া নেয়ামতের বিরোধিতা করে মানুষের বানানো ক্ষমতা ও অধিকার নিয়ে গলা ফাটাফাটি করছে।
ইসলাম বলে নারীকে পর্দাপুষিদার সাথে ঘরে থাকার জন্য। আমাদের নারীরা এখন ইসলামের কোন বই পড়ে না, পড়ে তসলিমা নাসরীনের মত বিতাড়িত শয়তানের গোষ্ঠীর আদিম বর্বরতাময় অশ্লীল কাহিণী।

এই লেখিকা বাংলাদেশ হতে আউট অফ ডেট হয়েও মানুষ হয় নি, সে একজন প্রকৃত জীনাকারিনী। নিজের দেশে জীনা না করতে পেরে ভারতে যেয়ে হিন্দু নেতাদের সাথে জীনা করছে।
সে বাংলাদেশে থাকলে এতদিনে জামায়াত ইসলাম,হিযবুত তাহরীর কিংবা শিবিরের লোকজন হয়তো তাকে মেরে ফেলত।
আমি এই কথাটি পূর্বেও বলেছি যে এই সমস্ত ধর্মীয় সংগঠন ইসলাম অনুসারে চলতে চায় ঠিক,কিন্তু তারা আল্লাহর বিচারের রায়টি নিজের হাতে তুলে নেয় বলেই তারা নিষিদ্ধ,তারা বর্বর।
দেশে নারীরা অনেক ভয়ঙ্কর সব ইসলাম বিরোধী কাজ-কারবারে জড়িত আছে।
যেমন-মিরপুরের শাহ আলী মাজার, সিলেটের শাহজালাল মাজার ইত্যাদি মাজারের সামনে তারা দিনরাত ভীড় করে পীর সাহেবের একটু দর্শন পাওয়ার আশায়।
আজকালকার অধিকাংশ পীরগুলো সব ভন্ড।
এই যে জায়গায় জায়গায় উরস হয়,সেই উরসে পীরেরা গাজা খায়,বাশী খায়।
নিজের অনুসারীদেরও খেতে উস্কানী দেয়।
তারা নাকি পৃথিবীর যাবতীয় সমস্যা সমাধান করতে পারে মোটা টাকার বিনিময়ে।
উরসের দিন মহিলা এবং যুবতী মেয়েগুলোকে পীরেরা নাচানাচি করায়। তখন একটা গান গাওয়া হয়,

মনের পর্দা বড় পর্দা, উপরের পর্দা খুলরে।

তারপর তাদের উলঙ্গ করে পীরেরাই অশ্লীল অবৈধ যৌনতায় লিপ্ত হয়।
নারীরা উরস শেষে মাজারের কাছাকাছি কোন বট গাছকে সেজদা করে,ধূপ জ্বালায়।
মুসলমান ধর্মের ভিতর এই সমস্ত হিন্দুয়ানী ভন্ডামী কি করে যে ঢুকে গেছে আল্লাহ মালুম!

পবিত্র কুরআনে স্পষ্টভাবে লিখা আছে যে আল্লাহ জ্বীন ও ইনসানকে শুধু মাত্র তাঁর ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন।
তাহলে আমরা জানার পরও এই সমস্ত ভন্ডরা পীর সেজে কি করে ফায়দা করছে।
তবে হ্যা,অনেকে হয়তো অলৌকিক কিছু পারতে পারে। কিন্তু এসব যারা পারেন তাঁরা কখনোই লোকের কাছ হতে টাকা পয়সা চান না। কারণ তাঁরা তো আসল সত্য পেয়েই গেছেন, সে হল আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে ভালবাসা।

আমাদের এই নারী সমাজকে ধ্বংস করেছেন মূলত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত চৌধুরী।
তাঁর উস্কানীমূলক কর্মকান্ডে তৎকালীন অনেক নারীর চিরন্তন ইসলামী চেতনার ভিত্তি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।
তার ফলশ্রুতিতে আজকের এই বিষাক্ত নারী প্রজন্ম।

অবশ্য এ কথা ঠিক যে কেয়ামতের পূর্বে নারীরা হায়া-লজ্জাহীন হয়ে যাবে,পুরুষের সাথে প্রতিযোগিতা করবে,নারীর ক্ষমতা পুরুষের চেয়ে বেশী হবে।
তার সবই তো ধীরে ধীরে ফলছে। তার মানে কেয়ামত আসন্ন। কিন্তু নারীদের মনতো বোধহয় প্রসন্ন।

মনে করুন আপনি রাস্তা দিয়ে একা একা হাটছেন,হঠাৎ একটি মেয়ে এসে বলল যে সে সাহায্য চায়।
আপনি ভাল মানুষ,তাই সাহায্য করতে গেলেন। খানিকবাদে যদি মেয়েটি গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে লোকজন জড়ো করে,তাহলে পাবলিকের মার খাবে কে?
ওই মেয়ে,নাকি আপনি?
ঠিক এ ঘটনা প্রায়শই আমাদের দেশে ঘটছে। এ ঘটনার সময় নারীবাদিরা কোথায় থাকে তা আমি জানি না। মনে হয় তারা সুবিধা পার্টি।
খেতে পারলে আছে,না খেতে পারলে নাই।
আমেরিকায় প্রতি একশ দম্পতির মধ্যে নব্বইটি দম্পতির জীবনে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এর কারণ কি জানেন?

তাদের দেশে শুধু নারী স্বাধীনতাই নয়,মানব স্বাধীনতাও আছে। তাই নারীরা যা ইচ্ছা তা করতে পারে। তারওপর দেশটা একদম খোলামেলা ধরণের মানষিকতার অধিকারী।
এ কারণে দেখা গেছে একজন নারী ক্রমাগত একজন পুরুষের সাথে সম্পর্ক রাখতে রাখতে এক সময় তার সম্পর্কে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। তার কাছে মনে হয় নতুন পুরুষ ও নতুন সঙ্গী অবশ্যই আরো ভাল হবে।

ঠিক এ ব্যাপারটা আমাদের দেশসহ বিশ্বের আরো অন্যান্য মুসলিম দেশের নারীদের গোবর মস্তিষ্কে প্রবেশ করেছে। এখন এ থেকে পরিত্রাণের কোন উপায় নেই।
কারণ হাদিসে স্পষ্ট আছে যে কেয়ামতের পূর্বে মুসলিম নারীরা হায়া-লজ্জাহীন হয়ে যাবে। তাদের চিন্তা-চেতনায় থাকবে অশ্লীল সব কুকর্মের শয়তানিক ভাবনা।

সুতরাং দেশের নারীদের সাবধান করেই কোন লাভ হবে বলে আমার মনে হয় না। কারণ আপনারাই এখন দেখবেন। এই যে একটা স্বার্থহীন জনকল্যাণমূলক পোষ্ট লিখলাম,তার জন্যও আমাকে হয়ত মাইনাস পেতে হবে।

একটা মজার ঘটনা বলি, ব্লগে কয়েকমাস আগে একজন নিরীহ ব্লগারের একটি পোষ্ট পড়েছিলাম। সে লিখেছিল- “ভাই, কি যে জ্বালায় আছি তা বোঝানোর সাধ্য আমার নেই। অনেক ব্লগার প্রথম পাতায় একাধিকবার পোষ্ট লিখে,কিংবা উদ্দেশ্যহীন ফাউল পোষ্ট লিখে অন্যকে জ্বালিয়ে মারে। আমি তাদেরকে এ বিষয়ে না লিখার জন্য অনুরোধ করলাম, এতেও অনেকগুলো মাইনাস পেলাম আর ব্যান হলাম।”
আমাদের অবস্থা ঠিক এরকমই। বিনা কারণে উষ্ঠা মারতে খুব মজা লাগে,কিন্তু ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসীকে প্রতিবাদ করতে গেলে বুকের খাচা ভয়ের চোটে তিনবার আসমান-জমিন পার করে।

নারীর পেটে সমাজের বাচ্চা!

পার্ট-১

মাঝে মাঝে আমাদের বাসার সামনে দিয়ে বিভিন্ন হকার প্লাস্টিকের মাল স্বল্প মূল্যে বিক্রির জন্য চেঁচিয়ে পাড়া মাথায় তুলে। এদের সাথে বর্তমানের তরুণী মেয়েদের কোন পার্থক্য আমি দেখতে পাই না।
তবে হ্যাঁ,কিছু মেয়ে আবার এর চেয়েও নিম্ন পর্যায়ে চলে গেছে। এমনটা অবস্থায় বাংলাদেশের মত মুসলিম দেশের প্রতি আফসোস করা ছাড়া কোন গতি নেই।
মেয়েদের জন্মের পর সর্বপ্রথম যে মারাত্নক ভুলটা করছেন গুরুজন এবং সূধিমন্ডলীরা তা হচ্ছে ছেলেদের সাথে মেয়েদের সহশিক্ষার ব্যবস্থা করে।
আধুনিক মননশীলতার মেয়েরা যাই বলুন না কেন সহশিক্ষা হল মেয়েদের নিজেকে বেশ্যাবৃত্তির পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার শামীল। একটা ছেলের সংস্পর্শে এসে মেয়েরা উছৃঙ্খল এবং অশালীন আচরণের সৃষ্টি করে। অথচ তারা দাবি করতে চায় ছেলে আর মেয়েরা পাশাপাশি না দাঁড়ালে নাকি জাতি উন্নতি এবং আশার আলো দেখতে পাবে না!
তাদের পাশাপাশি একই সূত্রে কাজ করার মধ্যেই নাকি সমস্ত কল্যাণ নিহত!
যদি সত্যিই তাই হত,তাহলে আমি আমার মা-বোনকে পাঠাতাম কর্মক্ষেত্রে পুরুষের পাশে স্থান নেওয়ার জন্য।
তাঁরা যতই গুণ কীর্তন করুন সহশিক্ষার,এই সহশিক্ষার ফলেই অল্প বয়সী চেঙরা ছেলে-মেয়েরা অবৈধ প্রেম-ভালবাসায় জড়িয়ে পড়ে। ফলে একটি মেয়ে তার নিজের সর্বোচ্চ সম্পদ কুমারীত্ব দান করে একটি ছেলেকে যৌবনের নেশায় নেশাগ্রস্থ করে তোলে। তখন থেকে শুরু হয় ছেলেদের এ যৌনতার নেশা।
এর মূলে মেয়েদের বিভিন্ন উত্তেজক অঙ্গভঙ্গি ও বেপর্দা চরমভাবে প্রমাণিত।
অথচ এ সাধারণ,অথচ নিখাদ বাস্তব কথাটি নারী সমাজের কেউ স্বীকার করতে চান না। বরং তাঁরা উল্টো দাবি করে বসেন নারীর অধিকার ও সম্মানের কথা!
এ কথা সবাই জানে যে নারীও মানুষ,আর মানুষ মাত্রই সকলের সম্মান-অসম্মান রয়েছে। তাহলে তাঁদের আবার নতুন করে কি ধরনের সম্মান কিংবা অধিকারের দাবি থাকতে পারে তা আমার কাছে বোধগম্য নয়।
এ ধরনের দাবি করে নারীরা যদি নিজেদের পুরুষের সমকক্ষ বানানোর চিন্তা-ভাবনা করেন তবে তা পাগলামী ছাড়া কিছু নয়।
এ কথা ঠিক যে একসময় নারীদের উপর অনেক অত্যাচার-নির্যাতন হয়েছে,কিন্তু সেই অন্ধকার যুগ এখন দূর হয়েছে। কাজেই এ সময়ে যদি নারীরা পুরুষদেরকে অধিকারের মত একটি সামান্য বিষয়ে বিরক্ত করেন তাহলে শুধু আমি নই,আরো অনেকে ভাবতে বাধ্য হবেন যে নারীরা পূর্ব ইতিহাসের প্রতিশোধ বৈকি কিছু নিচ্ছেন না।

আলোচনার এই পর্যায়ে আমি একটু অন্য বিষয়ে যাচ্ছি। দেশে অনেক কর্মপ্রতিষ্ঠান আছে যেখানে নারীরা চাকরী করেন। অনেকে আবার বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুরুষদের চেয়েও বেশী বেতনাদি পেয়ে থাকেন। আমরা মুসলিম জাতি। এ কথা আমরা শুধু মুখে দাবি করি, তাই কেউ যদি কখনো ইসলামের বিষয়ে ভাল কোন ফতোয়া দেয় কিংবা হাদিস বলে,তাহলে কোন প্রকার দ্বিধা না করে আমরা সাথে সাথে তাকে মৌলবাদিদের দলে ফেলে দেই। আমাদের মুসলিমদের-ই যখন এই অবস্থা,তখন ভারত,বৃটেন কিংবা আমেরিকা প্রায়ই শুধুমাত্র সন্দেহের বশে মুসলিম আচরণের লোকদের গণহারে যেভাবে টেরোরিস্ট বলে মেরে ফেলছে তাতে আমি কোন দোষ দেখি না।
কারণ এ গল্পতো আমরা সবাই জানি যে ভাইয়ে ভাইয়ে যখন ঝগড়া-ফ্যাসাদ লেগেই থাকে,তখনই তো আশেপাশের প্রতিবেশী শত্রুদের আক্রমণের সুবর্ণ সুযোগ আসে।
তো,সেই সব বড় বেতন পাওয়া নারীরা কর্মক্ষেত্রে পুরুষদের সাথে যেভাবে ঢলাঢলি করে সোহাগ মাখা কথা বলেন তা বোধহয় স্বামীর সাথেও বলেন না। ইসলামের বোরখার বিধানতো তাঁরা মানেনই না,বরং উল্টো সামান্য আবেগের বশে তাঁরা বিবাহিত কিংবা অবিবাহিত উভয় অবস্থাতেই অবৈধ প্রেম-ভালবাসায় জড়িয়ে শেষ পর্যন্ত ভয়ংকর জ্বীনা পর্যন্ত করে বসেন।
কেউ যদি কখনো তাঁদের বোরখা পড়ার আদেশ বা অনুরোধ করে,তখনই দল বেঁধে শুরু হয়ে যায় নারী জাগরণ,নারী আন্দোলন,নারী উন্নয়ন সহ আরো কত প্রতিষ্ঠান!!!
খোলা পিঠে,খোলা বুকে,খোলা মুখে চলাফেরা করে যখন তাঁদের এত সুখ, নগ্ন দেহে চলাফেরা করে না জানি তাঁরা কত শান্তি পাবেন!
অনেক নতুনধর্মী সংস্কার বিরোধী আছেন যারা বলেন,নারী-পুরুষ একত্রে শিক্ষা,কর্ম এবং জীবন নির্বাহ করলে দেশের উন্নয়নে অশেষ অগ্রগতি হবে।
সেই সব সংস্কার বিরোধীরা বোধহয় বাংলাদেশকে নারী দূষণে ভরিয়ে আমেরিকার মত উন্নত করে ফেলতে চাইছেন। যাতে করে জীবনের অর্ধেক সময় সেই পাশ্চাত্যবাসীদের মত বয়ফ্রেন্ড আর স্বামী বদলে বাঙ্গালী মেয়েদেরও হান্ড্রেড পুরুষের পার্সেন্ট অভিজ্ঞতা হয়!!!
অবশ্য তাঁরা বলে থাকেন নারী-পুরুষের মন ঠিক থাকলেই হল। তাহলে আর পাপ কাজের সৃষ্টি হবে না।
কিন্তু একটা কথা কি পাঠকরা জানেন?
চোখের সামনে তেতুল দেখলে জ্বিবে পানি আসবেই-
কাজেই নারীরা যদি নিজেকে সাজিয়ে সুসজ্জিতভাবে পুরুষের সামনে প্রদর্শন করে,তাহলে তো পুরুষরা এই অশ্লীল সৌন্দর্যে বিভোর হবেই।
আর নারীরা যে হারে বোরখা পড়া বন্ধ করে যে রকম শারীরিক চলাফেরা শুরু করেছেন। রাস্তায় বেরোলে আমার প্রায়ই ভ্রুম হয়,কে আসছে, আমার আন্টি না বোন?
কাছে থেকে দেখে শিউর হই,আন্টিও না বোনও না, তাদের কাজের বুয়াতো অবশ্যই!
আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যদি হতে পারি,তাহলে আর কোন উন্নয়নের জোয়ার হোক কিবা না হোক,আগে পুরুষদের বোরখা পরিধান বাধ্যতামূলক করে দেব।
নারীরা তো তখন আন্দোলন নিয়েই ব্যস্ত, ব্যস, পুরুষরাও ঘরে বসে থেকে নারীর আয়-উপার্জন ভোগ করবে।
যাই হোক,এতক্ষণ তো কেবল একতরফাভাবে মেয়েদের-ই দোষ ধরলাম। আরেকটা দোষ যে এই নারীদের দোষকে মারাত্নকভাবে বাড়িয়েছে এবার তা নিয়ে বলা দরকার।
এ কথা অবশ্য অনেকের ধারণাতেই আছে।
বিষয়টা হল বাংলাদেশের ঘরে ঘরে টিভিতে ব্যবহৃত হওয়া স্যাটেলাইট চ্যানেল সমূহ। এ স্যাটেলাইট চ্যানেলের সিংহভাগ অংশ জুড়ে আছে ইন্ডিয়ান টিভি চ্যানেল।
তাদের চ্যানেলগুলোতে এখন এত বেশী অশ্লীল দৃশ্যাবলী দেখাচ্ছে যে তা দেখে নবম-দশম শ্রেণীর কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা প্রেম থেকে অবৈধ সম্পর্ক গড়ছে এমনকি এসব কারণে আত্নহত্যাও করছে। এই জানুয়ারী মাসেও বাংলাভিশন চ্যানেলের রিপোর্টে আমি এই আত্নহত্যার মত করুণ সংবাদ দেখেছি।
এখন আমি যদি সরকারকে অনুরোধ করি এইসব ইন্ডিয়ান চ্যানেলগুলো সম্পূর্ণরুপে বন্ধ করে দেওয়ার জন্য,তাহলে দেশের মানুষ আমাকে জুতা দিয়েও পিটাতে আসতে পারে।
কারণ ইসলাম কিংবা পরকাল,এ দুটির কোনটিই মানুষের হৃদয়ে প্রবেশ করবে না,প্রবেশ করবে বর্তমান সময়ের আনন্দ-বিনোদন চিন্তা।
আমাদের এক বড়ভাই আছে যে মানুষকে বিভিন্নভাবে ফাঁদে ফেলে টাকা আদায় করেন। কেউ যদি বলে-ভাই,আজ টাকাটা আমার দরকার,কাল দিব। তাহলে ওই ভাই বলেন-আরে বেডা কাইলকা বাঁইচা থাকলে সেনা তোর টেকা খামু। যদি মইরা যাই তেয়লেতো খাইতে পারুম না। তুই এহনি দিবি।
মানুষের হিসাবও এখন এই রকম।
অবশ্য আমিও যে টিভি চ্যানেল দেখি না তা নয়,কিন্তু আমার মত কয়জন আছে যারা এসব দৃশ্যাবলী দেখে মনকে কুরুচিপূর্ণ কামনা থেকে নিবৃত রাখতে পারবে?
পারবে না বলেই আজ ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন মানুষ করছে ওয়েব সেক্স। নারীরাও এই ক্ষেত্রে একধাপ এগিয়ে আছে।
হেন কুরুচিপুর্ণ দৃশ্য নেই যা নারীরা করছে না। পুরুষের সাথেও তাদের মন ভরেনি বিধায় জন্তু-জানোয়ারের সাথেও তারা দৈহিক সম্পর্ক শুরু করেছে। এ কেয়ামতের আলামত ছাড়া কিছুই নয়।
নেটে প্রায় প্রত্যেকটা সাইটই নারীর এসব অবৈধ যৌনদৃশ্য আপলোড করছে। সেখানে পাশ্চাত্যের পাশাপাশি বাঙালী,পাকিস্তান এবং ইন্ডিয়ার সেক্স ভিডিও-ও স্থান পেয়েছে গর্বের সাথে।
নারীরা সামান্য কারণে যদি এভাবে পুরুষের সাথে বিবাহপূর্ব অবৈধ যৌন সম্পর্ক শুরু করে,তাহলে হয়তো শেষ পর্যন্ত আমার মত পুরুষও নিজেকে শিকলের বেড়াজালে ধরে রাখতে পারবে না।
হাজার হোক,আমিও মানুষ। পাপের উর্ধ্বে নই আমিও।
কাজেই দেশ থেকে প্রথমে সমস্ত বিদেশী নারী সংস্থা দূর করে দিতে হবে। নারী-পুরুষ যাতে রাস্তা ঘাটে প্রেম ভালবাসায় মজতে না পারে সেজন্য সরকারকে কঠোর আদেশ জারী করে দিতে হবে যাতে রাস্তায় এমন ঘটনা কেউ একবার করলে দ্বিতীয়বার আর করার হিম্মত না হয়।



নারীর পেটে সমাজের বাচ্চা!
পার্ট-২

ভাইরে, গত পোষ্টে প্রথম পর্ব দিয়েই আমার আক্কেল হয়েছে। আমি ভুলে গিয়েছিলাম যে দেশে কিছু সমালোচনাকারী আছেন যারা কেউ কোন নীতির চর্চা করলে তাকে সমাজবিরোধী কিংবা মাদ্রাসার ছাত্র বলে গণ্য করে দেবেন। তাঁরা আমাকে পাগল বলে ঠাউরেছেন গত পর্বে। দুঃখের সাথে জানাতে বাধ্য হচ্ছি যে তাঁদের ঘরের মা-বোনদের সম্ভবত তিনি সেই একই লাইনে ছেড়ে দিয়েছেন।
তাঁদের বিচারবুদ্ধির ওজন নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। তাঁরা আমাকে শুধু গালাগালিই করেছেন, কিন্তু আমার প্রশ্নের জবাব না দিয়ে বলেছেন যে আমার মানসিক হাসপাতালে যাওয়া উচিত।
একজন ব্লগারকে যদি তার লেখার জন্য মানসিক হাসপাতালে যেতে হয়, তাহলে তাঁরাও তো ব্লগে লেখালেখি করছেন। এখন আমিও কি তাঁদের পাগল ভাবব?
তাঁরা এও বলেছেন যে বাংলাদেশের মাদ্রাসাগুলো বন্ধ করে দেওয়া উচিত। তাঁদের দুঃখের সাথে জানাতে বাধ্য হচ্ছি যে আমি কোন মাদ্রাসায় পড়াশোনা করি নি, করেছি সাধারণ স্কুলে।
তাঁদের মত বিদ্রোহী ব্লগারদের জন্য আমি যদি আমার মন্তব্য প্রকাশ করতে না পারি, তাহলে আপনারাই বলুন সমাজের অশান্তির জন্য দায়ী কারা?
এজন্যই বলে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করা ঠিক নয়। তাঁরা একে তিল থেকে তাল বানাতে চাইছেন। আমার মনে হয় পাবনা হাসপাতালে তাঁদের সিট পাওয়ার জন্য ব্যক্তিগতভাবে আমারই সাহায্য করা উচিত।

বি.সি.এস IT Fair-2010 এর শুরু থেকেই যাই যাই করে যাওয়া হচ্ছিল না। বন্ধু-বান্ধব অনেকেই ঘুরে এল কিন্তু আমি সময় করতে পারলাম না। এর মধ্যে আমার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু কলিন্স-এর কম্পিউটার আসুসের মাদারবোর্ডের সিডি মিরপুরে কোথাও খুজে পেলাম না। তাই বাধ্য হয়ে দুইজন গেলাম বিসিএস আইটি ফেয়ারে। মেলা বলতে বরাবর আমরা যা দেখে আসছি তার সম্পূর্ণ আঙ্গিক-ই পাল্টে দিয়েছে এই মেলার আয়োজক এবং প্রযোজকরা।
কারণ সারা বছর বিসিএস কম্পিউটারে ভবনে যা দেখা যায় ঠিক তাই আছে।
না হয়েছে এর কোন পরিবর্তন,না হয়েছে এর নতুন কোন আকর্ষন।
কারণ গতানুগতিকভাবে এ ভবনে যে সমস্ত কম্পিউটার ও এ সম্পর্কিত যন্ত্রপাতি থাকে তার কোন পরিবর্তন করা হয়নি এ মেলায়।
তবে হ্যাঁ, পরিবর্তন হয়েছে দুইটি। যা সবাই উপভোগ কিংবা ভোগ করেছেন।
এক, মেলা নাম দিয়ে পণ্য সামগ্রি বিক্রির জন্য লোভনীয় গলা কাটা অফার।
দুই, যদি বলে একটা কথা আছে না। সেই যদির জন্য যদি পণ্য বিক্রি কমে যায়, না সে রিস্ক কিছুতেই নিবেন না বিসিএস কম্পিউটার মেলার আয়োজকরা। তাইতো দোকানে দোকানে পণ্যের বদলে এসেছে নিত্য-নতুন সদ্য যৌবনাপ্রাপ্ত যুবতী নারীগুলো। পণ্যের চেয়ে তারা অনেক বেশী মূল্যবান সম্পদ!
যারা কিছু কিনবেন না, তাঁরাও একবারের জন্য হলেও ঘুরে যাবেন বিসিএস কম্পিউটার ফেয়ারে। স্বয়ং আমার বন্ধু এসে আমাকে বলল যে বিসিএস মেলায় নাকি সুন্দরী মেয়েদের অর্ধউলঙ্গ এভারেস্ট পাহাড় দেখা যায়!
পাবলিক যারা দেখতে আসবে,তারাও মেয়েদের দেখে গদগদ হয়ে আর তাদের ছোলানো-চোবানো কথা শুনে হয়তো দুই/একটা পণ্য কিনবে, এই আশ্বাস ছাড়া আর কি দিতে পারে ওই সমস্ত একাধিক প্রেম করে হিন্দুদের দেবী বনে যাওয়া মেয়েগুলো?
মানুষের কথা আর কি বলব, স্বয়ং আমার বন্ধু একজন এসে আমাকে বলল বিসিএস আইটি ফেয়ারে নাকি মাত্র বিশ টাকা দিয়ে মেয়েদের পাহাড় দেখা যায়।
সেই দিনই সে গিয়েছিল ওই মেলায়।
আমি যে একেবারেই দুধে ধোয়া পবিত্র মানুষ তা নয়, তবে বিসিএসে গিয়ে আমি আর কলিন্স দশ মিনিট পরই বেরিয়ে গেছি সিডিটা কিনে।
শুধুই কি বিসিএস? বাণিজ্য মেলা থেকে শুরু করে ডেসটিনি-২০০০ লিঃ,বিভিন্ন এনজিও কোম্পানী সবখানেই মেয়েদের চাহিদা অকল্পনীয় বেশি।
আমার এক বড়ভাই বলেন- তোর কি আছে যে তোকে চাকরি কিংবা গুরুত্বপূর্ণ কাজে নিবে? মেয়েদের নিচ্ছে এবং নিবে কারণ তাদের ওইটা(!!!) আছে। তোরতো আর ওইটা নেই।
আমি ভেবে পাইনা এর কারণ কি?
পরীক্ষা করবেন?
ফেসবুকে একটা একাউন্ট খুলুন যে কোন মেয়ের নাম দিয়ে। দেখবেন স্বল্প সময়ের মধ্যে আপনার ফ্রেন্ড লিস্টে কয়েক হাজার ছেলে আপনার অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।
আর ছেলে নাম দিয়ে খুলুন,কেউ আপনার প্রোফাইলে ভিক্ষা দিতেও আসবে না।
এই দোষ শুধু তাদের নয়, আমার-আপনার সবার।
কেন আমাদের চরিত্রের এই অধপতন বলতে পারেন?
থাক, আমি জানি এখানে খুব বড় বড় কথা বলে রাতের আধারে আমার কামোত্তজনাকে আমি দমন করতে পারব না। তবে এটা ঠিক, আল্লাহ যদি রহম করেন আর কোনদিন কান্দুপট্টিতে যাওয়া হবেনা। হয়তো হস্তমৈথুন করা হবে অসংখ্যবার।

সমাজের আলোচনায় আসি, আমাদের বাঙ্গালী জাতির একটা সুনাম আছে। তা হল যে আমরা একগুঁয়ে জাতি,বিশেষ করে দেয়ালে পিঠ ঠেকলে আমরা সবাই কম-বেশী রুখে দাঁড়াতে জানি।
তো,পৃথিবীতে যত মানুষ আছে তাদের নির্দিষ্ট একটা অংশকে আমি দুই ভাগে ভাগ করেছি। একটি হল, আরাপাগলা জাতি,আর অপরটি পাগলা জাতি।
আমাদের বাঙ্গালী জ়াতিরা হল আরাপাগলা জাতি। তাদের তেমন সম্পদ-সম্ভার নেই। কিন্তু মোটামুটি কৃষ্টি-কালচার আছে।
কেউ যদি আমাদের এই কৃষ্টি-কালচার দখল করার চিন্তা করে, অমনি আমরা এর জন্য মহা স্বরগোল তুলে নিজেদের সংস্কৃতির ঐতিহ্য রক্ষা করতে সচেষ্ট হই। যার প্রমাণ আমাদের ভাষা আন্দোলন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ ইত্যাদি।
এ সংগ্রাম শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বের ইতিহাসেও একটি উল্লেখযোগ্য আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
অথচ অন্যদিকে আমাদের দেশীয় স্বচ্ছলতা এবং সমৃদ্ধির অবস্থা একেবারেই করুণ। নিজেরাই যখন খেতে পাই না, তবুও কোন কারণে আমরা আমাদের স্বল্প একটু সম্পদ কিংবা বিপদে মাথা গোজার ঠাই যাই বলি না কেন, সেইসব বিদেশে অঢেল হস্তে পাচার করে দেই।
এ শুধু গ্যাস ইন্ডিয়ায় পাচারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়,বরং বিদ্যুৎ থেকে শুরু করে খাদ্য-শষ্য পর্যন্ত আমরা ডলারের আশায় রপ্তানী করি।
ডলার তো আর কম হল না! তাহলে এখন লাগামহীন উর্ধমুখী খাদ্যমূল্য স্থিতি হচ্ছে না কেন?
আমি মনে করি যে দেশে বাইনচোদ মানসিকতার লোকজন নেতাগিরি ফলায়, সে দেশে কস্মিনকালেও কোন উন্নতি হবে না।
ওদিক দিয়ে আমেরিকা, বৃটেনের মত পাগলা জাতিরা যদিও পায়খানা থেকে প্রাপ্ত সত্তুর দশকের পিতলের বদনা শুধু মাত্র এনটিক মূল্যের কারণেই লাখ লাখ ডলারে বিক্রি করে, তবুও তাদের মাথায় কিছু প্রতিভা তো অবশ্যই আছে।
তারা স্বপ্ন দেখে দেশ এবং মানুষকে বদলে দেওয়ার। আর আমরা স্বপ্ন দেখি দিনকে বদলে দেওয়ার।
উদ্দেশ্য এক,প্রয়োগ ভিন্ন।
যাই হোক,রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চাই না। আলোচনা করতে চাই সমাজ এবং নারী বিষয়ে।
ব্লগার ভাইদের কাছে একটি অনুরোধ, যদি পারেন তাহলে আজ থেকে প্রতিজ্ঞা করেন যে খোলা পিঠের মেয়ে কিংবা মহিলা যেখানেই থাকুক। বাড়িতে,অফিসে কিংবা পার্টিতে,তাদের পিঠের মধ্যে যদ্দুর জোরে সম্ভব চটাশ করে থাপ্পর মেরে দিবেন।
আর যদি তা না পারেন তাহলে আমার কাছে খবর দিবেন। আপনার লজ্জা ঢাকবার জন্য দেশে আমি ইনশাআল্লাহ পুরুষদের বোরখা পরিধানের ব্যবস্থা করব।
গত সংখ্যার লেখা যারা পড়েছেন তাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো ভাবছেন আমি পুরোপুরি পুরুষবাদী।
ভুল, আমার মধ্যেও কামনার লেলিহান শিখা জ্বলজ্বল করে দীপ্তি ছড়ায়।
কামের উত্তেজনায় আমিও অধির হয়ে বঙ্গের মাতাল রমণীদের আশায় অস্থির হয়ে যাই।
কিন্তু গত চার বছরের সেক্সুয়াল জীবনে আমি মাত্র একবার এক কান্দু পট্টিতে যেয়ে অপি নামের পনের বছর বয়সী এক মেয়ের সাথে যৌনলীলা সাঙ্গ করেছি,তাও মেয়েটি আমাকে বিষেশভাবে অনুরোধ করেছে বলেই। কিন্তু আমি তারপরেই বাসায় যেয়ে এই ভেবে ভয়ে অস্থির হয়েছি যে একদিন তো আমাকে মরতেই হবে। তখন আল্লাহ কি আমাকে ছাড়বেন?
তখন তো গরুর গোশত যেভাবে পার্ট পার্ট করে ঝুলানো হয়,সেভাবে ঝুলিয়ে আমার আর ওই মেয়েরটা পুড়ানো হবে।
কিন্তু আজকের বাঙ্গালী ললনাগুলো কিভাবে যে বাবা-মায়ের মাথা কেটে বয়ফ্রেন্ড কিংবা লাভারের সাথে সেক্স করে তার ভিডিও টেপ বের করে ব্লুটুথ এবং ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়!!
এসব সমস্যাগুলো দিনদিন প্রকট আকার ধারণ করছে। অথচ বাবা-মায়েরা তেমন হুশিয়ার হতে পারছে না।
হলেও আধুনিক যুগের মেয়েরা ফু মেরেই বাবা-মাকে বোকা বানাচ্ছে।
রাস্তা-ঘাট থেকে শুরু করে সকল স্থানে চলছে অবৈধ অসামাজিক কার্যকলাপ।
দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা,সামাজিক ব্যপক দুর্নীতি এসব বাংলাদেশ থেকে কস্মিনকালেও দূর হবে কিনা সন্দেহ আছে আমার।
দেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কথা ভাবুন একবার। সত্তর দশকে বাংলাদেশ,ইন্ডিয়া এবং পাকিস্তানের প্রযুক্তি তথা ফিল্ম শিল্প ছিল একই রকম সমগোত্রীয়।
অথচ আজ এই দিনে এসে বাংলাদেশ এমন পর্যায়ের ছবি তৈরি করছে যা দেখে ভদ্র এবং সূধী দর্শকরা ব্যাঙ্গের হাসি ছাড়া আর কিছুই উপহার দিতে পারছেন না।
এর ব্যর্থতার মূলে বাংলাদেশ সরকার। সরকার যদি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির দায়িত্ব আরো আগে কোন বেসরকারী সংস্থাকে দিয়ে দিত,তাহলে সেখানে প্রচুর ইনভেস্ট হত এবং দেশের চলচ্চিত্রের এই ধ্বস আমাদের বিংশশতাব্দীর লোকদের দেখতে হত না।
তবুও আশার কথা এই যে ইদানিং দেশে বিকল্প ধারার ফিল্ম তৈরি হচ্ছে যা দর্শক দ্বারা প্রশংসিত। তবে এক্ষেত্রে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম-এর অবদান অনস্বীকার্য।
তারা ছবি তৈরির সময় কাহিণীতে বৈচিত্র আনার চেষ্টা করে। তবে তারা শুধুমাত্র ইনভেস্ট এর অভাবে একটা সুন্দর কাহিণীকে প্রয়োজনমত এনিমেটেড করতে পারে না। তাছাড়া দেশের ক্যামেরাগুলো ততটা উন্নত প্রযুক্তির নয় যতটা উন্নত হলিউড-বলিউডে ব্যবহৃত হয়।
ইন্ডিয়ার সিরিয়াল কিংবা ছবিগুলোর প্রিন্ট সাধারণত অত্যন্ত ঝকঝকে হয়। এছাড়াও তাদের কাহিণী একটানা দর্শককে ধরে রাখতে পারে।
ফলে দেশীয় অনেক দর্শকই বাংলা চ্যানেল ছেড়ে ইন্ডিয়ান সিরিয়াল কিংবা নাটক দেখতে বেশী পছন্দ করে।
এ ব্যর্থতা আমাদের একার নয়, গোটা দেশের।
(চলমান)


নারীর পেটে সমাজের বাচ্চা!
পার্ট-৩




গত বছরের মাঝামাঝি সময়ের ঘটনা। আমি আর আমার বন্ধু পনির (ছদ্বনাম) মিরপুর এক নাম্বারে রাত দশটার সময় বসে ফুচকা খাচ্ছিলাম। শীতের রাত, মানুষজন একটু তাড়াতাড়িই বাসায় ফিরে যাচ্ছে। ফলে রাস্তা-ঘাট বেশ নির্জন হয়ে পড়েছিল। এ সময় একটা বেশ সুন্দরী মেয়ে আমাদের কাছে এসে দাঁড়াল।
পাশে বসে ফুচকা খেতে খেতে বিচিত্র অঙ্গভঙ্গি করতে লাগল। পনির প্রথমে ব্যপারটা বুঝতে পারল না। খানিক বাদেই বিষয়টা সে পরিস্কার বুঝতে পারল। তার মাথায় শয়তান নাড়া দিয়ে উঠল।
নির্লজ্জ আগ্রহ নিয়ে মেয়েটাকে এক নজরে দেখতে লাগল। বুঝতে পেরে মেয়েটাও উৎসাহিত হয়ে উঠল।
সে কোনরকম সঙ্কোচ ছাড়াই পনিরের কাছে এসে দাঁড়িয়ে তার নাম জিজ্ঞেস করল।
শুরু হয়ে গেল তাদের আলাপ। আমি পনিরের কানে ফিসফিস করে বললাম,
-এসব মেয়েরা মোটেও ভাল নয়, পটিয়ে নিয়ে সব রেখে দিবে।
-কি করে?
-ওদের পরিচিত ছেলের দল আছে, যাদের মাধ্যমে তারা বেকুব পাবলিককে ফাঁদে ফেলে।
পনির আমার কথা বিশ্বাস করল না। বলল,
-কিযে বলিস না! মেয়েটার চোখ দেখেছিস? কি রকম মায়াময় চাহনী। ওর সাথে আমি ফ্রেন্ডশীপ করতে চাই।
সেরেছে! মনে মনে ভাবলাম আমি। পনিরতো পুরোপুরি গেছে। তাও আবার রাস্তার ধান্দাবাজ মেয়ের পাল্লায়।
আমি মেয়েটার চোখের দিকে তাকালাম। সন্দেহ নেই, বেশ সুন্দরী। কিন্তু চোখগুলোয় অস্বাভাবিক কিছু যেন আছে। কি সেটা ধরতে পারলাম না আমি। ফলে সেখানেই সবচেয়ে বড় ভুল হয়ে গেল।
খানিকবাদে মেয়েটার বাসা চিনার জন্য পনির নিজ হতে যেচে পড়ে বলল,
-এত রাতে আপনি একা একা বাসায় যাবেন, সমস্যা হতে পারে তো। চলুন আপনাকে পৌছে দিয়ে আসি।
মেয়েটা মুচকি হাসি দিয়ে বলল,
-না থাক, তার দরকার হবে না।
তবুও পনির কিছুক্ষন জোড়াজুড়ি করতে মেয়েটা রাজী হয়ে গেল। মেয়েটার নাম দিনা। সম্ভবত ভাওতা একটা নাম। বাসা নাকি স্টেডিয়ামের পিছনে।
আমি পনিরকে নিষেধ করতে লাগলাম। তবুও ও মেয়েটার বাসা চিনার জন্য দু’পায়ে দাঁড়িয়ে গেল।
ওরা দুইজন এক রিক্সায় উঠল,আমি আলাদা একটা রিক্সায় উঠলাম। মিনিট দশ পরে স্টেডিয়ামের সামনে রিক্সা থামল।
হেঁটে আমরা স্টেডিয়ামের ভিতর দিয়ে পিছন অংশে চলে এলাম। গেট দিয়ে বের হওয়ার সময় আচমকা কয়েকটা ছেলে সামনে এসে দাঁড়াল। সবার হাতে ছুরি।
আমি আর পনির যা বুঝার বুঝে নিলাম। মেয়েটার ব্যবহার এবার হল দেখার মত। অস্রাব্য গালিগালাজ করতে করতে পনির আর আমাকে কলার ধরে টেনে পাকা স্লাপে বসাল। তারপর শুরু হল এ্যাকশন। জোর করে চার/পাঁচটা থাপ্পর মেরে আমাদের দুইজনের মোবাইল আর ক্যাশ টাকা পয়সা রেখে দেওয়া হল।
সেই থেকে পনিরের শিক্ষা হল। মেয়েটার পেশার প্রশংসা করতে হয়। নিজের রূপের যোগ্যতায় সে ধান্দা করে বেড়াচ্ছে।
ঢাকা শহরতলীতে এই ধরনের অসংখ্য মেয়ে রয়েছে। অবশ্য এই পেশা ছেড়ে ওইসব মেয়েদের হিজড়াদের পেশা ধরা উচিত হবে আমি মনে করি।
রাতের অন্ধকারে আর ধান্দা নয়, দিনের আলোয় ডাকাতি করতে সুবিধা হবে তাদের।
কোন রিস্কও নেই।
গত পরশু দিন একটা বিশেষ দরকারে রাত এগারোটায় মিরপুর মাজারে গিয়েছিলাম। সেখানে দেখতে পেলাম সেকি এলাহী কান্ডরে বাবা!
মাজারের প্রাঙ্গনে রাতের শো বসেছে। দর্শক হল কুলি-মজুর থেকে কামলা,মিস্ত্রি এবং রিক্সাওয়ালা সবাই আছে। খাজা বাবার ওরস উপলক্ষে গানের আসর। ঘোষক ঘোষনা দিল,
-খাজা বাবার গুন কীর্তন করতে স্টেজে আসছেন বাউল গায়িকা মমতাজ বানু।
দশ মিনিটের জন্য আমি থমকে দাঁড়ালাম কি ঘটে দেখার জন্য।
স্টেজে উঠে এলেন গায়িকা মমতাজ বানু। গান শুরু হল আউলা চুল নাচিয়ে নাচিয়ে।

ওরেও প্রাণ সোহাগী,ওরেও রসের ভাগি,
আইজকা কোন দিবস,
ধনের রাজা,প্রাণের রাজা
খাজা বাবার ওরস।
ওরে,রান্ধ যত পোলাউ-কোর্মা,রান্ধ যত ফির্নি,
তারচেয়ে মজা হায়রে খাজা বাবার শিন্নি।
গানের তালে তালে কিছু মুরুব্বি গোছের শুভ্র দাঁড়িওয়ালা লোকেরাও নাচছে। মাজারের মেইন গেটের সাথেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। মাজারে অনেকটা উৎসবের আমেজ। এক মহিলা বাউল গায়িকার গানই ভরিয়ে দিচ্ছে হাজারো মন্ডাভুক পুরুষের হৃদয়। মহিলার গলাটাও দশাসই।
বাজী ধরে বলতে পারি, কোন ভাঙ্গা বনের ফাটা বাশে যে আওয়াজ হয় তারচেয়ে কম হবে না।

আমাদের আজকের বাঙ্গালী বোনেরা আর নায়ক রিয়াজকে পছন্দ করে না। করে ম্যাট্রিক্স কিংবা অ্যাভাটর (AVATAR) ছবির নায়ককে, বলিউডের কিং খানকে তো অনেকে পছন্দ করা ছেড়েই দিয়েছেন। বয়স বেড়ে গেছে বলে কথা।
এখন তাঁদের পছন্দ নায়ক ইমরান হাশমী কিংবা রণবীর কাপুরকে।
দুই চারজন বান্ধবী মাঝে মাঝে আমাকে বলে তাদের জীবনের সেরা স্বপ্নগুলোর কথা। সেই স্বপ্ন হল পছন্দের নায়ককে জড়িয়ে ধরে লিপকিস করা, আর পারা গেলে তাদের সাথে এক বিছানায় রাত যাপন।
এখন আমার বান্ধবীদের মত আর কেউ যে এ দেশে নেই তা আমি স্বীকার করছি না।
অবশ্যই আছে। কিন্তু পুলিশ কি দেশের সব চোরদের ধরে প্রকাশ্য হাইকোর্টে চোর প্রমাণ করতে পারবে?
অধিকাংশই তো রয়ে যাবে ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
যাই হোক, কথা তা নয়। মেয়েদের বিষয়ে পুলিশকে টানা উচিত হবে না।
তাঁরা দেশের মহান কারিগর। বর্ষার সময় তাঁরা শুধু নৌকায় চড়েন, ওই সময়ে ধান না খেলেও চলে তাঁদের।
অবশ্য মন্দার সময় তাঁরা শুধু ধান খান। পর্বত প্রমাণ পানি আসলেও তখন তাঁরা নৌকায় উঠেন না।
আপনাদের এই মূহুর্তে একটা ধন্যবাদ দিতে চাই। না দিলে আমি ছেলে নিমকহারাম বলে গণ্য হব।
আপনাদের অনুপ্রেরণার পর আমি এই প্রবন্ধটি পার্ট আকারে প্রকাশে উৎসাহ পেয়েছি।
আশা করি সমালোচকরা আমাকে নিয়মিত পাগল বলবেন, (হাজার হোক,আমার গোত্রীয় বংশ কিনা!) আর যারা আমার গুণগান গেয়ে আমাকে এই ছিঁড়া-ফাড়া পথে চলতে সাহায্য করেছেন, তাঁদের আমি কথা দিচ্ছি, আগে পিছে আমি তাঁদের সাথেই থাকব। (একই পথের পথিক)
যাক, বহুত রসকষ হল। এবার কার কি হয়েছে তা নিয়ে আলোচনায় আসি। একটা গোপন কথা বলতে চাই।
সেটা হল, এই যে আমি মেয়েদের নিয়ে আশেপাশের এত ঘটনা লিখছি, এ ধরণের ঝুলি ভড়া এক্সপেরিয়েন্স আমার নিজেরও কিন্তু যথেষ্ট আছে। কিন্তু আমি এই ভেবে ভয়ে লিখছি না যে, একেতো অন্যের ঘটনা লিখাতেই তেনারা রেগে ফায়ার হয়ে আমাকে বিশিষ্ট সম্মানিত হিসাবে ঘোষনা করেন, আর যদি আমি নিজের ঘটনা লিখি, তাহলেতো কাজ সারা!
তেনারা এবার বলবেন যে আমি পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে মেয়েদের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছি।
তো দেশে যদি তেনাদের মত ওভার স্মার্ট, মাদ্রাসা পড়ুয়াহীন জলকুস মাস্টার না থাকত তাহলে আমি অবশ্যই অন্তত আপনাদের সৌজন্যে লিখতাম।
পাইকপাড়ায় ফারিয়া নামে আমাদের ফ্রেন্ডের এক বান্ধবী আছে। তার চেহারাটা আমার কাছে বেশ মায়াময় মনে হত।
কি কারণে আমি জানি না, এখনো মেয়েদের দেখলেই তাদের মুখে আমি রাজ্যের সরলতা আর চঞ্চল হরিণীর মত মায়াবী চাহনী দেখতে পাই।
সবাইকে তো আমি ভালবাসি না, তাহলে কেন সবার প্রতি এই মিছে আদর মিশ্রিত শুভেচ্ছা?
তবে কি এটা কারেক্টর লুজ?
না, তাহলে সেই সব তেনাদের মত আমিও মেয়েদের মুখে না তাকিয়ে আগে বুকে তাকাতাম।
তো সেই ফারিয়া যখন প্রেগনেন্ট হল, আমিতো অবাক। তাও আবার এস.এস.সি পরীক্ষা দেওয়ার অনেক আগেই।
আমার সেই ফ্রেন্ডটাই যে এ ঘটনা ঘটিয়েছে তার কোন গ্যারান্টি নেই। কারণ ওই ফ্রেন্ডের মত অন্তত আরো চার/পাঁচটা বয়ফ্রেন্ড আছে ফারিয়ার। তাদের যে কারো দ্বারাই তো এ ঘটনা ঘটাতে পারে ফারিয়া, নাকি?
এরপর সর্বশেষ ফারিয়াকে নিয়ে সবচেয়ে বেশী অবাক হলাম গত বছর এস.এস.সি পরীক্ষা শেষে। ফারিয়া একবার নয়, দুইবার নয়, তিন তিনবার গর্ভবতী হয়েছে!
শেষের দুইবারই ফ্যামিলির হাতে ধরা এবং উত্তম মাধ্যম খেয়েও কুকুরের লেজ বার বছরে সোজা না হওয়ার মত ঘটনা ঘটেছে।
আমার এ কথা বলার উদ্দেশ্য হল এই, একজন মানুষ, তা সে ছেলে হোক কিবা মেয়ে হোক। জীবনে যদি সে কখনো কঠিন কোন ঢুশ খায়, তাহলেই তার হুশ হয়ে যায়।
তবুও কিছু বেলায়েক,বেত্তমিজ তো থেকেই যায় শিক্ষার বাইরে। এখানে তারই উদাহরণ দিলাম।
আর ভাল লাগছে না। বিশ্বাস করুন, মেয়েদের এসব কুৎসা রচনা করার ইচ্ছে মোটেও আমার নেই।
কিন্তু তাদের কিছু চামচ আছে, যারা মেয়েদের নামে কিছু শুনলেই বাংলা ছবির নায়কের মত “তোর এত্ত বড় সাহস!” বলে ঝাপিয়ে পড়ে। আমি আসলে তাদেরই হুংকার শুনতে চাই।
পাশাপাশি যদি বাংলার নারীরাও নিজেদের গায়ের গন্ধ দূর করার একটু চেষ্টা চালায় আমার এ চামার মার্কা লেখা পড়ে, তো মন্দ কি।
এটুকু তো ভাবতে পারব। বাংলাদেশে আমার লক্ষ-কোটি মা-বোনেরা, যাদের শ্রদ্ধেয় পিতা-মাতা মহান একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন, সেই সব মহৎ প্রাণ লোকের কন্যাদের আমিই সঠিক পথে এনেছি।
অবশ্য তেনারা,
মানে যেইসব চামচের কথা বললাম, তারা যদি বাঁধা দেয়,তাহলে তারাই নিজেদের কর্মের জন্য একদিন নিজেরা ইয়া নাফসি করবে।



নারীর পেটে সমাজের বাচ্চা!
পার্ট-৪


সেদিন সহশিক্ষা এবং সহকর্মী হিসাবে মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেদের থাকার খুবই গুরুত্ব দিয়েছিলেন আপনাদের অনেকে। এখন যেই ঘটনা বলব তা শুনে আপনারাই বিচার করবেন যে সহকর্মী হিসেবে মেয়েদের প্রয়োজন কতটুকু।
বেশ কিছুদিন আগে গিয়েছিলাম মিরপুর দুই নম্বরে এক বিখ্যাত সুপার ভ্যালুশপে, ঢুকেছিলাম কিছু কেনাকাটার উদ্দেশ্যে। ভিতরে যেয়ে দেখি ছেলেদের চেয়ে মেয়ে কর্মীর সংখ্যাই বেশী। বেশীরভাগই পার্টটাইম জব করছে,স্টুডেন্ট তারা।
যেখানে কসমেটিকস পাওয়া যায় সেখানে এগোলাম আমি।
সুপার ভ্যালুশপে শোরুমের ভিতরেই গুদাম বা গোডাউনে যাওয়ার আলাদা দরজা থাকে,সেখান দিয়ে তাদের নিজস্ব লোকজন আসা-যাওয়া করে।
হঠাৎ সেখানের এক দরজায় আমার নজর আটকে গেল। জায়গাটা মিরপুরের সনি সিনেমা হলের পাশে বিখ্যাত সুপারভ্যালু শপের একেবারে ভিতরের দিকে। একটি মেয়ে,শপের কর্মী। হাতে কাগজ নিয়ে দরজা ঠেলা দিয়ে ঢুকল।
দরজার ফাঁক দিয়ে আমি স্পষ্ট একটা ছেলের হাত বেড়িয়ে আসতে দেখলাম। ছেলেটা মেয়ের গায়ের শার্ট ধরে সজোরে টান দিয়ে নিজের বুকের কাছে নিয়ে এল।
তারপর তাদের মাঝে বেশ কিছু ঘটনা ঘটে গেল। আমি ফিসফাস শব্দ আর উত্তেজিত ভঙ্গির কথা-বার্তা শুনতে পেলাম।
বুঝতে পারলাম তারা একজন আরেকজনকে পছন্দ করে।
ছেলেটার হাত পলকে পলকে মেয়েটার শরীরের বিভিন্ন স্থানে চলে যাচ্ছে। এভাবে প্রেম করে কোন লাভ নেই মেয়েটা কি তা বুঝছে না।
দেখা গেল পরে ছেলেটার কিংবা মেয়েটার পরিবার কেউ হয়তো বিয়েতে মত দিবে না।
আর আজকালকার মেয়েরা তো আর দুধে ধোয়া পানি নয়। তারা পুরুষের মতই এন্টারটেইনমেন্ট করতে পছন্দ করে। তাইতো কমবেশী সকল আধুনিক উগ্র মেয়েদের একাধিক বয়ফ্রেন্ড এবং সিঙ্গেল একটা লাভার অবশ্যই থাকে।
অবশ্য দুই/চারজন অতিবমেয়ে আছে। মানে তারা সম্ভবত ভুল ক্রমে পৃথিবীতে মেয়ে হয়ে এসেছে। কিন্তু তাদের আচার-আচরণ দেখে শুনে মনে হয় পরিপূর্ণ ছেলে। ভাগ্যিস তারা ছেলে হয়ে আসেনি বলে রক্ষা।
আসলে আর খবর থাকত না। যৌবনের শুরুতেই নিশ্চয়ই যৌন হয়রানিতে শীর্ষে উঠে গিনেস বুকে নাম লিখাত।
ওই সব মেয়েগুলোর ধারণা যার যত বেশী লাভার,তার তত বেশী ক্রেডিট। ক্রেডিট বুঝেন তো,তাহলে নাকি ওই মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে আর কাউকে চিন্তা করতে হবে না। সে একাই ছেলেদের ভেজে খেতে পারবে।
এই ধরণের মানষিকতার মেয়েরা যে কি করে আমাদের মত সমাজে আমাদেরই প্রশ্রয়ে আমাদের চারপাশে ঘুরে বেড়ায় তা আমার বোধগম্য নয়।
আপনাদের আশেপাশে তাকালেই বুঝতে পারবেন তাদের সংখ্যা কি আকারে বেড়ে গেছে।
এর মূল কারণ আমাদের সংস্কৃতি নামের মিডিয়ার বিভিন্ন বেহায়াপনা। তা আমি আগেও একবার উল্লেখ করেছি। এ সম্পর্কে আপনাদের হয়তো পরিপূর্ণ ধারণা নেই,কি করে মিডিয়া আমাদের তরুণ-তরুণীদের নষ্ট করছে।
ইদানিং আমরা আর সত্তর থেকে আশি দশকের মত ফিল্ম তৈরি করছি না। করছি ইন্ডিয়ার মত নগ্ন কুরুচি দেশের অশ্লীল ধারার ছবি। যার নগ্নতা ও যৌনতার ঢেউ দেখে আমাদের যুবক-যুবতি থেকে শুরু করে বয়স্ক লোকের মনেও প্রভাব ফেলে। তার প্রমাণ আমি নিজ হাতে পেয়েছি।
আমার এক পরিচিত আঙ্কেল আছেন, তাঁর তিন মেয়ে ও এক ছেলে আছে। তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নিয়মিত পড়েন। এলাকায় তাঁর যথেষ্ট সুনাম আছে ভাল চরিত্রের অধিকারি হিসেবে।
কিন্তু তাঁর বাসায় হিন্দি ফিল্ম,গান ও কালচার দেখে দেখে সকলেই রসাতলে গেছে।
তাঁর বড় মেয়ে সবে ক্লাস টেন পড়ুয়া। এরই মধ্যে সে সাতবার লাভার বদলেছে। তার মা, মানে ওই আঙ্কেলের স্ত্রী নিজের দেবরের সাথে অবৈধ যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছেন হিন্দি ফিল্ম দেখতে দেখতে।
আর আমার সেই ভাল চরিত্রের আঙ্কেল সর্বশেষ খবর অনুযায়ী দ্বিতীয় বিবাহ করেছেন।
সেই আঙ্কেলের হিন্দি সিরিয়ালের প্রতি প্রচন্ড আসক্তি ছিল এবং এখনো আছে।
সুতরাং বুঝতে বাকী নেই যে এই হিন্দি মিডিয়া আমাদের মুসলিম সমাজকে তিলে তিলে ধ্বংস করছে। একদিন আমাদের মুসলমানদের মাঝে যখন আল্লাহ বলার মত কেউ থাকবে না,তখনই কেয়ামত সংঘটিত হবে।
এ কথাও আমরা অনেকে হয়তো ভুলে গেছি। কারণ আমাদের তরুণীরা হিন্দি ফিল্মের নায়িকাদের পাছার দুলুনী দেখে একদিকে,তারা নাড়া দেয় আরেকদিকে।
এসব অশ্লীল বেহায়াপনাযুক্ত দৃশ্যাবলী দেখে সকলের মাথা হয়ে যাচ্ছে বিদঘুটে চিন্তা-ভাবনার অধিকারী। ফলে ইদানিং আমাদের সমাজের নারীদের অধিকাংশ এখন নষ্ট হয়ে গেছে। তারা বিবাহের পরও নিজের পুরানো বয়ফ্রেন্ড কিংবা লাভারদের যৌন আসক্তি পূরণ করে।
আমার এক ঘনিষ্ঠ ফ্রেন্ডের বান্ধবী (বিবাহিত মেয়ে) নিয়মিত সেই ফ্রেন্ডের যৌন মনোরঞ্জন করে। তার সাথে আমি কয়েকবার কথা বলেছি। এ জন্য তার মনে বিন্দুমাত্র অনুশোচনা নেই। বরং সে গর্ব করে আমার কাছেও এই কুরুচিপূর্ণ কাজের বর্ণনা দেয়।
আমি বর্তমানের নারীদের অবস্থা দেখে শুধু শঙ্কিত নই,বরং ভয়াবহ রকম আতঙ্কিত।
আমি বর্তমানের পুরুষদের একটা কথা বলে রাখছি। আপনারা যারা এখনো বিয়ে করেন নি,তাঁরা শতকরা একশভাগ দুশ্চিন্তাযুক্ত থাকুন যে স্ত্রী তাঁদের কপালে জুটবে তারা কখনোই পরিপূর্ণ কুমারী নয়। বরং তারা সময়ের চাহিদা পূরণের জন্য এক বা একাধিক পুরুষের সাথে ফষ্টিনষ্টি করেছে।
আপনি যদি বাসর রাতে আপনার স্ত্রীকে তার কুমারীত্ব বিষয়ে প্রশ্ন করেন,তাহলে যদি সে সৎ মানষিকতার হয়,তাহলে আপনার কাছে এভাবে কৈফিয়ত দিবে- “বিশ্বাস কর,আমি পরিস্থিতির স্বীকার হয়েছিলাম।”
স্ত্রী যখন অশ্রু বিসর্জন দিবে,তখন আপনি নিশ্চয়ই ক্ষমা না করে পারবেন না। এটা আমার বেলায়ও প্রযোজ্য।
কারণ এ কথা ঠিক যে পুরুষের একটা মন আছে। তবে হিংস্র যে দু’চারজন নেই তা আমি অস্বীকার করছি না। তবে পুরুষের পক্ষে যুক্তি হল তারা তখনই নারীকে আক্রমণ কিংবা আঘাত করে যখন তাদের সীমা ছাড়িয়ে যায়। এ ক্ষমতা যদি নারীকে দেয়া হত,তাহলে যে কি সাংঘাতিক ঘটনা ঘটত!
মেয়ে লোক প্রায় সময় কারণে অকারণে রেগে যায়। তাহলে পুরুষ মানুষকেও কারণে অকারণে মার খেতে হত মেয়েদের হাতে।
আমি যাকে ভালবাসি,তার রাগের সাথে আমার খুব ভাল করে পরিচয় আছে। সে রেগে গেল প্রায় সময় আমার গায়ে হাত তুলতেও দ্বিধা করেনা। উল্টো এতে সে কেমন যেন অমানুষিক তৃপ্তি পায়।
এ অবস্থা কিন্তু শুরু থেকেই ছিল না। বরং আমাদের সমাজের নানা রকম অসামাজিক আর অনৈতিক ব্যবস্থাপনা মেয়ে তথা নারী সমাজকে এই অধ্বর্মুখে ফেলেছে।
রাস্তা-ঘাটের কথা যদি ভাবেন,দেখবেন অনেক ধান্দাবাজ মেয়েদের দল আছে। তারা সেধে সেধে আপনার সাথে মিষ্টি মার্কা কথা বলবে। তারপর হয়তো হঠাৎ করে আপনার অসাবধানতার সুযোগ নিয়ে আপনাকে অন্ধকার রাস্তায় নিয়ে চেঁচিয়ে লোক জড়ো করে আপনাকে হেস্তনেস্থ করে আপনার টাকা পয়সা রেখে দেবে।
সুতরাং এ ধরণের ফাঁদ হতে সাবধান থাকবেন। পুরুষ জাতি হচ্ছে মাছের মত। আর নারীরা হল টোপ। টোপ দেখলে মাছ খেতে আসবেই। সুতরাং এই সমস্ত বেহায়াপনাময় এবং বার ভাতারযুক্ত মেয়েদের হতে সাবধান!

Friday, April 30, 2010

বুড়ো বয়সের ভীমরতি!


বুড়ো বয়সে ভীমরতি বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে। এর মধ্যে অনেক মতবাদ থাকলে থাকতে পারে। তবে আমি দুটো জিনিসের মধ্যেই বিশ্বাসী। তার আগে একটা ঘটনার কথা উল্লেখ করে নিই।

আমাদের এলাকায় এক বুড়ো মানুষ আছেন। তিনি আবার সম্প্রতি হজ্ব করেছেন। তাঁর তিন ছেলে এক মেয়ে। ছোট ছেলে বাদে সবাই বিবাহিত। এবং সব ঘরেই নাতি-পুতি আছে।
দেশের বাড়ি বরিশাল। এলাকার ছেলেরা দেখলে সালাম দেয়,সম্ভবত হাজ্বি মানুষ বলে। দেড় মাসের বেশী হয়েছে তাঁর স্ত্রী মারা গেছেন। যেদিন তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হয় সেদিন তিনি হাসপাতালে স্ত্রীর শীয়রের পাশে বসে রয়েছেন।
যেই মূহুর্তে তিনি শুনতে পেলেন যে তাঁর স্ত্রী আর ইহদুনিয়ায় নেই,তখনি তিনি মূর্ছা গেলেন। ডাক্তার লাশ ফেলে আগে বৃদ্ধর সেবা করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়লেন।
কিন্তু তিনি তখন করুণ সুরে বিলাপ করে চলছেন,
-ওরে মোর খোদেজা, মোরে হালাইয়া তুই গেলি গা উরফের দিকে। মুই কি দোষ করছিলাম? ওই সাদেক ভূইয়ারে(খোদেজা বেগমের পিতা) মুই খারা কইরা বরিশালের ক্ষেতের ভিত্রে পুইত্যা না আইছি, তো মোর নাম ইকবাল খন্দকার না!
এভাবে চলল একটানা সাত-আট দিন কান্নাকাটি। তাঁকে দেখেই মনে হত যেন তাঁর দেহ হতে আত্না বেরিয়ে গেছে। প্রায় সময়ই “ও আমার খোদেজা” বলে হাউমাউ করে কেঁদে উঠতেন।
তারপর হঠাৎ দীর্ঘ দুই মাস তাঁর দেখা নেই। এ সময় তিনি কোথায় আছেন কিংবা কি করছেন তা সম্পূর্ণ ভুলে গেলাম।
নিজেদের নিয়েই কুল পাই না,আবার অন্য মানুষের ব্যপারে খোজ-খবর নিব!
হঠাৎ একদিন সন্ধ্যার সময় একটি মাইক্রোবাস এসে আমরা যে বিল্ডিং-এ থাকি তার সামনে এসে দাঁড়াল। মানুষজন বাইরে তেমন একটা নেই। আমি বারান্দা হতে বাইরে উকি দিয়ে দেখি সেই ইকবাল সাহেব নামছেন। তারপর যিনি নামলেন তাকে দেখে আমার ভুরু কুঁচকে উঠল। একজন বয়স্ক মহিলা,নববিবাহীতার ন্যায় লাল শাড়ি পরিহিতা।
পাশের বাড়ির এক আন্টি তখন ব্যপার দেখে ইকবাল সাহেবের কাছে এগিয়ে গেলেন। ইকবাল সাহেবের মুখে তখন বিস্তৃত চওড়া হাসি। সেই অবস্থায় তিনি সেই লাল শাড়ি পরিহিতাকে দেখিয়ে বললেন,
-আমার স্ত্রী।
ঘটনা আপাতত এখানেই শেষ। এরপর বলতে গেলে তাঁদের পারিবারিক জীবনের ঠুয়াঠুয়ির গল্প বলতে হবে যা কেমন হতে পারে সবাই জানে।
এ কাহিণীটা বলার উদ্দেশ্য হল যে বুড়ো বয়সে লোকে কেন বিয়ে করে। এর পক্ষে অনেকগুলো কারণ আছে।
যেমন হল এই একটি। স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে শেষ সময়ে বৃদ্ধরা নিজেদের অসহায় মনে করেন। স্ত্রী পাশে থাকলে অন্তত সুখ-দুঃখের ভাগীদার হিসেবে একজন পাওয়া যায়।
এছাড়া আমি আরেকটি ঘটনা শুনেছি। তার বর্ণনা দিতে গেলে কারেন্ট চলে যাবে। তাই সংক্ষিপ্তভাবে বলছি।
বৃদ্ধ নিজের স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে বাসার কাজের মেয়ের সাথে মধ্যরাতের তান্ডবলীলায় লিপ্ত হতেন।
এর কারণ লোভ কিংবা যৌনস্বাদহীনতা যাই হোক না কেন এটাকে কেউ কিন্তু বয়সের দোষ বলতে পারবেন না।
বয়স বাড়ার পর মানুষের মনের অবচেতন একটা অংশের উপর মানুষের কোন নিয়ন্ত্রন থাকে না। এ কারণে দেখবেন অনেক বৃদ্ধ লোক স্থান-কাল-পাত্র বিবেচনায় না এনে যেখানে-সেখানে লুঙ্গি উঁচিয়ে লোকের সামনেই হয়তো বা রাস্তার মধ্যে পেশাব করে দিচ্ছেন।
এ একপ্রকার শিশুসুলভ আচরণ। এ নিয়ে হাসার কিছু নেই। আজ হতে ষাট(৬০) বছর পর (যদি আপনি আমি বেঁচে থাকি) তাহলে যে এরকমটাই ঘটবে না তা কি কেউ বলতে পারবে?
আমার মাঝে মাঝে মানুষকে প্রচন্ড ভালবাসতে ইচ্ছে করে। কিন্তু যখন আমি পৃথিবীর এই অসম্ভব নিষ্টূরতা দেখি তখন মনে হয় মানুষ হল পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ জাতি।
আমি চোখ বুজলেই দেখতে পাই যাদের সাথে আমার দেখা হয়,কথা হয়, কিংবা ব্লগিং হয় তারা আমার পাশে। আমরা একই মাঠ,হয়তো বা হাশরের মাঠে দাঁড়িয়ে আছি।


ভিজিট করুন http://www.blogvoice.tk
রাজনীতি,হলিউড কিংবা বলিউডের খবর জানতে চান? আজই ভিজিট করুন http://foulgossip.blogspot.com
আপনার লেখাটিও পাঠিয়ে দিন- arafat_bd@ymail.com

টয়লেটে বসে বিদ্যুৎ উৎপাদন করুন+টাকা কামাই করুন!


আজকাল আমরা বিদ্যুৎ শেডিং-এ বাস করি। যখন-তখন বিদ্যুৎ চলে যায়। এ শেডিং বন্ধ করতে হবে আমাদেরকেই। যদিও ডায়ালগটা পত্র-পত্রিকা এবং সরকারী সংস্থা হতে বলা হয়,তবুও তার প্রকৃত বাস্তবায়ন করি আমরা ঘরে বসে।
ডায়নিং রুমের লাইট বিনা কারণে জ্বলজ্বল করে, ড্রইং রুমের টিভি মানুষ ছাড়াই কথা বলে, ঘরের পাঙ্খা কিংবা বড়লোকের এসি বিনা বাতাসে চলতে থাকে।
তাইতো আমাদের দেশে এত বিদ্যুৎ স্বল্পতা!
নাকি অন্য কোন কারণ আছে?
এইতো, সরকারী অফিসে একটা ছোট-খাট পার্ট টাইম জব করছি আমি। সেখানে অবস্থা একদম ভিন্ন ধরণের। বিনা কারণে অসংখ্য কম্পিউটার চালু করে বসে আছেন তাঁরা। শুধু তাই নয়,সকাল থেকে রাত আটটা-নয়টা পর্যন্ত নন স্টপ এসিও চলছে।
এ বিষয়ে সতর্কবাণী বলতে গিয়ে আমার ঢের শিক্ষা হয়েছে।
বিদ্যুতের অপচয় রোধকল্পে আমাদেরই এগিয়ে আসা উচিত, এ কথা বলাতে একজন বললেন,
“আমরা সরকারের টাকায় বিদ্যুৎ ব্যবহার করি,তোমার এত জ্বলে কেন?”
এই যদি হয় সরকারী অফিসের মানুষের চিন্তা-চেতনা,তাহলে তো এই দেশের বিভিন্ন সম্পদ রক্ষার্থে যেসব দাবী জানানো হচ্ছে সব উলু বনে মুক্তা ছড়ানোর মতই প্রায়।
আমার লেখা পড়ে অনেকে হয়তো কিছুক্ষণের জন্য ভাববেন যে কথাটি ঠিকই বলেছি,কিন্তু কথায় আছে না।
কুকুরের লেজ বার বছর চোঙে ভরে সোজা করা যায় নি। আর আমরাতো মানুষ,আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ সবে শুরু হয়েছে। বার যুগেও তা শেষ হবে কিনা আমার ঘোর সন্দেহ আছে।
চলুন তাহলে,কথা না বাড়িয়ে টয়লেটে বসে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবস্থা শিখিয়ে দেই।

টয়লেটে বসে বিদ্যুৎ তৈরির প্রণালীঃ এই রেসিপিতে আপনি টয়লেটে বসেই বিদ্যুৎ তৈরি করে ফেলবেন। পাশাপাশি সেই টয়লেট থেকে টুপাইস ইনকামও করবেন খুব সহজে।
এ জন্য শুরুর দিকে অবশ্য আপনাকে সামান্য কিছু নিজের মূলধন বিনিয়োগ করতে হবে।
বর্তমানে যে হারে বিদ্যুৎএর ঘাটতি দেখা দিচ্ছে তাতে সহজেই অনুমেয় যে নিজেদের গড়া বিদ্যুৎ ছাড়া অন্য কিছু ব্যবহারের গতি আমাদের নেই।
আসুন,ছাগলের মত প্যা প্যা না করে এখুনি বিদ্যুৎ উৎপাদনের আলোচনায় আসি।
বর্তমান সময়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে কার্যকরী এবং বিজ্ঞান সম্মত পদ্ধতি হচ্ছে বায়োগ্যাস পদ্ধতি।
বায়োগ্যাস কি সেটা আমরা কম বেশী সবাই জানি।
পশু-পাখি,গরু-ছাগল এবং মানুষের হাগু-মুতু একত্র করে তথা বিভিন্ন শুকনো ও পচনশীল আবর্জনা গচ্ছিভুত করে তা বায়োগ্যাস প্লান্টে জমা করে সহজেই বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়।
বায়োগ্যাসে সঞ্চিত এসব ডাস্টবিন উপাদান কৃত্রিম উপায়ে ভেষজ হয়ে পিষ্ট হয়। এই পিষ্ট হওয়া উপাদান সমূহের যে অভ্যন্তরীণ চাপ তা গ্যাস আকারে বহির্ভূত হয়। সেই গ্যাস বায়োপ্লান্ট সংলগ্ন গ্যাস সিলিন্ডারে জমা হয়।

যদিও এই গ্যাস অনেক খবিস বস্ত দ্বারা উৎপাদন হয়েছে তবুও এই উৎপাদিত গ্যাস গন্ধ ও বর্ণহীন। একটু শুকলেই বোঝা যাবে যে এতে কোন বাজে গন্ধ নেই।
এই গ্যাস দিয়ে টিভি,ফ্রিজ,লাইট,ফ্যান প্রভৃতি চালানো যাবে।
এ পদ্ধতি আমরা জানলেও এর মাধ্যমে নিজেও কি করে ইনকাম করা যায় তা আমরা কেউ জানি না।
বায়োগ্যাসে গ্যাস উৎপাদনের পাশাপাশি কিছু কামাই করার জন্য আপনাকে প্রথমে বায়োগ্যাস সংলগ্ন একটি তাজমহলের মত টয়লেট তৈরি করতে হবে।
সেই টয়লেটের ড্রেনেজ সিস্টেম সমস্ত মল নিয়ে আসবে আপনার বায়োপ্লান্টে (যেখানে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে)।
এবার আপনি সেই তাজমহল সম টয়লেট খানাকে আধুনিক টাট্টিখানায় পরিণত করুন।
টাট্টির উপরে অবশ্যই বড় করে লিখে দিবেন,


“এখানে প্রসাব করিতে তিন টাকা মাত্র এবং পায়খানা করিতে পাঁচ টাকা মাত্র লাগিবে।”

টয়লেটে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পারফিউম ব্যবহার করবেন,তাহলে দু-চারদিনের মধ্যে আশা করি আপনার টাট্টিতে লোকজন নিয়মিত যাতায়াত শুরু করবে।
আপনি নিজে বসতে না চাইলে কোন ছোট কর্মচারী ছেলে নিয়োগ দিতে পারেন স্বল্প খরচে।
সেই টাট্টির বিল তুলবে,এবং মাসের শেষে আপনার হাতের মোটা একটা খরচের এক্সট্রা ব্যাবস্থা হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
আর অনেকে হয়তো জানেন না কি করে বায়োগ্যাস প্লান্ট তৈরি করতে হয়।
নো প্রবলেম, খুজে দেখুন আপনার আশেপাশে নিশ্চয়ই দু/একজন নাইন-টেনের ছাত্র-ছাত্রী আছে।
সেই ছাত্র-ছাত্রীদের সাধারণ বিজ্ঞান বইয়ে বায়োগ্যাস তৈরির খুটিনাটি এবং প্র্যাকটিক্যাল নিয়ম বিস্তারিত দেওয়া আছে।
আশা করি আপনারা সফল হবেন।
শুভ কামনা রইল।

বিনীত-
মোঃ আরাফাত হোসেন

আওয়ামীলীগের নেতারা না খেয়ে শুটকী হয়ে মরছেন!


দল ক্ষমতায় আসলেই যে নেতা-কর্মীদের “রাস্তা ভরা গাড়ি কিংবা জায়গা ভরা বাড়ি” থাকবে এটি সত্য নয়।
যারা ভাল তাঁরা ক্ষমতায় আসার পর থেকে চার বছরের জন্য দিন এনে দিন খেয়ে জীবন গুজরান করেন।
এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দল আওয়ামীলীগের কাহিণী।
এখানে কোন ধরণের দুর্নীতি চলে না। কঠোর সংগ্রাম ও অমানুষিক কষ্ট সহ্য করে দেশের সেবা করেন এ দলের নিবেদিত প্রাণ কর্মীরা।
তাঁদের সেবার গাড়ির গতিময়তায় বাংলাদেশ চলমান।
আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে লোকেরা স্লোগান দিচ্ছে,
চলছে গাড়ি, শশুরবাড়ি।
নেতারা শশুরবাড়ি যাওয়ার চেয়ে যাত্রাবাড়ি যাওয়া পছন্দ করেন।
আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীরা দেশের সেবা করতে করতে ডায়রিয়া,পাতলা পায়খানা,আমাশা ইত্যাদি সহ আরো বিভিন্ন মারাত্নক রোগে ভুগছেন।
যারা একটু বড় মানের নেতা,যেমন- ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, তিনি একটানা এগার মাস ধরে দেশের লোকের সেবা করতে করতে এখন দূরারোগ্য হার্টের ব্যাধিতে পড়েছেন। যেকোন সময় তাঁর প্রাণবায়ু বেরিয়ে যেতে পারে।
আচ্ছা, প্রাণ বায়ু বেরোবার সময় কি পাদ বের হয়?
বের হলেও আমার মনে হয় ওই সময়ের পাদে শান্তি থাকে না, জীবনের মাঝে দেওয়া পাদেই শান্তি থাকে।
পাদ নিয়ে কি কোন থিসিস করা হয়েছে? সে কথায় পরে আসি। আগে ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস-এর অবস্থা দেখি।
একমাস আগে রংপুরের এক অঁজপাড়াগায়ের ডাক্তার তাঁর হৃদরোগকে শনাক্ত করেছেন। টাকার অভাবে তিনি ঢাকা হতেও চিকিৎসা নিতে পারেন নি।
তাঁর ঘরে একবেলা চাল থাকে,তো পরের বেলা থাকে না।
এখানে হয়ত বিএনপির কোন নেতাকর্মীর হাত থাকতে পারে। তাঁরা অত্যন্ত চরিত্রবান একটি দলকে না খাওইয়ে ছিয়াত্তরের মনন্তরে ফেলতে চাইছে।
তবে বাংলার বুকে যতকাল রবে দামাল হারামজাদা,ততকাল এই আওয়ামীলীগের কিসসুটি হবে না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থাতো আরো করুণ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিনি গত দুদিন ধরে দানা-পানি কিছুই মুখে দেন নি। সামান্য ডায়রিয়া প্রতিরোধের জন্য আয়োডিনযুক্ত লবণ কেনার সামর্থ্যও তাঁর নেই।
ডাক্তার গুরু পাদা রায় ওরফে ভোদাই চন্দ্র ঘোষণা করেছেন, অতিরিক্ত পরিশ্রমের ও চিন্তার ফলে প্রধানমন্ত্রীর দেহে বিষাক্ত দুর্নীতিদমন কমিশনের ভাইরাস ঢুকে গেছে।
কবে নাগাদ এ থেকে তিনি মুক্তি পাবেন তার কোন ঠিক নেই। এছাড়া এই ভাইরাস হয়ত মারাত্নক রকমের পাগলামীও শুরু করে দিতে পারে।
আচ্ছা,প্রধানমন্ত্রীরা পাগল হলে তাঁরা কি করেন?
মাজারের সামনে উলঙ্গ নাচানাচি করা যায় কি?
নাকি তখন লজ্জা লাগে?
যাহ! এ বিষয়ে পরে আলোচনা হলে ভাল হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন টাকার অভাবে সিনেমায় অভিনয় করতে গিয়েছিলেন। পরিচালক কি বলেছেন জানেন?
-আপনি অভিনয় করতে চান?
-জ্বি ভাইজান।
-আপনাকে দিয়া অভিনয় হবে না। যারা অভিনয় করতে চায়, তাদের মোটা গলা লাগে।
-আমার মোটা গলা আছে, বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একটা ভাষন দেওয়ার মত করে হাম্বা ডাক দিলেন।
-আপনার হাম্বা ডাক হয় নাই। আমাদের নায়ক মেয়র মহিউদ্দিন ভাই এর চেয়ে সুন্দরভাবে হাম্বা ডাক দিতে পারেন। তাছাড়া হাম্বা ডাক বাদ দিলেও আপনি অতিরিক্ত সুন্দরী, এত সুন্দরী লোক মহিউদ্দিন ভাই পছন্দ করেন না।
গম্ভীর মুখে জবাব দিলেন পরিচালক সাহেব।
-ভাইজান, আমি সুন্দরী সেটা কোন সমস্যা না, দরকার হলে ইন্ডিয়া থেকে কাল হওয়ার মেকাপ নিয়ে আসব। জানেন তো ওদের মা কালীর বেদিতে কাল হওয়ার অনেক যন্ত্রপাতি আর প্রসাধনী আছে।
-তা ঠিক, তাহলে একটু নেচে দেখান তো দেখি।
-আমি নাচতে পারি না। তবে গান-কবিতা শুনতে চান তো শুনাতে পারি।
বলে পরিচালকের জবাবের অপেক্ষায় না থেকে সাহারা খাতুন গান-কবিতা শুরু করলেন।

১. তোমারে লেগেছে এত যে ভাল,
চাঁদ বুঝি তা জানে,হুউ,চাঁদ বুঝি তা জানে।
২. বস্তি আমি,হস্তি তোরা,
ঘাড় মটকে যাব মোরা।
এক,দুই,তিন চট্টাশ,
বোম ফাটে ফট্টাশ।
আন্ডা-বিচি ছিলিয়ে,
ঢাকা দিব জ্বালিয়ে।


গান-কবিতা শেষ হল। কেউ তালি দিল না দেখে সাহারা খাতুন নিজেই একটা ছোট্ট তালি দিলেন।
পরিচালক সাহেব ভুরু কুঁচকে খানিক্ষণ চিন্তা করলেন। সাহারা খাতুন বলে উঠলেন,
-ভাইজ্বান,আসল জিনিসটাই বাকী রয়ে গেছে, এখনো ভাষণ দেওয়া হয় নি। দিয়ে দিব নাকি?
-না না, তার দরকার নেই। আপনি সিলেক্টেড।
তাড়াতাড়ি বলে উঠলেন পরিচালক সাহেব।

সাহারা খাতুন এই চান্সে কেমন করে যেন বেঁচে গেলেন।
অথচ অন্যান্য নেতারা তখনো দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।
ফজলে নূর তাপসের অবস্থা তেমন ভাল নয়। সারাক্ষণ কি সব উল্টো-পাল্টা স্বপ্ন দেখে তাঁর ঘুম ভেঙ্গে যায়।
গত রাতে তিনি স্বপ্নে দেখেছেন তিনি একটা ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁর দুই পাশে দুইজন ঘোমটা দেওয়া জল্লাদ।
তিনি অবাক বিস্ময়ে আবিস্কার করলেন জল্লাদরা তাঁরই দুই স্ত্রী। ঘোমটা পড়ে ছিল বলে তিনি চিনতে পারেন নি।
তিনি প্রথম স্ত্রী চমচমকে প্রশ্ন করলেন,
-তুমি আমাকে মারতে চাও?
-চুপ হারামজাদা,সারাদিন খালি দেশের সেবা, আমাদের একটু আদর-সোহাগ করবি তা না, বরং সারাদিন মানুষের বাসায় বাসায় দেশের সেবার জন্য দৌড়াদৌড়ি। আজকে আগে তোর দেহের বিশেষ অঙ্গগুলো কাটব। তারপর তোর মুন্ডু কাটব।
তিনি আশা নিয়ে ছোট স্ত্রী পদ্মিনীর দিকে তাকালেন।
-শেষ পর্যন্ত তুমিও এই কাজটা করতে চাও?
-আমার দিকে তাকায়ে লাভ নাই। আমি আগে তোর কাপড় খুলে তোকে নেঙটো করব,তারপর তোর যেই সব দেশে যেতে মন চায় সেইসব দেশে ভ্রুমন করায়ে আনব। এ জার্নি টু ফেভারিট কান্ট্রি উইদাউট ক্লথস। লোকে জিজ্ঞ্যেস করলে বলব এই লোক পাগল হয়ে গেছে,এরে একটু আপনাদের দেশের টাট্টিখানায় চুবাতে হবে। হিহঃ হিহঃ......
বলে অকৃত্রিম হাসিতে ফেটে পড়লেন তাঁর ছোট স্ত্রী পদ্মিনী।
তাপস অবাক হয়ে ভাবলেন গ্রাম থেকে কি সহজ সরল মেয়েটাকে বিয়ে করে এনেছিলেন, এই কি সেই মেয়ে?
যে স্বামীর ভয়ে কথা বলতে পারত না। এখন কিনা তাঁকে তুই তোকারী করছে, কাপড় খুলে নেঙটো করিয়ে দেবে বলছে। আরো বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে কি করে যেন তাঁর স্ত্রী ইংলিশ কথাও বলতে পারছে।
পদ্মিনী না হয়ে শঙ্খিনী হওয়া উচিত ছিল তাঁর স্ত্রীর নাম।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর অবস্থা কিন্তু কম সিরিয়াস নয়। তাঁর ডায়রিয়ার ময়লা পরিস্কার করতে যেয়ে ডাক্তার গুরা পাদা রায় ওরফে ভোদাই চন্দ্র বমি করে ঘর ভাসিয়ে দিয়েছেন।
ছিহ, কি বিশ্রি অবস্থা!
ফজলে নূর তাপস এক রাতে শুকিয়ে চর্মসার হয়ে শুটকিতে পরিণত হয়েছেন।
চিটাগাঙ থেকে শুটকির নেক্সট এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট সাপ্লাই হয়ত তাঁর কপালে জুটবে না।
প্রধানমন্ত্রী,ব্যারিস্টার ও মেয়র সাহেব দেশের মানুষের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন। এ যাত্রা তাঁরা বেঁচে গেলে বাংলাদেশের জয় হবে এ ঘোষণা দিয়েছেন বিকল্প ধারার নেতা হাইকুম বাক্কুস গাফফার।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সাহায্য পাঠানোর দরকার নেই। তিনি এখন ঢালিউডে অভিনয় করে সুপারস্টারনী!!

প্রধানমন্ত্রীকে সাহায্য করুন এই ঠিকানায়,
সুইস ব্যাংক,
সঞ্চয়ী হিসাব নং-০০৭-৩২৫৯৮০
ক্র্যাশ পোস্ট নং-৩৬৫২
একাউন্ট ইনফরমেশন-হিডেন
টাইটেল-প্রাইম মিনিস্টার
কান্ট্রি-বঙ্গদেশ।
উত্তর শ্যামপুর,ইউএসএ।

ঘরে বসে মোটা এবং চিকন হওয়ার টিপস!


সুপ্রিয় ব্লগারবৃন্দ এবং ব্লগারবৃন্দা, স্বাস্থ্য বিষয়ে লিখার তেমন আগ্রহ আমার ছিল না। কিন্তু গতকাল আমাদের এলাকার অত্যন্ত ভুটকু একটি ছেলে এবং শুটকো একটি মেয়েকে দেখে আমি এ বিষয়ে লিখার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আসুন,কথা না বাড়িয়ে আমরা দেখি কিভাবে আপনি খুব সহজে মোটা এবং চিকন হতে পারেন।

মোটা হওয়ার জন্য করণীয়ঃ মোটা হতে চায় এমন লোকের সংখ্যা বাংলাদেশে নেহায়েত কম নয়। এর বিশাল একটা অংশ আবার অত্যন্ত দরিদ্র ঘরের। তবে আমি অনেক বড়লোক ঘরের ছেলে-মেয়েদেরও দেখেছি যারা অত্যন্ত স্বাস্থ্যহীন। এর কারণ কি?
এ বিষয়ে আমার ধারণা যদিও সবার সাথে মিলবে না,তবুও আমি মনে করি জীবন এবং লাইফস্টাইলের প্রতি বিরক্তি এবং অতিরিক্ত টেনশন মানুষকে স্বাস্থ্যবান হওয়ার পথে বাধা দেয়।
তাই যারা শুটকো শরীর নিয়ে খুব বিপাকে আছেন, তাদের জন্য এই টিপস দেয়া হল। সকাল হতে রাত পর্যন্ত এই টিপস অনুসরণ করলে ইনশাআল্লাহ, আশা করি এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে সফলতা পাওয়া যাবে।

মোটা হওয়ার টিপসঃ সকাল বেলা তাড়াতাড়ি ঘুম হতে উঠুন। রাতে ভাল ঘুম না হলেও উঠা উচিত। সকালে তাড়াতাড়ি উঠা মানে নিজেকে সারাদিনের জন্য প্রফুল্ল চিত্তে রাখা।
প্রথমে একগ্লাস পানি খেয়ে হাল্কা ব্যায়াম করে আসুন। যদি শুকনো দেহে কুলোয়,তবে বার ইঞ্চি দুটো ইট দিয়ে প্রথমদিন থেকেই হাতের ব্যায়াম করতে থাকুন। যত বেশী পারবেন,তত আপনার মাসল উন্নত হবে।
ব্যায়াম করে এসে পুনরায় এক গ্লাস পানি খান।

সকালের নাস্তা হয়তো দেরীতে হবে,কিংবা আপনাকে হয়তো এমন কিছু খেতে দেওয়া হবে যা আপনার রুচিতেই আসে না।
নো প্রবলেম, খুজে দেখুন গত রাতের বাসী ভাত আছে কিনা। যদি থাকে তাহলে একটি পেয়াজ,দুটো পোড়া মরিচ আর এক চামচ আয়োডিনযুক্ত গলগন্ড প্রতিরোধকারী লবণ নিন।
তারপর পানি দিয়ে পান্তা ভাত তৈরি করে খান।
এতে সবচেয়ে বড় সুবিধা হল আপনি যত বড় খাদকই হন না কেন আপনার পেট এই পান্তা ভাতের মাধ্যমে ভরে যেতে বাধ্য।
এরপর অনেকে আবার দুপুরের আগে কোন কিছু না খেয়েই থাকেন।
কিন্তু আর না, এখন থেকে অবশ্যই খেতে হবে।
ভাবছেন কি খাবেন?
দুপুরের জন্য যে ভাত রান্না হয়েছে তার মালসার মধ্যে দেখুন অত্যন্ত পুষ্টিকর ভাতের মাড় বা ফেন, যা প্রায় সময়ই গরুকে খাওয়ানো হয়, (ইহা আবার বাতের ব্যাধির জন্য অত্যন্ত উপকারীও বটে) সবটুকু নিন।
তারপর পরিমাণমত আয়োডিনযুক্ত লবণ নিয়ে চামচ দিয়ে ভাল করে নেড়ে খেয়ে নিন।
খেয়াল রাখবেন যাতে লবণের পরিমাণ বেশী না হয়,তাহলে অতিরিক্ত লবণ কটার জন্য খেতে পারবেন না।
সুন্দরভাবে নাড়াচাড়ার পর চামচ দিয়ে খেয়ে দেখবেন অত্যন্ত সুস্বাদু হয়েছে।
খাওয়ার পর আপনার মনে হবে আজ সারাদিন না খেলেও আপনার পেট ভরা থাকবে। এই মনে হওয়াটাকে পাত্তা দিবেন না।
দুপুরের ভাত যাতে ঠিকমত খেতে পারেন তার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। বাইরে থেকে ঘুরে আসুন। পকেটে কিছু টাকা থাকলে দোকান হতে চা খেয়ে আসুন। আর অবশ্যই একটা লম্বা হাটা দিয়ে আসবেন। তাহলে পেটটা খালি হওয়া শুরু হবে।
এরপর বাসায় এসে যেই তরকারীই থাকুক না কেন আপনার নারিকেল তেলের শিশি হতে বোতলের মুখে যে কর্ক রয়েছে তার পুরোটা ভর্তি করে সেই তেল মিশিয়ে ভাতের সাথে খেয়ে ফেলুন। এতে আপনার ভুরি তৈরি করার জন্য পেট অন্যধরণের এক উৎসাহ পাবে।
ভাত খাওয়া শেষে বিকেলের আগ পর্যন্ত একটানা ঘুম দিবেন। দেখবেন ঘুম থেকে উঠার পর শরীরটা একদম ঝরঝরে মনে হচ্ছে।
বিকেলে খাওয়ার কিছু নেই এই ভেবে আপনার মন খারাপ হচ্ছে?
নো টেনশন, যেসব বন্ধু-বান্ধবদের সাথে অনেকদিন ধরে দেখা নেই তাদের বাসায় হাজির হয়ে যান। কিংবা পরিচিত বড় ভাই অথবা ছোট ভাই হলেও সমস্যা নেই।
দেখবেন বেশ কয়েকদিন পর আপনাকে দেখে তারা অন্যধরণের এক অভ্যর্থনা জানাবেন। সেই সাথে সময় বুঝে বিকেলে এসেছেন বলে হাল্কা নাস্তা পানি এবং চা প্রদানে সচেষ্ট হবেন তাঁরা।
এই সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগান। সবাই ভদ্রতা করে বলে “থাক,এসবের কি দরকার ছিল!”
আপনি এসব না বলে বলুন যে খিদেয় আপনার পেট চো চো করছে,দেখবেন আপনার জন্য কিছু বেশী খাদ্য-খানার ব্যবস্থা করা হবে। সব খাবার আপনি আবার নিঃশ্বব্দে খেয়ে ফেলবেন না যেন। স্বাভাবিকভাবে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যান। পাশাপাশি সব খাবার আপনার পেটে চালান করুন।
তারপর আরেকদিন আসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিদেয় নিন।
আর রাতের খাবার তো আপনার বাসায় অপেক্ষা করছে।
সারাদিনের ঘোরাঘুরি এবং ছুটন্ত চলন্ত ধান্দা শেষে আপনার রাতে হয়তো বেশী ক্ষিদা লাগবে।
আহার করুন যতটুকু আপনার পেটে সংকুলান হয়।
আপনি এভাবে তিন/চারদিন কাটালে খাবারের প্রতি আপনার অন্যরকম এক আগ্রহ প্রকাশ পাবে।
খাদ্যের স্বাদ আপনি হাড়ে-পিঠে টের পাবেন। প্রত্যেকদিন এই রুটিন অনুযায়ী চলবেন মাত্র এক থেকে দেড় মাস পর্যন্ত।
ইনশাআল্লাহ, এরপর আপনি নিজেকে চিনতে পারবেন না। মনে হবে আপনি গরুর দুধের খামার হতে উঠে এসেছেন।

চিকন হওয়ার জন্য করণীয়ঃ আমাদের দেশে অনেক পরিবার আছে যাদের টাকা এত বেশী যে কুত্তা-বিলাই খেয়েও সেই টাকা শেষ করতে পারে না। এইসব লোকের ছেলে-মেয়েরা সেই টাকার জোরে এমন দেহ ধারণ করে যা গিনেস রেকর্ড বুকে ১০০এর মধ্যে এসে পড়তেও কষ্ট হয়।
সেই মোটা দেহ নিয়ে রাস্তা-ঘাটে ঘুরে মানুষের মাঝে নিজেকে ভোটকা-ভুটকি হিসেবে আলোচিত করে। তাছাড়া অনেক ছেলে-মেয়ে শুধু এই স্থুল দেহের কারণে নিজের প্রেমিক-প্রেমিকাদের কাছে হেয় হয়,এমনকি অনেক ক্ষেত্রে সম্পর্কও নষ্ট হয়ে যায় এ তুচ্ছ কারণে।
তাই অতিরিক্ত মোটাদের জন্য এই শুকনো বা চিকন হওয়ার টিপস দিলাম।

চিকন হওয়ার টিপসঃ চিকন হওয়ার জন্য ছেলে-মেয়েদের একই পদ্ধতির দুটি উপায় অনুসরণ করতে হবে। পদ্ধতিটি বলার আগে আমি একটি কথা বলে নেই,এই পদ্ধতিতে আপনি যত সহজে এবং তাড়াতাড়ি চিকন হতে পারবেন,তা অন্য কোন পদ্ধতিতে কস্মিনকালেও সম্ভব নয়। এ পদ্ধতিতে আপনার সময় লাগবে দুই থেকে আড়াই মাস। তবে শরীরের স্থুলতার ভিত্তিতে এ বেধে দেয়া সময় কমতে বাড়তে পারে। তবে অধিকাংশের বেলায় দুইমাসের মধ্যেই হয়ে যায়(পরীক্ষিত)।
আমি শুকনো হতে সময় নিয়েছি দেড়মাস।
আসুন কথা না বাড়িয়ে চিকন হওয়ার টিপস সম্পর্কে আলোচনা শুরু করে দেই। প্রথমে ছেলেদেরটা দিচ্ছি।
ছেলেঃ আপনাকে প্রতিদিন চার থেকে ছয় পোটলা তামাক (গাঁজা) টানতে হবে। সকালে নাস্তা খেয়ে একবার, দুপুরে খাবার আগে,পরে এভাবে আপনার সুবিধামত সময়ে আপনি শিডিউল ভাগ করে নিতে পারেন।
এ নিয়ে অবাক হওয়া কিংবা হাসাহাসি করার কিছু নেই। সিগারেট যারা খান তাঁদের বলছি তামাকের সাথে সিগারেটের একটা অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক রয়েছে। ক্লাস নাইন-টেইন এবং ইন্টারে আপনারা পড়ে থাকবেন হাজার বছর ধরে ও পদ্মা নদীর মাঝি উপন্যাসের নায়ক চরিত্রগুলো কলকিতে তামাক খেত।
এই পদ্ধতি অনুসরণ করে যদি সাফল্য না পান তবে তার দায় সম্পুর্ণ আমার ঘাড়ে।

মেয়েঃ আমি আগেই বলেছি ছেলে আর মেয়েদের জন্য একই পদ্ধতির দুটি উপায় অনুসরণ করতে হবে। বুঝতেই পারছেন আপনাদেরও তামাক খেতে হবে। তবে যেহেতু মেয়েরা তাঁদের ঠোট কিছুতেই নষ্ট করবেন না, সুতরাং আপনারা তামাক খাবেন কলকিতে করে। অর্থাৎ হাজার বছর ধরে এর মন্তর মত করে।
রাজধানীর অনেক জায়গায় মাটির কলকি পাওয়া যায়। দাম পড়বে বিশ থেকে তিরিশ টাকা পর্যন্ত।
আর অনেকে হয়তো তামাকের উৎস সম্পর্কে মোটেও জানেন না।
নো প্রবলেম, আপনার এলাকাতেই এমন অনেক ভদ্র কিংবা অভদ্র গোছের লোক পাবেন যারা নিয়মিত তামাক খায়। তাদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তামাকের সাপ্লাই নিন। আর বানানোর পদ্ধতি তারা বেশ ভালই জানে।

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ তামাক খেয়ে প্রথম প্রথম মাথা চক্কর দিতে পারে। সামলে উঠবেন এক থেকে দেড় সপ্তাহের ভিতর। আর দেড় দুই মাস পর যখন দেখবেন আপনার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেছে,মানে স্লিম হয়ে যাচ্ছেন, তখন থেকে তামাক খাওয়ার পরিমাণটা কমিয়ে আনবেন। অনেকে আবার সিগারেটের মত তামাক খাওয়ার পর সেটা বন্ধ করতে চায় না।
সব কিছু নিজের কাছে,আমি দীর্ঘ ছয় মাস খেয়ে বর্তমানে পুরোপুরি বন্ধ করেছি। এখন আল্লাহর রহমতে আমার স্বাস্থ্য খুব স্লিমভাবে আছে।
অতিরিক্ত তামাক সেবনে দেহ কঙ্কালসার হয়ে যেতে পারে। অবশ্য সবার ক্ষেত্রে এই কথা প্রযোজ্য নয়, যেমন- মোটা মানুষের ক্ষেত্রে। সুতরাং, মোটামুটি দুই মাস পর আপনাকে অবশ্যই এটি বন্ধ করার জন্য আমি অনুরোধ করব।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

বিনীত-
মোঃ আরাফাত হোসেন


বিঃদ্রঃ এই পদ্ধতিগুলো শুধুমাত্র টোটো কোম্পানীর ম্যানেজারদের জন্য (বাদাইমমাদের জন্য)। অন্যান্য লোকের বেলায় এই পদ্ধতি আলোচনা সাপেক্ষে ব্যক্তিগতভাবে সমাধান দেয়া হবে।

একুশে টেলিভিষনের অশ্লীল ভিডিও সম্প্রচার!


সম্প্রতি একুশে টেলিভিষনে সরকারী প্ররোচনায় বিভিন্ন অশ্লীল ধরণের নাটক প্রচারিত হচ্ছে যা ফ্যামিলী নিয়ে দেখার জন্য যথেষ্ট সঙ্কোচের ব্যপার। এসব নাটকগুলোতে আবার অভিনয় করছেন কিছু জনপ্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রী।

এমনিতেই বলিউডের কালচার ফলো করে আমাদের দেশে ইভটিজিং,মারামারি,খুন,ধর্ষণ,অবাধ যৌন সম্পর্ক ইত্যাদি কল্পনাতীতভাবে বেড়ে গেছে। তার উপর এখন আবার কিনা দেশীয়ভাবে এসব ছোট পর্দার নাটক তৈরি হচ্ছে।
তাহলে বাচ্চা এবং টিনএজাররা এই দেশ হতে কি শিখবে?
এ প্রশ্ন সরকার এবং পাগলের কাছে।
সম্প্রতি কিছুদিন আগে একুশে টেলিভিষনে ইউ টার্ন নামে একটি নাটক প্রচারিত হয়েছে যেখানে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় নাট্যাভিনেতা সজল এবং অভিনেত্রী রুমানা।
নাটকে বেশ কয়েকবার তাঁরা ঘনিষ্ঠ কিছু দৃশ্যে নিজেদের ক্যামেরার সামনে তুলে ধরেন। এইসব দৃশ্যগুলো বাংলাদেশের মত প্রেক্ষাপটে নাটকের জন্য খুবই আপত্তিকর।
অনেকখানি যেন সিনেমার রোমান্স দৃশ্য তৈরি করা হয়েছে নাটকটিতে। অন্তত প্রথম দর্শনে সকলের তাই মনে হবে।
ত্রিভুজ প্রেমের ধারা নিয়ে শুরু করে রুমানা এবং সজলের মিলন ঘটানো হয়েছে নাটকে। তার মাঝে তাদের ভালবাসার দৃশ্য,যেমন- একজন আরেকজনকে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরা,মুখের কাছাকাছি মুখ আনা,সজোরে রুমানার তলপেটে সজলের চাপ দেওয়া ছাড়াও বেশ কিছু আপত্তিকর দৃশ্য আছে এতে।
যা দেখে নাটক দর্শনার্থীরা নতুন কিছু অশ্লীলতা শিখে নিবে।

এমনিতেই আমাদের দেশ দুর্নীতিযুক্ত দেশ। এখানে দুর্নীতি দমন কমিশনের মূল অফিসের সামনেও ওপেন সিক্রেট দুর্নীতি হয়।
এছাড়া সেই দিন একই সাথে প্রথম আলোর মালিক এবং সম্পাদক মতিউর রহমান ওরফে বাচ্চুকে আদালতে দাঁড়াতে হয়েছে।
বড়জন ইন্ডিয়ার উলফার সাথে সখ্যতা গড়ে টাকার পাহাড় বানিয়েছেন। আর ছোট জন মতি ভাই সেই টাকা নিজে মেরে দিয়ে প্রথম আলোর কর্মীদের বেতন শুণ্যের ফাঁকে ঝুলিয়ে রেখেছেন।
সব জায়গায় যদি একই অবস্থা চলতে থাকে,তাহলে আমাদের মত হারামখোর বাঙ্গলীগণ কোথায় যাবে বলুন তো?
নাকি এই কথাগুলো তুলে দিয়ে আমরা আরো বড় কোন খারাপ হয়ে গেলাম?

আসুন,এক থাপ্পর দিয়ে ঢাকা শহরের জ্যাম দূর করে ফেলি!


আর কত সহ্য করা যায় আব্বা বলুন?
আমি শশ্বুর সাহবকে প্রশ্ন করলাম। তিনি তখন লুঙ্গি উচিয়ে গুপ্তাঙ্গে বাতাস ঢুকানোর চেষ্টা করছেন। যে হারে লোডশেডিং হয়, তাতে করে আইপিএস-এর চার্জই হতে পারে না। ফ্যান ঘুরবে কি?
তাই মুরুব্বীদের বাতাস খেতে হলে এইভাবেই খেতে হবে।
আমার আজকের বিষয়বস্তু কিন্তু লোডশেডিং না, ঢাকা শহরের জ্যাম কমানোর উপায় নিয়ে আজকের এই স্পেশাল রেসিপি।

রেসিপি বলায় রাগ করবেন না যেন। মানুষ সবসময় একটু পাগলামী কথা বলতে ভালবাসে। আমার মধ্যেও এই ধরনের প্রবণতা আছে। যে কারণে আমি প্রায় প্রত্যেকটা পোস্টে এমন ভিন্ন কিছু ব্যবহারের চেষ্টা করি যাতে আপনারা আমার লিখা পড়ে মন্তব্য করেন। তবে আজকে একটা চরম সত্য কথা বলে ফেলি।
আমি কিন্তু শতকরা একশর মধ্যে নব্বইটি মন্তব্যের জবাবই দিতে পারি না।
কারণ আমি ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পাই খুব স্বল্প সময়ের জন্য। দেখা গেছে পাশের বাসার ভাই যখন আমার প্রতি একটু সদয় হবেন,তখন আমাকে মডেমটা দিয়ে যাবেন। সেটা হতে পারে আধাঘন্টার জন্য,কিংবা এক/দুই ঘন্টার জন্যও হতে পারে।
এ সময়টা আমি ব্লগের লিখাগুলো পড়ি,দুই-একটা লিখা আপলোড করি এবং দীর্ঘদিন অনুপস্থিতির ফলে জ্ঞানের যে ঘাটতি দেখা গিয়েছে তা পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করি ইন্টারনেট ব্যবহার করে।
আর আমার কম্পিউটার?
সেতো জগতের নবম আশ্চর্যের একটি।
ফকিরের কপালে সিঁদুর উলে না” কথাটি ঠিক না। আমার কপালে কি করে যেন উলে গেছে।
কারণ এক রুমের ভিতর ঢাকা শহরে তিন ভাই ও বাবা-মাকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে বাস করার যে আনন্দ তা আমি ছাড়া আর কেউ জানে না। আমরা একটা রুমের ভিতর পুরো পরিবার বাস করি।
ইচ্ছা করে না,দায়ে পড়ে।
সেই রুমেই একজনের দয়ায় একটা সেকেন্ড হ্যান্ড সেলেরন প্রসেররের কম্পিউটার ঢুকে গেছে। প্রথমে আমি ভেবেছিলাম এটা বুঝি স্বপ্ন। পরে নিজের গায়ে দশ ইঞ্চি সুই দিয়ে দশটা গুতা দিলাম।
জানন তো,মানুষ কোন অপ্রত্যাশিত ঘটনার সম্মুখিন হলে নিজের গায়ে চিমটি দিয়ে বোঝার চেষ্টা করে যা দেখছে তা বাস্তব কিনা।
আমি সুই দিয়ে গুতিয়ে তা পরখ করেছি।
অনেক আউল-ফাউল পেচাল হয়েছে। আসুন,কাম টু দ্যা পয়েন্ট।

আমার মত ছাত্র এই ব্লগে কতজন তা আমার জানা নেই। তবে বেশ বড় একটা সংখ্যা যে আছেন তাতে আমার কোন সন্দেহ নেই।
এই সব ছাত্রদের যানজট নিরসনে ভূমিকা সবচেয়ে বেশী।
যতই ফ্লাইওভার,ফুটওভার ব্রীজ কিংবা পাতাল রেল চালু করি না কেন, এই দেশে সহজে জ্যাম দূর হবে না নিচের স্টেপটি ফলো না করলে। সরকারের প্রতি অনুরোধ,এই সব ফ্লাইওভার,ফুটওভার করার ব্রীজ বানানোর জন্য বিদেশী ঋন নেওয়া কিংবা টাকা-পয়সা নষ্ট করার কোন মানে হয় না। কারণ অতীতে দেখা গেছে এসব বানানোর পরও জ্যামজট মোটেও কমে নি। বরং বৃদ্ধি পেয়েছে।
একটু সংক্ষেপে বলি, যখন আপনারা রাস্তাঘাটে,শপিং-এ,পার্কে কিংবা হতে পারে গার্ডেনে,উদ্যেনে,বাদাড়ে ঘুরতে অথবা কাজে বেড়োবেন, তখনই যদি রাস্তাঘাটে (যেখানে পার্কিং করা নিষেধ বা লোক অথবা যানবাহণ চলাচল হচ্ছে) কোন গাড়ি পার্ক করা অবস্থায় দেখেন তাৎক্ষণিকভাবে গাড়ির ড্রাইভারকে একটা রাম বয়রা মারবেন। বয়রা মানে হচ্ছে চটকানা।
এর আরো প্রতিশব্দ আছে। যেমন- চটোপাঘাত,থাপ্পর,কানসার নিচে ইত্যাদি।
কানসা বলতে যদিও মাছের নির্দিষ্ট পাখনাকে বোঝায়,তবে আজকাল ঢাকা শহরের অনেক ছেলেরাই কথায় কথায় বলছে “দিমু ধুইরা কানসার নিচে”।
অনেকে ভাবছেন এতে যানজট কমবে কি করে। আসলে যেকোন জায়গায় এই উল্টা-পাল্টা পার্কিং সিস্টেমের ফলেই অধিকাংশ জায়গায় জ্যাম লেগে যায়।
এছাড়া আরো কিছু কমন স্বভাব হয়েছে বাংলাদেশের ড্রাইভার নানাদের।
যেমন- তাঁরা অযথা ভাব দেখানোর জন্য ধীর গতিতে যানবহুল রাস্তায় গাড়ি চালাবেন।
এটি বন্ধ করার পর দেখবেন রাস্তাঘাট অনেক ফাঁকা হয়েছে,কিন্তু যানজট সেইভাবে আশানুরূপে কমেনি। এর দায়িত্বও কিন্তু আপনাদেরই।
নতুন ঘোষণা চালু করে দিতে হবে ঘোষণা কমিটির মাধ্যমে। ঘোষণা কমিটি বানাতে না পারলে আমার সাহায্য গ্রহণ করুন। তবে শুরুতে আপনাদের মধ্য থেকে এমন একজন লোকের প্রয়োজন হবে যার কিনা সাংগঠনিক ক্ষমতা রয়েছে। অর্থাৎ প্রয়োজনের সময় ঘোষণা কমিটিকে মূহুর্তের মধ্যে আসমান-জমিনের মধ্য অংশ দিয়ে চালনা করতে পারবেন।
ঘোষণা কমিটি নির্মাণের পর সবাইকে জানাতে হবে- এখন থেকে সাপ্তাহিক ছুটির দুটি দিন,যথা শুক্র ও শনিবার ছাড়া প্রাইভেট কার বেরোনো নিষিদ্ধ। যদি কোন প্রাইভেট কার এই দিনে দেখা যায়,তাহলে সেদিন কারের ড্রাইভারকে থাপ্পর না মেরে কারের আরোহীকে থাপ্পর মারা হবে। উক্ত দুইদিন প্রাইভেটকারের মালিকরা বিশাল ভলভো বাসে কিংবা এয়ার কন্ডিশান বাসে চলাচল করবেন।
থাপ্পর দেওয়ার আগে অবশ্যই আপনারা আগে একবার হাতে থুতু মেরে নিবেন। তা না হলে থাপ্পর পিছলে যেয়ে আস্তে লাগার সম্ভাবনা রয়েছে।
এভাবে টানা দুই থেকে তিন সপ্তাহ থাপ্পর মারামারি চলতে থাকলে দেখবেন রাস্তাঘাট বর্তমানের চেয়ে অন্তত চল্লিশভাগ বেশী ফাঁকা লাগছে।
ওয়ারেন্টি না,গ্যারান্টি দিলাম। বাকীটা থাপ্পর কমিটির চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
আশা করি একুশ শতকের ডিজিটাল বাংলাদেশ হওয়ার আগে এই কমিটির সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে এবং বাংলাদেশে ফ্লাইওভার ছাড়াই মাত্রাতিরিক্ত জ্যামজট নিরসন হবে।

কমিটির নামটি আমি প্রস্তাব করে দিয়ে গেলাম। বাকীটা ব্লগার মহোদয়ত্রের সদিচ্ছার প্রতিফলন মাত্র।

জ্যাম সড় থাপ্পর কমিটি কার্যালয়

Wednesday, March 24, 2010

আসুন,আমরা বিনা পয়াসায় মানুষকে সাহায্য করি!

আমাদের চরিত্র দিনদিন পাহাড়ের গুহার তলায় নেমে যাচ্ছে। এখন আমরা অসহায় লোকদের দুটি টাকাও সাহায্য করতে চাই না। ফকির দেখলে ভাবি, দেশে এত ফকির! সবাইকে কি আমরাই চালাব নাকি?
আমাদের নবীজী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) নিজেও অসহায়কে সাহায্য করতে পছন্দ করতেন। তবে তিনি মনে করতেন যার দুটি হাত আছে এবং ক্ষমতা আছে রুজি করার,তাকে ভিক্ষা না দিয়ে বরং তার রোজগারের পথ সুগম করাই ভাল।
কিন্তু আজকাল আমরা তাও করতে চাই না। আমাদের সমাজে অনেক বুদ্ধিমান অসহায় যুবক আছে। যারা সম্মানের ভয়ে কারো কাছে হাত পাততে চায় না। আবার ঘরে এদের তিন বেলার মধ্যে দুবেলা খাদ্য জোটে তো একবেলা জোটে না।
এই সমস্ত জ্ঞানী ছেলেরা অনেক সময় আইটি সেক্টরেও ঢুকে পড়ে। আমরা যারা সারাদিন নেটে বসে সময় কাটাই,তাদের জন্য ওই সমস্ত ছেলেদের সাহায্য করা সম্ভব এবং একদম বিনা পয়সায়!
ভাবছেন কিভাবে?
আমরা অনেক সময় বিভিন্ন ওয়েব সাইট ব্রাউজ করি। সেখানে কন্টেন্ট গুলো মনমত না হওয়ায় আমরা বিরক্তি প্রকাশ করে ফিরে আসি। কিন্তু বড় বড় বিখ্যাত সাইটগুলোতে আকর্ষণীয় লোভনীয় কন্টেন্ট দেখে আমরা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে ক্লীক করি। এতে বড় ওয়েব সাইটগুলোতে লাখ লাখ টাকা আসছে।
অথচ যে দরিদ্র ঘরের ছেলে কষ্ট করে নিজস্ব একটি ওয়েব সাইট তৈরি করে দু মুঠো খেয়ে বাঁচার জন্য চেষ্টায় নিয়োজিত থাকে,তার বিজ্ঞাপনে আমরা ক্লীক করি না।
অথচ আমাদের একটি ক্লীক হয়তো ছেলেটির পরিবার চালাতে সাহায্য করে। এখানে ক্লীক করলে আমাদের তো আর পকেটের টাকা খরচ হচ্ছে না। তাহলে বিনে পয়সায় ওই ছেলেটিকে সাহায্য করতে দোষ কোথায়?
আপনারা প্রায় সময়ই বিভিন্ন সাইট জ্ঞানের প্রয়োজনে ভিজিট করেন, সুতরাং একটি কন্টেন্ট বিহীন সাইটে ক্লীক করে কারো পরিবার চালানোর জন্য সাহায্য করতে পারেন আপনারাই।
কারণ আপনাদের মধ্যেই অনেকে হয়তো আবার ওয়েব সাইট খুলে বসে আছেন। সুতরাং ওই সাইটটির ভবিষ্যৎ আপনাদের ক্লীকের উপরই নির্ভর করছে।
এ মহৎ কাজ করতে হয়তো আপনাদের বিরক্তি বোধ হবে। তাই সহজে করার জন্য একটি টিপস দিচ্ছি।
আপনাকে বিজ্ঞাপনে ক্লীক করে বসে থাকতে হবে না পেজের অপেক্ষায়। আপনি সহজে প্রত্যেকটি বিজ্ঞাপণে ক্লীক করতে পারেন অনেক অল্প সময়ে।
একটি বিজ্ঞাপণে ক্লীক করুন,যখন দেখবেন কম্পিউটার মনিটরের উপরে যেখানে ওয়েব পেজের এড্রেস দেওয়া থাকে সেটি বদলে বিজ্ঞাপণের লিংকের ঠিকানা এসেছে,তখনি সেই পেজ আসার আগেই আরেকটি বিজ্ঞাপনে ক্লীক করুন। এভাবে লিংক এড্রেস চেঞ্জ হওয়ার পরে কিন্তু নতুন পেজ আসার পূর্বে আরেকটি বিজ্ঞাপণে ক্লীক করতে পারেন।
তাহলেই সাইটে ধরে নিবে যে বিজ্ঞাপণে ক্লীক করা হয়েছে।
তবে একটি কথা,তা হল কিভাবে বুঝবেন যে সাইটটি কি কোন অসহায় দরিদ্র লোকের নাকি ধনী কোন লোকের খেয়াল?
এটি আসলে যারা দীর্ঘদিন নেটে ব্রাউজ করছেন তারা এক নজর দেখেই বুঝতে পারবেন। ওই যে বলে না- এক্সপেরিয়েন্স!
সেই এক্সপেরিয়েন্স থেকেই।

ল্যাম্পপোস্টের আলোয় রুখে দাঁড়াও ক্রসফায়ার!

দুইদিন হয়ে গেছে তারা চান ভাইয়ের কোন খবর নেই। কোথায় আছেন কেমন আছেন তাও বলতে পারবে না অশান্ত। তাই তার মন ভাল নেই। সকাল থেকে সে শান্ত থাকার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে,কিন্তু বৃথা চেষ্টা।
কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। তারা চান ভাই এমনি এমনি হাওয়া হয়ে যেতে পারেন না। নিশ্চয়ই এর মধ্যে কিন্তু আছে,সেই কিন্তুটা অশান্তকে খুজতে হবে।
এমনিতে অশান্তর মেজাজ সবসময় শান্ত থাকে,কিন্তু যখন অপারেশনে বের হয় তখন তার মাথা ঘোড়া মাসুদের মত গরম হয়ে যায়, তাই তারা চান ভাই তাকে এই নাম দিয়েছেন। সেই থেকে লোকে শান্তকে আর চিনে না। চিনে অশান্তকে।
এর জন্য অবশ্য অশান্ত মনে মনে তৃপ্তি বোধ করে। এই তারা চান ভাই তাকে এনে দিয়েছেন অর্থ,যশ,ক্ষমতা এবং জীবনের চরম উত্তেজনাকর সব কাজ-কারবার!
না,আর দেরী করা যায় না। ভাবতেই বসা থেকে উঠে দাঁড়াল অশান্ত। খানিকক্ষণ হাটাহাটি করে মোবাইল হাতে নিয়ে কল দিল সে তারা চান ভাইয়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ল্যাংড়া মজিদ ভাইকে।
-হ্যালো স্লামুলাইকুম মজিদ ভাই, তারা ভাইয়ের কোন খবর পাইছেন?
-নারে অশান্ত, তয় আমি চারিদিকে পোলাপাইন পাঠাইছি। ঘন্টাখানেকের মধ্যে আশা করি খবর আইসা পড়ব। তুই চিন্তা করিস না। সারা রাইত মনে হয় ঘুমাছ নাই। এহন একটা ঘুম দে,দেখবি মাথা-শরীর দুইডাই ফেরেশ হইয়া যাইব।
-ভাই,(অশান্ত হঠাৎ চিৎকার করে কেঁদে উঠল) কসম খোদার, যদি তারা ভাইয়ের কিছু হইয়া যায়,তেয়লে আমি আসমান-জমিন এক কইরা ফালামু।
-ঠিক আছে,তুই শান্ত হ। আরে বেডা ভয় পাছ ক্যান? তারা চান কি আমার কিছু হয় না? ওয়তো আমার কলিজার টুকরা।
বলে একগাদা উপদেশ দিয়ে ল্যাংড়া মজিদ অশান্তকে শান্ত করল।

দুইঘন্টা পর। বেলা দুপুর সবে শুরু হয়েছে। অশান্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে লোক লাগিয়ে দিয়েছে। যেখান হতেই সম্ভাবনা শুনছে সেখানেই লোক লাগিয়ে খোজ করাচ্ছে। বিকেলটা যেন এক গড়ান দিয়ে সন্ধ্যায় রূপ নিল। অতশত অশান্তর খেয়াল নেই। তার মাথায় একটাই চিন্তা,তারা চান ভাইয়ের খবর যেভাবেই হোক যোগাড় করতে হবে।
এ সময় ল্যাংড়া মজিদের ফোন এল। অশান্ত রিসিভ করল।
-হ্যালো স্লামুলাইকুম ভাই, কোন খবর পাইছেন?
-হরে ভাই, পাইছি।
আশ্চর্য শান্ত গলায় বলল ল্যাংড়া মজিদ। বলতে গিয়ে তার কন্ঠটা কেমন যেন কেঁপে উঠল। সেটা অশান্ত বুঝতে পারল না।
-তারা ভাই কেমন আছে,ভাল আছেতো? হের কইলাম খবর আছে,একটুও জানান না দিয়া হেয় উধাও হইয়া গেল। এর শাস্তি হেয় পাইব ছোড ভাইয়ের হাতে,হুঁউ।
উচ্ছসিত গলায় বলল অশান্ত।
-আচ্ছা অশান্ত,তুই এক কাজ কর। রফিক,গাল কাটা জনি, ছিড়া ফারুক,ট্যারা বাবু ওগো সবাইরে নিয়া তারা চানের বাসায় আয়। জরুরী কথা আছে।
-ক্যান ভাই?
গলা নামিয়ে প্রশ্ন করল অশান্ত।
-আছে,ব্যপার আছে,আয় তোরা তারপর কইতাছি।
বলে তাড়াতাড়ি ফোন লাইন কেটে দিল ল্যাংড়া মজিদ।
অশান্ত অত সাত-পাঁচ না ভেবে সবাইকে ডেকে আনাল। তারপর একসাথে নিজের বড় প্রাডো গাড়িটা বের করে রওনা দিল তারা চান ভাইয়ের বাসায়।
গেট দিয়ে ঢুকে আজ কেমন যেন অন্যরকম একটা অনূভুতি হল অশান্তর। কি সেটা সে ধরতে পারল না। তারা চান ভাইয়ের বাড়িতে আজ অনেক উচ্চলেভেলের লোকদের দেখতে পেল অশান্ত। সবাই কেমন যেন চুপিচুপি আলোচনা করছে। সারমর্মটা কি হতে পারে ভাবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হল অশান্ত। হতে পারে হয়তো বড় গোপন কোন মিটিং ডেকেছেন তারা চান ভাই।
সবাইকে নিয়ে দোতলায় ড্রইং রুমে ঢুকে গেল অশান্ত। সেখানে ল্যাংড়া মজিদ,বগা বরকত,রগ কাটা হাবিবসহ আরো কয়েকজন পরিচিত পুলিশ ও নেতাকর্মীদের দেখতে পেল সে।
ল্যাংড়া মজিদ মৃদু স্বরে অশান্তকে ডাক দিল। সে জানে খবরটা শোনার পর অশান্ত হয়ত ভয়ঙ্কর দানব হয়ে উঠবে। ওর এই অবস্থায় তারা চান ভাই ছাড়া কেউ ওকে দমাতে পারবে না।
-আচ্ছা অশান্ত,মানুষের জীবনে কি অনেক দুর্ঘটনা ঘটেনা?
-ঘটে ভাই,এই কথা জিজ্ঞ্যাইতাছেন ক্যান?
-তোর জীবনে ঘটছে না?
-আরে শালা! কয় কি ভাইজানে! ঘটব না ক্যান,এইতো, গত বছরইতো গুলি খাইয়া মইরা যাইতে নিছিলাম। খালি তারা চান ভাই আছিল দেইখা বাঁইচা গেছি।
-এহন এই তারা চান কি সারা জীবন তোরে আগলাইয়া রাখব? নাকি তোর নিজেরও জীবনে কিছু হইতে হইব?
-হেডা যখনকার বিষয় তহন দেহা যাইব। এসব কথা এহন কইতাছেন ক্যান?
-মনে কর,তোর তারা ভাইরে কেউ মাইরা ফালাইছে। তুই কি করবি তারে?
প্রশ্নটা শুনে পলকে অশান্তর হাত পকেটে রাখা পয়েন্ট থ্রি-টু ক্যালিবারের কাছে চলে গেল। মুখে কেমন যেন একটা ভয়ঙ্কর পশুর মত দৃষ্টি তৈরি হয়েছে । সেদিকে তাকিয়ে ঘর ভর্তি মানুষ একই সাথে শিউরে উঠল। শুধু ল্যাংড়া মজিদ,বগা বরকত আর রগ কাটা হাবিবের চোখের পাতাও নড়ল না।
-ওই মাদারচোদের বাচ্চারে ওর মার সাউয়া দিয়া রিটার্ন পাঠাইয়া দিমু এইহানে বইয়া।
গলা খাকাড়ি দিল ল্যাংড়া মজিদ। কৌটার ফাঁক দিয়ে যখন ধোয়া বেরিয়েছে,তখন কৌটার মুখ খুলে দেওয়াই ভাল। সারা ঘরভর্তি লোকের দিকে তাকাল একবার ল্যাংড়া মজিদ। তারপর স্থির চোখে তাকাল সে অশান্তর দিকে।
-গতকাল রাইতে তারা চানরে রেব ক্রসফায়ারে মাইরা ফালাইছে।


দুইদিন পর। সন্ধ্যার পরমূহুর্ত, অশান্ত ভার্সিটির সামনে বসে রয়েছে। সামনে প্রায় নিরিবিলি রাস্তাটায় কখনো কখনো দু’চারজন লোক হেঁটে যাচ্ছে। গন্তব্য বাসার দিকে। তাদের হাটার মধ্যে কিসের যেন রাজ্যের ব্যস্ততা। ভার্সিটি এরিয়ার একটা বদনাম আছে। তা হল যখন-তখন এখানে ছাত্ররা পথচারীদের আটকে ছিনতাই করে।
অশান্ত যেখানে বসে রয়েছে তার পাশে একটা বড় বিল্ডিং। সেখানে বড় বড় ভর্তি পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠিত হয়। সেই বিল্ডিং-এর উঠোন পেরোলেই ছোট-খাট একটা মাঠ। তারপর তিনটা চা আর একটা ফুচকার দোকান। তারপর একটা পুরোন পোস্টারের ঘায়ে ক্ষত-বিক্ষত দেয়াল। কত লেখা যে এই দেয়ালে ঝুলানো হয়েছে তার নীরব স্বাক্ষী এই দেয়াল। ল্যাম্পপোস্টের আলোয় সেইসব লিখা মৃদু মত করে পড়া যাচ্ছে। যদিও নতুন করে চুনা মারা হয়েছে। তবুও প্রাচীন এক অন্যরকম আভিজাত্য ঝড়ে পড়ছে সেই দেয়ালের প্রতিটি স্তরে।
তার মাঝে অশান্ত যেন এক হয়ে মিশে গেল।
বাআন্নর আন্দোলন,মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস,ভার্সিটিতে পড়াশোনা করতে আসা ঢাকার বাইরের অসহায় গরীব বাবার গ্রাম্য সন্তান, সবার রক্ত যেন কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে সেই দেয়াল।
তার উপর নতুন করে চুনা মেরে কি লাভ? বরং কাটা ঘায়ে লবণের ছিটা হচ্ছে যেন।
তারা চান ভাইয়ের কথা মনে হল অশান্তর আজ। এই দেয়ালের পাশে দাড় করিয়ে সরকারী ঝাপসা সাদা ল্যম্পপোস্টের আলোয় বেশ কয়েকজন ছাত্রকে খুন করেছিল তারা ভাই। ছাত্রগুলো রাজনীতির নামে প্রায়শই শিক্ষকদের রগ কেটে হত্যা করত।
তারা চান ভাই,সেই তারা চান ভাইকে আজ কোথাকার কোন রেবের দল নিয়ে ক্রসফায়ার করে হত্যা করেছে।
হঠাৎ উঠে দাঁড়াল অশান্ত। হেটে ঘর হতে রঙের ডিব্বায় রাখা কালি আর ব্রাশ নিয়ে এল।
নিরিবিলি এ রাস্তার সেই ঐতিহাসিক দেয়ালে নিজের মনের গহীণে জমানো কঠোর সত্য কথাটি লিখল অশান্ত।
ল্যাম্পপোস্টের আলোয় রুখে দাঁড়াও ক্রসফায়ার


এর জন্য অনেক বড় করে একটা মিটিং ডাকতে হবে। কারণ ইদানিং অনেকেই ক্রসফায়ারে পড়ে জীবন হারাচ্ছে। রেবের এই অহেতুক বাচলামী বন্ধ করতে হবে। মাস্তানদেরও একটা জীবন আছে,সেই জীবনে স্বাধীনতার প্রয়োজন আছে।
সুতরাং,আগামী ১৩ই ফেব্রুয়ারী টিএসসির সামনে মিটিং বসবে। বাংলাদেশের মাস্তান সংঘদের কেন্দ্রীয় মিটিং।
অনুষ্ঠানের নামও ঠিক করে ফেলল অশান্ত।

OPERATION UNIVERSITY FIRE

অপারেশন ইউনিভার্সিটি ফায়ারে অনেকেই যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রন পেল। এমনকি যারা মাস্তান নয় তারাও।
আজ ১৩ফেব্রুয়ারী। বিকেল হতে টিএসসির আশপাশ পুরো দখলে নিয়েছে অশান্ত বাহিণী। সাধারণ লোকজন ও ছাত্রদের চলাফেরা বন্ধ নির্দিষ্ট কিছু সময়ের জন্য। বিশাল বড় কাঁচের সামিয়ানা টাঙ্গানো হয়েছে অনুষ্ঠানের মঞ্চ হিসেবে। প্রধান অতিথি থাকবেন এ সময়ের সবচেয়ে প্রভাবশালী এবং বাংলাদেশের আতঙ্ক জনাব মিঃ কালা জাহাঙ্গীর।
বাদ্যগায়কীরা যন্ত্র আর গান বাজাচ্ছে মৃদু ছন্দে। আশেপাশে পাহাড়ার নামে ভয়ঙ্কর চেহারার বিদঘুটে সব মাস্তানরা ওপেন সিক্রেট অস্ত্র হাতে মহড়া দিচ্ছে। টিএসসির চত্বরে মূর্তির উপর বিশাল করে তারা চান ভাইয়ের ছবি। তার পাশে জাতীয় নেতা প্রয়াত এরশাদ শিকদারের ছবিও স্থান পেয়েছে।
সন্ধ্যার সময় ল্যাম্পপোষ্টের আলোয় অনুষ্ঠান শুরু হবে। এ অশান্তর একান্ত ইচ্ছা। অন্ধকার জগতের কাজকারবার অন্ধকারে করাই ভাল। তবে আলোচনা শেষে ডিনারের সময় আলোর ব্যবস্থা থাকবে। প্রধান অতিথি কালা জাহাঙ্গীর তাঁর নিজস্ব হেলিকপ্টারে করে আসছেন কিছুক্ষণের মধ্যে। অশান্ত শান্তভাবে মঞ্চে উঠে প্রধান অতিথির পাশে তার নিজের জন্য বরাদ্দ রাখা সিটটায় বসে আছে। তার সমস্ত বন্ধু-বান্ধব,ভাই-ব্রাদার,নেতাকর্মী এবং ঘুষখোর আমলারা একে একে আসছে।
মানুষের সমাগম দেখে মুগ্ধ হল অশান্ত। সে যা চেয়েছিল তাই হয়েছে। এই অনুষ্ঠানের দুইটা মূল উদ্দেশ্য আছে। সেটা সে আর তার গুটিকয়েক বন্ধু ছাড়া কেউ জানে না।
এক- সে চায় তারা চান ভাইয়ের নামে প্রতি বছর সন্ত্রাসী পুরস্কার চালু করতে। কিন্তু যেহেতু জাতির নেতা মরহুম এরশাদ শিকদার এবং বর্তমানে কালা জাহাঙ্গীরের মত নেতা আছেন। তাই তাঁদের বাদ দিয়ে কিছু করলে মাস্তান সমাজ হয়তো রাজী নাও হতে পারে। তাই সে কালা জাহাঙ্গীরকে রাজী করিয়েছে। একই সাথে তিনিও নিজের নামে একটি পুরস্কার চালু করবেন। তিনি নেতা মানুষ, তার কথা শুনে নিশ্চয়ই অমত করবে না কেউ।
দুই- তাদের অনেকলোক রেবের হাতে ক্রসফায়ারে মারা গিয়েছে। এভাবে আর চলতে দেয়া যায় না। তারা সরকারী পর্যায়ে আবেদন করবে। ক্রসফায়ারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাবে। দরকার হলে মিটিং-মিছিল করে আরো কিছু রক্ত যাবে। তবুও মাস্তানদের প্রতি রেবের এই ঘাড় ত্যাড়ামীভাব দূর করতে হবে।
এ নিয়ে সংক্ষিপ্ত একটা বক্তৃতাও দিল অশান্ত। সাথে সাথে মাস্তানের দল তুমুল কড়তালী দিয়ে সমর্থন জানাল। তাদের মুখে শোনা যেতে লাগল-

“ল্যাম্পপোষ্টের আলোয় রুখে দাঁড়াও ক্রসফায়ার,
রেবের গুলির ঠোঙ্গায় ফিরিয়ে দাও অত্যাচার।”
রেবের প্রতি যদিও মাস্তানদের অনেক রাগ। তাই বলে অবশ্য রেবদের সুযোগ পেলেও মারা যাবে না। তাহলে একই সাথে সরকার,মানুষ এবং প্রশাসনকে খেপিয়ে তোলার মত হবে ব্যপারটা। সাধারণ মানুষ রেবের প্রতি পুরোপুরি আস্থাশীল।
ঘড়ির দিকে তাকাল অশান্ত। সন্ধ্যা হয়েছে সবে। মাগরীবের আজান পড়েছে মসজিদে। সে নামাজ পড়ে না। মাস্তানদের অধিকাংশই নামাজ পড়ে না। তবে মহিলা হলে মাথায় ঘোমটা দিয়ে অন্তত সামান্য ধর্মীয় কায়দা মানা যেত।
তাদের এ সভায় কিছু পুলিশও আসবে। এই পুলিশরা তাদের চামচার পর্যায়ে চলে গেছে।
আসলে তাদের না,তাদের টাকার চামচা হয়েছে আরকি।
অশান্তর মেজাজ শান্ত রাখা ক্রমেই কঠিন হয়ে পড়ছে। কারণ সন্ধ্যার পরপর অনুষ্ঠান শুরু করার কথা। কিন্তু প্রধান অতিথি আসেন নি। অনুষ্ঠান শুরু করে কি করে?
আচমকা অশান্তর একই সাথে ক্ষোভ ও কান্না পেল। তারা চান ভাইয়ের জন্য সে আজ কিছু করতে পারছে। তাঁর নাম মাস্তান সমাজ যুগে যুগে মনে রাখবে এই পুরস্কারের মাধ্যমে।
হঠাৎ আকাশ হতে ঘুডঘুড-ঘুডঘুড শব্দ শোনা গেল। অশান্ত ঘাড় ঘুরিয়ে তাকিয়ে একটি নীল-সাদা রঙের হেলিকপ্টার দেখতে পেল। তীব্র সার্চলাইটের আলোয় টিএসসি আর মঞ্চ যেন জ্বলজ্বল করতে লাগল।
তার মোবাইলে রিঙ এল এ সময়। কালা জাহাঙ্গীর রিঙ করেছেন।
-হ্যালো স্লামুলাইকুম ভাইজান।
-হরে ভাইজান,আমি আইয়া পড়ছি। হবায় তোর মাথার উপরেই আছি,নামতাছি।
-ধন্যবাদ ভাইজান, আপনারে অসংখ্য ধন্যবাদ।

রেবের কার্যালয়ঃ
গোপন মিটিং চলছে। পেট মোটা আর মাথা মোটা এক লোক বড় চেয়ারটায় বসে বসে নাক খুটছেন। তাঁকে ঘিরে বসে আছে অনেকগুলো রেব সদস্য এবং রেবের বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।
সময়টা বসন্তের শেষের দিকে কখনো গরম লাগে,আবার কখনো শীত লাগে। এখন গরম লাগছে। তাই ভিতরে এসি চলছে।
তাছাড়া মনে হচ্ছে এখনি কিছু একটা অর্ডার করবেন পেট মোটা আর মাথা মোটা লোকটা। এ সময় তাঁর কন্ঠস্বর নড়ে উঠল,
-শালারা নাম কি দিয়েছে? অপারেশন ইউনিভার্সিটি ফায়ার?
-জ্বি স্যার,(লম্বা বকের মত গলাওয়ালা এক লোক বলে উঠল) শুধু তাই নয়, ছাত্রদের ধরে ধরে মারার প্ল্যান করছে নিশ্চয়ই। সবগুলো ওই তারা চান আর এরশাদের মতই বদমাশ!
-কে বদমাশ,আর কে হারামজাদা, সেটা আপনার মত বকের গলার না বললেও চলবে। আমি এমনিতেই বুঝতে পারি।
-স্যার, (মোটা বেঁটে মতন এক লোক বলে উঠল। তার নাকের নিচের গোফ কাঁটায় সম্ভবত গড়বড় হয়েছে। এ কারণে একপাশে ছোট আর অন্যপাশে বড় মনে হচ্ছে) কালা জাহাঙ্গীরের এখানে আসার উদ্দেশ্য কি হতে পারে?
-নিশ্চয়ই আমাদের ক্রসফায়ারের বদলা নিতে চায়। আচ্ছা, সে দেখা যাবে। মিস্টার মোখলেছ,আপনি এখনি আপনার সদস্যদের নিয়ে তৈরি হয়ে নিন। রুই-কাতলাগুলো যেন একটাও পালাতে না পারে। অপারেশন ইউনিভার্সিটি ফায়ার না? আমি এই অপারেশনের নাম দিলাম-

OPERATION T.S.C CROSFIRE

পরের খবর অতি সংক্ষিপ্ত। রেবের দল গোপন সূত্রে খবর পেয়েছে যে দেশের সমস্ত মাস্তানরা রেবের ক্রসফায়ারের বদলা নিতে চায়। একই সাথে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের রাতের অন্ধকারে আগুনে পুড়িয়ে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। তাই তাদের মিশনের নাম দিয়েছে- অপারেশন ইউনিভার্সিটি ফায়ার।
তাই এই সমস্ত অঘটন ঘটানোর আগেই। যে কয়টা সম্ভব রেব ক্রসফায়ার কিংবা এনকাউন্টার করে হত্যা করেছে।
খবরে প্রকাশ- বিখ্যাত মফিজ তারা চানের প্রধান সহযোগী অশান্তকে সহ তার আরো অন্যান্য সহযোগীদের রেব হাতেনাতে অস্ত্র এবং গোলা-বারুদসহ গ্রেফতার করেছে। এ সময় অশান্ত আরো অস্ত্রের সন্ধান আছে বললে রেব সদস্যরা তাকে নিয়ে পুরোন ঢাকার টিকাতুলীতে যায়। পথিমধ্যে অশান্তর ওত পেতে থাকা সহযোগীরা অশান্তকে মুক্ত করার জন্য রেবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে লিপ্ত হয়।
অশান্ত পালিয়ে যেতে নেয়,কিন্তু পথিমধ্যে সে গোলাগুলির মাঝখানে থেকে প্রাণ হারায়।
তার লাশ ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

অবশিষ্টঃ কালা জাহাঙ্গীরকে রেব ধরতে পারে নি। তার হেলিকপ্টারে হানা দিয়ে রেব দেখে শুধু পাইলট আছে,আর তার অনুসারীদের কারো দেখা নেই। সম্ভবত সেই অশান্ত আর তার দলবলকে ধরিয়ে দিয়েছে। নিজেকে টিকিয়ে রাখতে প্রতিপক্ষদের ভাল জবাব দিতে জানে কালা জাহাঙ্গীর।

Sunday, March 21, 2010

জিয়া উদ্যেনে লীলা করতে যেয়ে ফ্রি মাইর!

আমার বন্ধু,নাম না বললেও চলবে। গিয়েছিল জিয়া উদ্যেনে একটা গার্ল ফ্রেন্ড নিয়ে।
ধরি ওর নাম রৌদ্র। তো ঘটনা শুনেতো আমি অবাক। ওর মত ছেলে কিনা জিয়া উদ্যোনে ঘুরতে যায়,তাও আবার মেয়ে নিয়ে!!
খোজ নিলাম ভালভাবে,জানতে পারলাম তার পুরো ঘটনা। দীর্ঘদিন ধরে সে ফেসবুকে চ্যাট করছে। হঠাৎ বাংলাদেশী একটি মেয়ে,ধরি তার নাম নাসরিন, তো এই নামের মেয়েটির সাথে পরিচয় হয়।
অনেকদিন ধরে চ্যাটা-চ্যাটি। একপর্যায়ে মেয়েটির নাম্বার পায় আমার সেই রৌদ্র নামের বন্ধু।
তারপর খেয়ে না খেয়ে দুইজনের মধুর আলাপ। উল্লেখ্য, আমার বন্ধুটির জীবনে কোন মেয়ে আসেনি। তাই সে নাসরিনের সাথে খুব বেশী জড়িয়ে গেল। ইমোশন আর কাকে বলে!
আমার কাছে চুপিচুপি জানাল যে মেয়েটির পিছনে সে অলরেডী ২,৫০০ টাকা খরচ করে ফেলেছে। আমি শুনলাম,কিছু বলিনি। শুধু উপদেশ দিয়েছি যেন দেখে শুনে পথ চলে।
এরপর অনেকদিন রৌদ্রের সাথে আমার দেখা নেই। হঠাৎ দেখা হল সেদিন মিরপুর এক নাম্বারের ওভারব্রীজের উপর। তাকে দেখে চেনাই যায় না এমন অবস্থা।
কি সমাচার জিজ্ঞ্যেস করায় আমাকে সব খুলে বলল। আমার এলাকার ছেলে-পিলেগুলো আবার আমাকে মানে খুব।
রৌদ্রের সমস্যা হল একটা কথা বলতে যেয়ে আগে-পরে করে ফেলে। তাই তার ভাষায় না দিয়ে আমি নিজের উক্তিতে তুলে ধরছি ঘটনাটা।
বৃহস্পতি বার রৌদ্রের কলেজ নেই। দুপুরবেলা সেই নাসরিন ওকে কল করে জানাল যে বিকেলে সে দেখা করতে চায়। রৌদ্র তো এমনি একটা সুযোগের অপেক্ষায় ছিল এতদিন।
কোন রকম মুখে চারটা দুপুরের ভাত গুজে দিয়ে স্মার্ট হয়ে সেজেগুজে রওনা দিল জিয়া উদ্যোনে।
ছুটির দিন নয়,তাই মানুষও কিছুটা কম। রৌদ্রের কাছে অন্তত এটাই ভাল মনে হল। নাসরিন বলেছে সে চকলেট কালারের একটা শাড়ি পরে আসবে। রৌদ্র কাল রঙ্গা জিন্টসের সাথে বেগুনী একটা শার্ট পরেছে। পায়ে আধুনিক স্ন্যাকের জুতা।
পকেটে দামী এলজি আইফোন টাচ,আর অবশ্যই বেশী করে মেয়েটিকে চাইনিজ কিংবা ভাজা মুরগী(চিকেন ফ্রাই) খাওয়ানোর মত মোটা চামড়ার মানিব্যাগ।
যথারীতি মেয়েটি এল, আগেই মোবাইলে আলাপ হয়েছিল।
রৌদ্র দেখেই চিনতে পারল এই তার ফেসবুক নন্দিনী। দেখতে বেশ সুন্দরী বলা চলে। পরনে শাড়ির উপর কাল ব্লাউজ স্পষ্ট যৌবনের ইঙ্গিত করছে। সারা মুখে কেমন যেন গোপন করা একটা মিষ্টি হাসি ছড়িয়ে পড়েছে। তার মাঝে ঝকঝকে সাদা দাতের হাসি সাদা টুথপেষ্ট পেপসুডেন্ট কোম্পানীর বিজ্ঞাপন চিত্রের মত মনে হল রৌদ্রের কাছে।
উভয়ে একে অপরকে “হাই,দেখা পেয়ে খুব খুশী হলাম, স্বপ্নেও ভাবিনি এতটা মজার হবে” ইত্যাদি ইত্যাদি বিভিন্ন তরুণ প্রজন্মের ডায়ালগ দিল। তারপর এক প্রস্থ বাদাম খেতে খেতে নিজেদের কথা এবং পরিবারের কথা চলল। কথা বলতে বলতে কখন যে সন্ধ্যা হয়েছে তা রৌদ্রের কিংবা বোধ করি নাসরিন নামের মেয়েটিরও মনে নেই।
মানুষজন ততক্ষণে কমে এসেছে। উদ্যোনে গাছ-পালা আর রাতের পূর্বাগমনের আভাস ছাড়া কিছুই শোনা যাচ্ছে না।
এ সময় কোথা হতে চারজন হিজড়া এসে দাঁড়াল। শুরু হল ফাইজলামী আর বদমাইশি। রৌদ্র আর নাসরিন এদের হাত থেকে নিজেদের ছাড়াতে যেয়ে যখন ক্লান্ত হয়ে পড়েছে,তখন বিদায় নিল হিজড়াগুলো।
যাক বাবা,বাঁচলাম! বলে যেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে গেল দুইজন,ঠিক তখনি সামনে এসে দাঁড়াল একদল বাইদানী (মহিলা সাপুড়ে)। দুইজনকে বলল যে তাদের অবশ্যই সাপের খেলা দেখতে হবে,তা না হলে কাউকেই ছাড়া হবে না।
রৌদ্রের মাথা হঠাৎ গরম হয়ে গেল। রেগেমেগে বলল,
-তোমগো সাপ তোমগো সাউয়ার মধ্যেই রাখ। আর একবার ডিস্টার্ব করবা তো দেইখো কি করি।
কিন্তু বাইদানীরা রৌদ্রের কথা শুনে তেমন পাত্তা দিল বলে মনে হল না। বেটে মতন বাইদানীটা তখনই ঝোলা খুলে সাপ বের করল। বের করে সেটা হাতে নিয়ে রৌদ্রের দিকে এগিয়ে এল।
রৌদ্র আর নাসরিন দুজনেই ভয় পেয়ে হঠাৎ উল্টো দিকে ছুটতে শুরু করল। বাইদানীদের সেকি হাসি। মনে হয় রাতের জিয়া উদ্যোন শুধুমাত্র সংখালঘুদের জন্যই।
খানিকদূর দৌড়িয়ে দুইজন যেই না প্রধান দরজার সামনে এসে থেমেছে,তখন কোথা হতে যেন একগাড়ি পুলিশ এসে নামল সেখানে।
হাতে-নাতেই ধরা পড়ল ধাবমান দুই যুবক-যুবতী।
শুরু হল পরবর্তী কৈফিয়ত। কেন এই রাতের বেলা মেয়ে নিয়ে জিয়া উদ্যোনে এসেছ?
কেন আবার এখন দৌড় দিচ্ছ? তাও আবার মেয়েটিকে ফেলে রেখে?
কি কর,কোথায় থাক? এই সমস্ত প্রশ্ন করে দুইজনকেই ঘাবড়ে দিল পুলিশের দল।
ফলে সঠিক উত্তরের চেয়ে তোতলামী বেশী হয়ে গেল রৌদ্রের।
আর যায় কোথায়! পুলিশের হাতের ডান্ডা! তাও আবার লাইসেন্স করা!
ঠেকাবে কে? শুরু হল দমাদম হাতে পায়ে ওপেন সিক্রেট মার!
সঙ্গের টাকা-পয়সা,মোবাইল,মানিব্যাগ এমনকি পায়ের জুতা পর্যন্ত খুলে ঘুষ দিয়ে আসতে হল রৌদ্রকে।
তবুও শান্তনা। ইজ্জততো বাঁচল!
বাসায় পৌছার পর সিমটা তার মায়ের মোবাইলে লাগাতেই নাসরিনের নাম্বার থেকে কল এল হঠাৎ। খানিক্ষণ জিদের চোটে রিসিভ করল না রৌদ্র।
এই মেয়েটি একটা কুফা! একে নিয়ে ঘুরতে বের হয়ে এতসব ঝামেলা এবং সম্পদ গচ্চা গেছে।
তবুও শেষ পর্যন্ত রিসিভ করল রৌদ্র। হ্যালো বলতেই যা বলল নাসরিন শুনে রৌদ্রের মাথা ঘুরে গেল।
নাসরিন বলল যে এ পর্যন্ত যেসব হিজড়া,বাইদানি এবং পুলিশ এসেছে সবই তার নিজস্ব লোক।
এসব লোকদের দিয়েই সে এ ধরণের ধান্দা করে। ফেসবুকের মত আরো কয়েকটি সাইটে তার বিভিন্ন নামের প্রোফাইল আছে।
সেখানে রৌদ্রের মত গর্দভ ছেলেদের ধরে বোকা বানানো হয়।
তারপর নাসরিন মাফও চাইল রৌদ্রের কাছে। এটা নাকি সবার থেকেই চাওয়া হয়। যাতে কেউ মনে কষ্ট না রাখে।
আর রৌদ্র,সে কষ্ট রাখবে কি?
কি ঘটেছে ঠিক মত তাই মনে করতে পারল না।

ওয়েবসাইট আর পত্রিকার মারামারি!

মিরপুর এক নাম্বারের টেকনিক্যাল। তারপর বাংলা কলেজ,পানির ট্যাঙ্কি,আনসার ক্যাম্প এবং এক নাম্বার।
টেকনিক্যালের মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের জন্য একটি মোবাইল পুলিশ বক্স আছে। সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় দেখি এক ছিড়াছিড়ি অবস্থা শুরু হয়ে গিয়েছে।
পুলিশ বক্সের গায়ে বিডিনিউজ২৪ এর বিশাল বিজ্ঞাপণ। তার উপরে একটা ছোট কাগজে প্রথম আলো পত্রিকার বিজ্ঞাপণ।
প্রথম আলোর বিজ্ঞাপণ তরঙ্গে একটি ছবি। তাতে একটি মহিলা সিটের অভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে এবং তিনজন লোক মহিলাদের সিটে বসে রয়েছে। উপরে লাল রঙে লিখা আছে- “বদলে যাও,বদলে দাও।”
অন্যদিকে বিডিনিউজ২৪ এ কিছু কম্পিউটারের ছবি,তাতে ওয়েবপেজ হিসেবে দেখা যাচ্ছে শুধুই বিডিনিউজ২৪কে, সেখানে আবার ডায়ালগ দেয়া হয়েছে- “সব কিছু বদলে দিতে নেই।”
প্রথম আলোর উদ্যেগ অবশ্যই ভালো উদ্যেগ। কিন্তু আজকাল আমাদের দেশের মহিলা কিংবা তরুনীরা কোন পুরুষের ধার ধারেনা। তারা যেখানে যার সাথে যে অবস্থায় জায়গা পায় সেখানেই বসে পড়তে পারে। তবে পানের পিক ফেলার ব্যপারটিতে প্রথম আলোর স্বার্থকতা প্রমাণ পেয়েছে।
গাড়ি সিগন্যালের পিছনে রাখা,বাদামের খোসা ঠোঙায় ভরে রাখা এসব বাঙালীর ধাঁচে বিন্দুমাত্র নেই। সুতরাং এইসব ঢোল পিটিয়েও দেশের মানুষকে বুঝানো যাবে কিনা তাতে আমার সন্দেহ আছে।
আর ওয়েবসাইটের কথা নাই বললাম। আমি মিরপুর এক নাম্বারে গেলেই এক ভাই জোর করে বিডিনিউজ২৪ এর কার্ড হাতে দিয়ে দেবেন। তাতে তাঁর খুব মজা লাগে।
স্বল্প মূল্যের পোষ্ট প্রদানের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। বড় আকৃতির রুই-কাতলা পেতে ভিজিট করুন- http://www.blogvoice.tk

Saturday, March 20, 2010

নৌকার উপর ধান

বিষয়টি ভাবার মতই বটে,বাংলাদেশের মত রাষ্ট্রে তো নৌকার উপর দিয়ে ধান বহণ হতেই পারে না!
পারে টাকা।
কাড়িকাড়ি টাকা!
-যে টাকা পেলে ভাইকে হত্যা করতে দ্বিধা থাকে না,
-বোনকে নিষ্ঠুরভাবে পিটিয়ে ঘর থেকে বের করে দেয়া যায়,
-যে টাকা পেলে মাকে আর কোনদিন সন্তানেরা আচল ধরে টান দিয়ে বলেনা “মাগো,তোমার ছেলে এসে গেছে।”
সেই টাকা!

কত্ত নৌকা যায় এ গাঁ থেকে ওই গাঁয়ে! আমি একবুক আশা নিয়ে তাকিয়ে থাকি। এই বুঝি আমাদের শষ্য-ফসলাদি যায়।
কিন্তু না।
দিন,মাস এমনকি বছরও যায়। তবুও আমি সেই সম্পদ দেখি না। দেখি শুধু নৌকা ভরা টাকা।
ওদিকে ধানের যে বেলা হয়ে এল। সে বুঝি আর ফিরে এল না।
তাকিয়ে দেখি একি সর্বনাশ!
চারপাশে অথই জল। মাঝে ধান তো বড় একলা হয়ে পড়েছে। আমি নদী বক্ষের মাঝে চরে তাকিয়ে দেখি শুধু ধানের ছড়াছড়ি।
এত ধান!
দেশে বুঝি এবার ধানের প্লাবন লেগে গেল।
আমি আশায় বুক বেঁধে তাকাই। হ্যাঁ, সবই ঠিক আছে।
এবার নিশ্চয়ই আবার নৌকা ভর্তি ধান যাবে।
সোনালি-রুপালী আলোয় রোদে ঝিকঝিক করবে সেই জ্বলন্ত ধান।
যেই না আমি নৌকায় উঠলাম,অমনি অমন সোনা ঝড়া রোদ্দুর যেন কোথায় মিলিয়ে গেল। আকাশ ডেকে উঠল গুড়ুগুড়ু মেঘের শব্দে। প্রচন্ড বাতাসের তোড়ে নৌকা যেন দিক হারাতে চাইল।
আমি বললাম-ঠিক আছে নৌকা, তুমি এর উপযুক্ত ফল পাবে।
বলে আমি চরে নামলাম। ধান ছাড়া প্রকৃতি যেন হাসতেই চায় না।
যোদ্ধার চকচকে তরবারীর ন্যায় সে যেন দিপ্তি ছড়াচ্ছে।
আমি তাকে নৌকায় উঠালাম। অমনি ধানের সেই উজ্জ্বল দিপ্তি বাতাসে মিলিয়ে গেল। আর সোনা ঝড়া রঙও বুঝি রইল না।
ঠিক আছে ধান, তুমিও এর ফল পাবে।
নৌকার মাঝি,আর ধানের চাষী। সকলে যেন উদগ্রীব হয়ে আছে। কখন হাটে যাবে আর কখন টাকার থলে নিয়ে গাঁয়ের পথে রওনা দিবে।
আমি তাদের নৌকায় উঠালাম। তারপর ভাসিয়ে দিলাম নৌকা মাঝ নদীতে।
নৌকার দুলুনি বেড়ে গেল,ধানের উজ্জ্বল রঙ বর্ণহীন হয়ে গেল।
চাষী আর মাঝিও চেঁচিয়ে বলল-আমাদের ফিরিয়ে নাও। বড্ড ভুল হয়ে গেছে।
কিন্তু কোন লাভ হল না। নৌকা,ধান,মাঝি আর চাষী সকলেই মাঝ নদীতে অথই জলের অতলে অদৃশ্য হয়ে গেল।
আর কি আশ্চর্য!
যেই না নৌকা আর ধান হারিয়ে গেল, অমনি তাকিয়ে দেখি চারিদিকে আজ যেন ঈদের মত খুশীর আমেজ। সারা দেশ,মানুষ আর ফুল-পাখিরা যেন প্রাণ ফিরে পেল। আকাশে তখন মেঘ ডাকছে; দেবদারু গাছে বসে অনবরত ডেকে চলছে নাম না জানা একটা পাখি।

নারীর পেটে সমাজের বাচ্চা! (৪পার্ট একসাথে)

নারীর পেটে সমাজের বাচ্চা!
পার্ট-১

মাঝে মাঝে আমাদের বাসার সামনে দিয়ে বিভিন্ন হকার প্লাস্টিকের মাল স্বল্প মূল্যে বিক্রির জন্য চেঁচিয়ে পাড়া মাথায় তুলে। এদের সাথে বর্তমানের তরুণী মেয়েদের কোন পার্থক্য আমি দেখতে পাই না।
তবে হ্যাঁ,কিছু মেয়ে আবার এর চেয়েও নিম্ন পর্যায়ে চলে গেছে। এমনটা অবস্থায় বাংলাদেশের মত মুসলিম দেশের প্রতি আফসোস করা ছাড়া কোন গতি নেই।
মেয়েদের জন্মের পর সর্বপ্রথম যে মারাত্নক ভুলটা করছেন গুরুজন এবং সূধিমন্ডলীরা তা হচ্ছে ছেলেদের সাথে মেয়েদের সহশিক্ষার ব্যবস্থা করে।
আধুনিক মননশীলতার মেয়েরা যাই বলুন না কেন সহশিক্ষা হল মেয়েদের নিজেকে বেশ্যাবৃত্তির পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার শামীল। একটা ছেলের সংস্পর্শে এসে মেয়েরা উছৃঙ্খল এবং অশালীন আচরণের সৃষ্টি করে। অথচ তারা দাবি করতে চায় ছেলে আর মেয়েরা পাশাপাশি না দাঁড়ালে নাকি জাতি উন্নতি এবং আশার আলো দেখতে পাবে না!
তাদের পাশাপাশি একই সূত্রে কাজ করার মধ্যেই নাকি সমস্ত কল্যাণ নিহত!
যদি সত্যিই তাই হত,তাহলে আমি আমার মা-বোনকে পাঠাতাম কর্মক্ষেত্রে পুরুষের পাশে স্থান নেওয়ার জন্য।
তাঁরা যতই গুণ কীর্তন করুন সহশিক্ষার,এই সহশিক্ষার ফলেই অল্প বয়সী চেঙরা ছেলে-মেয়েরা অবৈধ প্রেম-ভালবাসায় জড়িয়ে পড়ে। ফলে একটি মেয়ে তার নিজের সর্বোচ্চ সম্পদ কুমারীত্ব দান করে একটি ছেলেকে যৌবনের নেশায় নেশাগ্রস্থ করে তোলে। তখন থেকে শুরু হয় ছেলেদের এ যৌনতার নেশা।
এর মূলে মেয়েদের বিভিন্ন উত্তেজক অঙ্গভঙ্গি ও বেপর্দা চরমভাবে প্রমাণিত।
অথচ এ সাধারণ,অথচ নিখাদ বাস্তব কথাটি নারী সমাজের কেউ স্বীকার করতে চান না। বরং তাঁরা উল্টো দাবি করে বসেন নারীর অধিকার ও সম্মানের কথা!
এ কথা সবাই জানে যে নারীও মানুষ,আর মানুষ মাত্রই সকলের সম্মান-অসম্মান রয়েছে। তাহলে তাঁদের আবার নতুন করে কি ধরনের সম্মান কিংবা অধিকারের দাবি থাকতে পারে তা আমার কাছে বোধগম্য নয়।
এ ধরনের দাবি করে নারীরা যদি নিজেদের পুরুষের সমকক্ষ বানানোর চিন্তা-ভাবনা করেন তবে তা পাগলামী ছাড়া কিছু নয়।
এ কথা ঠিক যে একসময় নারীদের উপর অনেক অত্যাচার-নির্যাতন হয়েছে,কিন্তু সেই অন্ধকার যুগ এখন দূর হয়েছে। কাজেই এ সময়ে যদি নারীরা পুরুষদেরকে অধিকারের মত একটি অসামান্য বিষয়ে বিরক্ত করেন তাহলে শুধু আমি নই,আরো অনেকে ভাবতে বাধ্য হবেন যে নারীরা পূর্ব ইতিহাসের প্রতিশোধ বৈকি কিছু নিচ্ছেন না।

আলোচনার এই পর্যায়ে আমি একটু অন্য বিষয়ে যাচ্ছি। দেশে অনেক কর্মপ্রতিষ্ঠান আছে যেখানে নারীরা চাকরী করেন। অনেকে আবার বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুরুষদের চেয়েও বেশী বেতনাদি পেয়ে থাকেন। আমরা মুসলিম জাতি। এ কথা আমরা শুধু মুখে দাবি করি, তাই কেউ যদি কখনো ইসলামের বিষয়ে ভাল কোন ফতোয়া দেয় কিংবা হাদিস বলে,তাহলে কোন প্রকার দ্বিধা না করে আমরা সাথে সাথে তাকে মৌলবাদিদের দলে ফেলে দেই। আমাদের মুসলিমদের-ই যখন এই অবস্থা,তখন ভারত,বৃটেন কিংবা আমেরিকা প্রায়ই শুধুমাত্র সন্দেহের বশে মুসলিম আচরণের লোকদের গণহারে যেভাবে টেরোরিস্ট বলে মেরে ফেলছে তাতে আমি কোন দোষ দেখি না।
কারণ এ গল্পতো আমরা সবাই জানি যে ভাইয়ে ভাইয়ে যখন ঝগড়া-ফ্যাসাদ লেগেই থাকে,তখনই তো আশেপাশের প্রতিবেশী শত্রুদের আক্রমণের সুবর্ণ সুযোগ আসে।
তো,সেই সব বড় বেতন পাওয়া নারীরা কর্মক্ষেত্রে পুরুষদের সাথে যেভাবে ঢলাঢলি করে সোহাগ মাখা কথা বলেন তা বোধহয় স্বামীর সাথেও বলেন না। ইসলামের বোরখার বিধানতো তাঁরা মানেনই না,বরং উল্টো সামান্য আবেগের বশে তাঁরা বিবাহিত কিংবা অবিবাহিত উভয় অবস্থাতেই অবৈধ প্রেম-ভালবাসায় জড়িয়ে শেষ পর্যন্ত ভয়ংকর জ্বীনা পর্যন্ত করে বসেন।
কেউ যদি কখনো তাঁদের বোরখা পড়ার আদেশ বা অনুরোধ করে,তখনই দল বেঁধে শুরু হয়ে যায় নারী জাগরণ,নারী আন্দোলন,নারী উন্নয়ন সহ আরো কত প্রতিষ্ঠান!!!
খোলা পিঠে,খোলা বুকে,খোলা মুখে চলাফেরা করে যখন তাঁদের এত সুখ, নগ্ন দেহে চলাফেরা করে না জানি তাঁরা কত শান্তি পাবেন!
অনেক নতুনধর্মী সংস্কার বিরোধী আছেন যারা বলেন,নারী-পুরুষ একত্রে শিক্ষা,কর্ম এবং জীবন নির্বাহ করলে দেশের উন্নয়নে অশেষ অগ্রগতি হবে।
সেই সব সংস্কার বিরোধীরা বোধহয় বাংলাদেশকে নারী দূষণে ভরিয়ে আমেরিকার মত উন্নত করে ফেলতে চাইছেন। যাতে করে জীবনের অর্ধেক সময় সেই পাশ্চাত্যবাসীদের মত বয়ফ্রেন্ড আর স্বামী বদলে বাঙ্গালী মেয়েদেরও হান্ড্রেড পুরুষের পার্সেন্ট অভিজ্ঞতা হয়!!!
অবশ্য তাঁরা বলে থাকেন নারী-পুরুষের মন ঠিক থাকলেই হল। তাহলে আর পাপ কাজের সৃষ্টি হবে না।
কিন্তু একটা কথা কি পাঠকরা জানেন?
চোখের সামনে তেতুল দেখলে জ্বিবে পানি আসবেই-
আর নারীরা যে হারে বোরখা পড়া বন্ধ করে যে রকম শারীরিক চলাফেরা শুরু করেছেন। রাস্তায় বেরোলে আমার প্রায়ই ভ্রুম হয়,কে আসছে, আমার আন্টি না বোন?
কাছে থেকে দেখে শিউর হই,আন্টিও না বোনও না, তাদের কাজের বুয়াতো অবশ্যই!
আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যদি হতে পারি,তাহলে আর কোন উন্নয়নের জোয়ার হোক কিবা না হোক,আগে পুরুষদের বোরখা পরিধান বাধ্যতামূলক করে দেব।
নারীরা তো তখন আন্দোলন নিয়েই ব্যস্ত, ব্যস, পুরুষরাও ঘরে বসে থেকে নারীর আয়-উপার্জন ভোগ করবে।
যাই হোক,এতক্ষণ তো কেবল একতরফাভাবে মেয়েদের-ই দোষ ধরলাম। আরেকটা দোষ যে এই নারীদের দোষকে মারাত্নকভাবে বাড়িয়েছে এবার তা নিয়ে বলা দরকার।
এ কথা অবশ্য অনেকের ধারণাতেই আছে।
বিষয়টা হল বাংলাদেশের ঘরে ঘরে টিভিতে ব্যবহৃত হওয়া স্যাটেলাইট চ্যানেল সমূহ। এ স্যাটেলাইট চ্যানেলের সিংহভাগ অংশ জুড়ে আছে ইন্ডিয়ান টিভি চ্যানেল।
তাদের চ্যানেলগুলোতে এখন এত বেশী অশ্লীল দৃশ্যাবলী দেখাচ্ছে যে তা দেখে নবম-দশম শ্রেণীর কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা প্রেম থেকে অবৈধ সম্পর্ক গড়ছে এমনকি এসব কারণে আত্নহত্যাও করছে। এই জানুয়ারী মাসেও বাংলাভিশন চ্যানেলের রিপোর্টে আমি এই আত্নহত্যার মত করুণ সংবাদ দেখেছি।
এখন আমি যদি সরকারকে অনুরোধ করি এইসব ইন্ডিয়ান চ্যানেলগুলো সম্পূর্ণরুপে বন্ধ করে দেওয়ার জন্য,তাহলে দেশের মানুষ আমাকে জুতা দিয়েও পিটাতে আসতে পারে।
কারণ ইসলাম কিংবা পরকাল,এ দুটির কোনটিই মানুষের হৃদয়ে প্রবেশ করবে না,প্রবেশ করবে বর্তমান সময়ের আনন্দ-বিনোদন চিন্তা।
আমাদের এক বড়ভাই আছে যে মানুষকে বিভিন্নভাবে ফাঁদে ফেলে টাকা আদায় করেন। কেউ যদি বলে-ভাই,আজ টাকাটা আমার দরকার,কাল দিব। তাহলে ওই ভাই বলেন-আরে বেডা কাইলকা বাঁইচা থাকলে সেনা তোর টেকা খামু। যদি মইরা যাই তেয়লেতো খাইতে পারুম না। তুই এহনি দিবি।
মানুষের হিসাবও এখন এই রকম।
অবশ্য আমিও যে টিভি চ্যানেল দেখি না তা নয়,কিন্তু আমার মত কয়জন আছে যারা এসব দৃশ্যাবলী দেখে মনকে কুরুচিপূর্ণ কামনা থেকে নিবৃত রাখতে পারবে?
পারবে না বলেই আজ ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন মানুষ করছে ওয়েব সেক্স। নারীরাও এই ক্ষেত্রে একধাপ এগিয়ে আছে।
হেন কুরুচিপুর্ণ দৃশ্য নেই যা নারীরা করছে না। পুরুষের সাথেও তাদের মন ভরেনি বিধায় জন্তু-জানোয়ারের সাথেও তারা দৈহিক সম্পর্ক শুরু করেছে। এ কেয়ামতের আলামত ছাড়া কিছুই নয়।
নেটে প্রায় প্রত্যেকটা সাইটই নারীর এসব অবৈধ যৌনদৃশ্য আপলোড করছে। সেখানে পাশ্চাত্যের পাশাপাশি বাঙালী,পাকিস্তান এবং ইন্ডিয়ার সেক্স ভিডিও-ও স্থান পেয়েছে গর্বের সাথে।
নারীরা সামান্য কারণে যদি এভাবে পুরুষের সাথে বিবাহপূর্ব অবৈধ যৌন সম্পর্ক শুরু করে,তাহলে হয়তো শেষ পর্যন্ত আমার মত পুরুষও নিজেকে শিকলের বেড়াজালে ধরে রাখতে পারবে না।
হাজার হোক,আমিও মানুষ। পাপের উর্ধ্বে নই আমিও।
কাজেই দেশ থেকে প্রথমে সমস্ত বিদেশী নারী সংস্থা দূর করে দিতে হবে। নারী-পুরুষ যাতে রাস্তা ঘাটে প্রেম ভালবাসায় মজতে না পারে সেজন্য সরকারকে কঠোর আদেশ জারী করে দিতে হবে যাতে রাস্তায় এমন ঘটনা কেউ একবার করলে দ্বিতীয়বার আর করার হিম্মত না হয়।



নারীর পেটে সমাজের বাচ্চা!
পার্ট-২

ভাইরে, গত পোষ্টে প্রথম পর্ব দিয়েই আমার আক্কেল হয়েছে। আমি ভুলে গিয়েছিলাম যে দেশে কিছু সমালোচনাকারী আছেন যারা কেউ কোন নীতির চর্চা করলে তাকে সমাজবিরোধী কিংবা মাদ্রাসার ছাত্র বলে গণ্য করে দেবেন। তাঁরা আমাকে পাগল বলে ঠাউরেছেন গত পর্বে। দুঃখের সাথে জানাতে বাধ্য হচ্ছি যে তাঁদের ঘরের মা-বোনদের সম্ভবত তিনি সেই একই লাইনে ছেড়ে দিয়েছেন।
তাঁদের বিচারবুদ্ধির ওজন নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। তাঁরা আমাকে শুধু গালাগালিই করেছেন, কিন্তু আমার প্রশ্নের জবাব না দিয়ে বলেছেন যে আমার মানসিক হাসপাতালে যাওয়া উচিত।
একজন ব্লগারকে যদি তার লেখার জন্য মানসিক হাসপাতালে যেতে হয়, তাহলে তাঁরাও তো ব্লগে লেখালেখি করছেন। এখন আমিও কি তাঁদের পাগল ভাবব?
তাঁরা এও বলেছেন যে বাংলাদেশের মাদ্রাসাগুলো বন্ধ করে দেওয়া উচিত। তাঁদের দুঃখের সাথে জানাতে বাধ্য হচ্ছি যে আমি কোন মাদ্রাসায় পড়াশোনা করি নি, করেছি সাধারণ স্কুলে।
তাঁদের মত বিদ্রোহী ব্লগারদের জন্য আমি যদি আমার মন্তব্য প্রকাশ করতে না পারি, তাহলে আপনারাই বলুন সমাজের অশান্তির জন্য দায়ী কারা?
এজন্যই বলে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করা ঠিক নয়। তাঁরা একে তিল থেকে তাল বানাতে চাইছেন। আমার মনে হয় পাবনা হাসপাতালে তাঁদের সিট পাওয়ার জন্য ব্যক্তিগতভাবে আমারই সাহায্য করা উচিত।

বি.সি.এস IT Fair-2010 এর শুরু থেকেই যাই যাই করে যাওয়া হচ্ছিল না। বন্ধু-বান্ধব অনেকেই ঘুরে এল কিন্তু আমি সময় করতে পারলাম না। এর মধ্যে আমার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু কলিন্স-এর কম্পিউটার আসুসের মাদারবোর্ডের সিডি মিরপুরে কোথাও খুজে পেলাম না। তাই বাধ্য হয়ে দুইজন গেলাম বিসিএস আইটি ফেয়ারে। মেলা বলতে বরাবর আমরা যা দেখে আসছি তার সম্পূর্ণ আঙ্গিক-ই পাল্টে দিয়েছে এই মেলার আয়োজক এবং প্রযোজকরা।
কারণ সারা বছর বিসিএস কম্পিউটারে ভবনে যা দেখা যায় ঠিক তাই আছে।
না হয়েছে এর কোন পরিবর্তন,না হয়েছে এর নতুন কোন আকর্ষন।
কারণ গতানুগতিকভাবে এ ভবনে যে সমস্ত কম্পিউটার ও এ সম্পর্কিত যন্ত্রপাতি থাকে তার কোন পরিবর্তন করা হয়নি এ মেলায়।
তবে হ্যাঁ, পরিবর্তন হয়েছে দুইটি। যা সবাই উপভোগ কিংবা ভোগ করেছেন।
এক, মেলা নাম দিয়ে পণ্য সামগ্রি বিক্রির জন্য লোভনীয় গলা কাটা অফার।
দুই, যদি বলে একটা কথা আছে না। সেই যদির জন্য যদি পণ্য বিক্রি কমে যায়, না সে রিস্ক কিছুতেই নিবেন না বিসিএস কম্পিউটার মেলার আয়োজকরা। তাইতো দোকানে দোকানে পণ্যের বদলে এসেছে নিত্য-নতুন সদ্য যৌবনাপ্রাপ্ত যুবতী নারীগুলো। পণ্যের চেয়ে তারা অনেক বেশী মূল্যবান সম্পদ!
যারা কিছু কিনবেন না, তাঁরাও একবারের জন্য হলেও ঘুরে যাবেন বিসিএস কম্পিউটার ফেয়ারে। স্বয়ং আমার বন্ধু এসে আমাকে বলল যে বিসিএস মেলায় নাকি সুন্দরী মেয়েদের অর্ধউলঙ্গ এভারেস্ট পাহাড় দেখা যায়!
পাবলিক যারা দেখতে আসবে,তারাও মেয়েদের দেখে গদগদ হয়ে আর তাদের ছোলানো-চোবানো কথা শুনে হয়তো দুই/একটা পণ্য কিনবে, এই আশ্বাস ছাড়া আর কি দিতে পারে ওই সমস্ত একাধিক প্রেম করে হিন্দুদের দেবী বনে যাওয়া মেয়েগুলো?
মানুষের কথা আর কি বলব, স্বয়ং আমার বন্ধু একজন এসে আমাকে বলল বিসিএস আইটি ফেয়ারে নাকি মাত্র বিশ টাকা দিয়ে মেয়েদের পাহাড় দেখা যায়।
সেই দিনই সে গিয়েছিল ওই মেলায়।
আমি যে একেবারেই দুধে ধোয়া পবিত্র মানুষ তা নয়, তবে বিসিএসে গিয়ে আমি আর কলিন্স দশ মিনিট পরই বেরিয়ে গেছি সিডিটা কিনে।
শুধুই কি বিসিএস? বাণিজ্য মেলা থেকে শুরু করে ডেসটিনি-২০০০ লিঃ,বিভিন্ন এনজিও কোম্পানী সবখানেই মেয়েদের চাহিদা অকল্পনীয় বেশি।
আমার এক বড়ভাই বলেন- তোর কি আছে যে তোকে চাকরি কিংবা গুরুত্বপূর্ণ কাজে নিবে? মেয়েদের নিচ্ছে এবং নিবে কারণ তাদের ওইটা(!!!) আছে। তোরতো আর ওইটা নেই।
আমি ভেবে পাইনা এর কারণ কি?
পরীক্ষা করবেন?
ফেসবুকে একটা একাউন্ট খুলুন যে কোন মেয়ের নাম দিয়ে। দেখবেন স্বল্প সময়ের মধ্যে আপনার ফ্রেন্ড লিস্টে কয়েক হাজার ছেলে আপনার অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।
আর ছেলে নাম দিয়ে খুলুন,কেউ আপনার প্রোফাইলে ভিক্ষা দিতেও আসবে না।
এই দোষ শুধু তাদের নয়, আমার-আপনার সবার।
কেন আমাদের চরিত্রের এই অধপতন বলতে পারেন?
থাক, আমি জানি এখানে খুব বড় বড় কথা বলে রাতের আধারে আমার কামোত্তজনাকে আমি দমন করতে পারব না। তবে এটা ঠিক, আল্লাহ যদি রহম করেন আর কোনদিন কান্দুপট্টিতে যাওয়া হবেনা। হয়তো হস্তমৈথুন করা হবে অসংখ্যবার।

সমাজের আলোচনায় আসি, আমাদের বাঙ্গালী জাতির একটা সুনাম আছে। তা হল যে আমরা একগুঁয়ে জাতি,বিশেষ করে দেয়ালে পিঠ ঠেকলে আমরা সবাই কম-বেশী রুখে দাঁড়াতে জানি।
তো,পৃথিবীতে যত মানুষ আছে তাদের নির্দিষ্ট একটা অংশকে আমি দুই ভাগে ভাগ করেছি। একটি হল, আরাপাগলা জাতি,আর অপরটি পাগলা জাতি।
আমাদের বাঙ্গালী জ়াতিরা হল আরাপাগলা জাতি। তাদের তেমন সম্পদ-সম্ভার নেই। কিন্তু মোটামুটি কৃষ্টি-কালচার আছে।
কেউ যদি আমাদের এই কৃষ্টি-কালচার দখল করার চিন্তা করে, অমনি আমরা এর জন্য মহা স্বরগোল তুলে নিজেদের সংস্কৃতির ঐতিহ্য রক্ষা করতে সচেষ্ট হই। যার প্রমাণ আমাদের ভাষা আন্দোলন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ ইত্যাদি।
এ সংগ্রাম শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বের ইতিহাসেও একটি উল্লেখযোগ্য আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
অথচ অন্যদিকে আমাদের দেশীয় স্বচ্ছলতা এবং সমৃদ্ধির অবস্থা একেবারেই করুণ। নিজেরাই যখন খেতে পাই না, তবুও কোন কারণে আমরা আমাদের স্বল্প একটু সম্পদ কিংবা বিপদে মাথা গোজার ঠাই যাই বলি না কেন, সেইসব বিদেশে অঢেল হস্তে পাচার করে দেই।
এ শুধু গ্যাস ইন্ডিয়ায় পাচারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়,বরং বিদ্যুৎ থেকে শুরু করে খাদ্য-শষ্য পর্যন্ত আমরা ডলারের আশায় রপ্তানী করি।
ডলার তো আর কম হল না! তাহলে এখন লাগামহীন উর্ধমুখী খাদ্যমূল্য স্থিতি হচ্ছে না কেন?
আমি মনে করি যে দেশে বাইনচোদ মানসিকতার লোকজন নেতাগিরি ফলায়, সে দেশে কস্মিনকালেও কোন উন্নতি হবে না।
ওদিক দিয়ে আমেরিকা, বৃটেনের মত পাগলা জাতিরা যদিও পায়খানা থেকে প্রাপ্ত সত্তুর দশকের পিতলের বদনা শুধু মাত্র এনটিক মূল্যের কারণেই লাখ লাখ ডলারে বিক্রি করে, তবুও তাদের মাথায় কিছু প্রতিভা তো অবশ্যই আছে।
তারা স্বপ্ন দেখে দেশ এবং মানুষকে বদলে দেওয়ার। আর আমরা স্বপ্ন দেখি দিনকে বদলে দেওয়ার।
উদ্দেশ্য এক,প্রয়োগ ভিন্ন।
যাই হোক,রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চাই না। আলোচনা করতে চাই সমাজ এবং নারী বিষয়ে।
ব্লগার ভাইদের কাছে একটি অনুরোধ, যদি পারেন তাহলে আজ থেকে প্রতিজ্ঞা করেন যে খোলা পিঠের মেয়ে কিংবা মহিলা যেখানেই থাকুক। বাড়িতে,অফিসে কিংবা পার্টিতে,তাদের পিঠের মধ্যে যদ্দুর জোরে সম্ভব চটাশ করে থাপ্পর মেরে দিবেন।
আর যদি তা না পারেন তাহলে আমার কাছে খবর দিবেন। আপনার লজ্জা ঢাকবার জন্য দেশে আমি ইনশাআল্লাহ পুরুষদের বোরখা পরিধানের ব্যবস্থা করব।
গত সংখ্যার লেখা যারা পড়েছেন তাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো ভাবছেন আমি পুরোপুরি পুরুষবাদী।
ভুল, আমার মধ্যেও কামনার লেলিহান শিখা জ্বলজ্বল করে দীপ্তি ছড়ায়।
কামের উত্তেজনায় আমিও অধির হয়ে বঙ্গের মাতাল রমণীদের আশায় অস্থির হয়ে যাই।
কিন্তু গত চার বছরের সেক্সুয়াল জীবনে আমি মাত্র একবার এক কান্দু পট্টিতে যেয়ে অপি নামের পনের বছর বয়সী এক মেয়ের সাথে যৌনলীলা সাঙ্গ করেছি,তাও মেয়েটি আমাকে বিষেশভাবে অনুরোধ করেছে বলেই। কিন্তু আমি তারপরেই বাসায় যেয়ে এই ভেবে ভয়ে অস্থির হয়েছি যে একদিন তো আমাকে মরতেই হবে। তখন আল্লাহ কি আমাকে ছাড়বেন?
তখন তো গরুর গোশত যেভাবে পার্ট পার্ট করে ঝুলানো হয়,সেভাবে ঝুলিয়ে আমার আর ওই মেয়েরটা পুড়ানো হবে।
কিন্তু আজকের বাঙ্গালী ললনাগুলো কিভাবে যে বাবা-মায়ের মাথা কেটে বয়ফ্রেন্ড কিংবা লাভারের সাথে সেক্স করে তার ভিডিও টেপ বের করে ব্লুটুথ এবং ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়!!
এসব সমস্যাগুলো দিনদিন প্রকট আকার ধারণ করছে। অথচ বাবা-মায়েরা তেমন হুশিয়ার হতে পারছে না।
হলেও আধুনিক যুগের মেয়েরা ফু মেরেই বাবা-মাকে বোকা বানাচ্ছে।
রাস্তা-ঘাট থেকে শুরু করে সকল স্থানে চলছে অবৈধ অসামাজিক কার্যকলাপ।
দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা,সামাজিক ব্যপক দুর্নীতি এসব বাংলাদেশ থেকে কস্মিনকালেও দূর হবে কিনা সন্দেহ আছে আমার।
দেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কথা ভাবুন একবার। সত্তর দশকে বাংলাদেশ,ইন্ডিয়া এবং পাকিস্তানের প্রযুক্তি তথা ফিল্ম শিল্প ছিল একই রকম সমগোত্রীয়।
অথচ আজ এই দিনে এসে বাংলাদেশ এমন পর্যায়ের ছবি তৈরি করছে যা দেখে ভদ্র এবং সূধী দর্শকরা ব্যাঙ্গের হাসি ছাড়া আর কিছুই উপহার দিতে পারছেন না।
এর ব্যর্থতার মূলে বাংলাদেশ সরকার। সরকার যদি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির দায়িত্ব আরো আগে কোন বেসরকারী সংস্থাকে দিয়ে দিত,তাহলে সেখানে প্রচুর ইনভেস্ট হত এবং দেশের চলচ্চিত্রের এই ধ্বস আমাদের বিংশশতাব্দীর লোকদের দেখতে হত না।
তবুও আশার কথা এই যে ইদানিং দেশে বিকল্প ধারার ফিল্ম তৈরি হচ্ছে যা দর্শক দ্বারা প্রশংসিত। তবে এক্ষেত্রে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম-এর অবদান অনস্বীকার্য।
তারা ছবি তৈরির সময় কাহিণীতে বৈচিত্র আনার চেষ্টা করে। তবে তারা শুধুমাত্র ইনভেস্ট এর অভাবে একটা সুন্দর কাহিণীকে প্রয়োজনমত এনিমেটেড করতে পারে না। তাছাড়া দেশের ক্যামেরাগুলো ততটা উন্নত প্রযুক্তির নয় যতটা উন্নত হলিউড-বলিউডে ব্যবহৃত হয়।
ইন্ডিয়ার সিরিয়াল কিংবা ছবিগুলোর প্রিন্ট সাধারণত অত্যন্ত ঝকঝকে হয়। এছাড়াও তাদের কাহিণী একটানা দর্শককে ধরে রাখতে পারে।
ফলে দেশীয় অনেক দর্শকই বাংলা চ্যানেল ছেড়ে ইন্ডিয়ান সিরিয়াল কিংবা নাটক দেখতে বেশী পছন্দ করে।
এ ব্যর্থতা আমাদের একার নয়, গোটা দেশের।
(চলমান)


নারীর পেটে সমাজের বাচ্চা!
পার্ট-৩




গত বছরের মাঝামাঝি সময়ের ঘটনা। আমি আর আমার বন্ধু পনির (ছদ্বনাম) মিরপুর এক নাম্বারে রাত দশটার সময় বসে ফুচকা খাচ্ছিলাম। শীতের রাত, মানুষজন একটু তাড়াতাড়িই বাসায় ফিরে যাচ্ছে। ফলে রাস্তা-ঘাট বেশ নির্জন হয়ে পড়েছিল। এ সময় একটা বেশ সুন্দরী মেয়ে আমাদের কাছে এসে দাঁড়াল।
পাশে বসে ফুচকা খেতে খেতে বিচিত্র অঙ্গভঙ্গি করতে লাগল। পনির প্রথমে ব্যপারটা বুঝতে পারল না। খানিক বাদেই বিষয়টা সে পরিস্কার বুঝতে পারল। তার মাথায় শয়তান নাড়া দিয়ে উঠল।
নির্লজ্জ আগ্রহ নিয়ে মেয়েটাকে এক নজরে দেখতে লাগল। বুঝতে পেরে মেয়েটাও উৎসাহিত হয়ে উঠল।
সে কোনরকম সঙ্কোচ ছাড়াই পনিরের কাছে এসে দাঁড়িয়ে তার নাম জিজ্ঞেস করল।
শুরু হয়ে গেল তাদের আলাপ। আমি পনিরের কানে ফিসফিস করে বললাম,
-এসব মেয়েরা মোটেও ভাল নয়, পটিয়ে নিয়ে সব রেখে দিবে।
-কি করে?
-ওদের পরিচিত ছেলের দল আছে, যাদের মাধ্যমে তারা বেকুব পাবলিককে ফাঁদে ফেলে।
পনির আমার কথা বিশ্বাস করল না। বলল,
-কিযে বলিস না! মেয়েটার চোখ দেখেছিস? কি রকম মায়াময় চাহনী। ওর সাথে আমি ফ্রেন্ডশীপ করতে চাই।
সেরেছে! মনে মনে ভাবলাম আমি। পনিরতো পুরোপুরি গেছে। তাও আবার রাস্তার ধান্দাবাজ মেয়ের পাল্লায়।
আমি মেয়েটার চোখের দিকে তাকালাম। সন্দেহ নেই, বেশ সুন্দরী। কিন্তু চোখগুলোয় অস্বাভাবিক কিছু যেন আছে। কি সেটা ধরতে পারলাম না আমি। ফলে সেখানেই সবচেয়ে বড় ভুল হয়ে গেল।
খানিকবাদে মেয়েটার বাসা চিনার জন্য পনির নিজ হতে যেচে পড়ে বলল,
-এত রাতে আপনি একা একা বাসায় যাবেন, সমস্যা হতে পারে তো। চলুন আপনাকে পৌছে দিয়ে আসি।
মেয়েটা মুচকি হাসি দিয়ে বলল,
-না থাক, তার দরকার হবে না।
তবুও পনির কিছুক্ষন জোড়াজুড়ি করতে মেয়েটা রাজী হয়ে গেল। মেয়েটার নাম দিনা। সম্ভবত ভাওতা একটা নাম। বাসা নাকি স্টেডিয়ামের পিছনে।
আমি পনিরকে নিষেধ করতে লাগলাম। তবুও ও মেয়েটার বাসা চিনার জন্য দু’পায়ে দাঁড়িয়ে গেল।
ওরা দুইজন এক রিক্সায় উঠল,আমি আলাদা একটা রিক্সায় উঠলাম। মিনিট দশ পরে স্টেডিয়ামের সামনে রিক্সা থামল।
হেঁটে আমরা স্টেডিয়ামের ভিতর দিয়ে পিছন অংশে চলে এলাম। গেট দিয়ে বের হওয়ার সময় আচমকা কয়েকটা ছেলে সামনে এসে দাঁড়াল। সবার হাতে ছুরি।
আমি আর পনির যা বুঝার বুঝে নিলাম। মেয়েটার ব্যবহার এবার হল দেখার মত। অস্রাব্য গালিগালাজ করতে করতে পনির আর আমাকে কলার ধরে টেনে পাকা স্লাপে বসাল। তারপর শুরু হল এ্যাকশন। জোর করে চার/পাঁচটা থাপ্পর মেরে আমাদের দুইজনের মোবাইল আর ক্যাশ টাকা পয়সা রেখে দেওয়া হল।
সেই থেকে পনিরের শিক্ষা হল। মেয়েটার পেশার প্রশংসা করতে হয়। নিজের রূপের যোগ্যতায় সে ধান্দা করে বেড়াচ্ছে।
ঢাকা শহরতলীতে এই ধরনের অসংখ্য মেয়ে রয়েছে। অবশ্য এই পেশা ছেড়ে ওইসব মেয়েদের হিজড়াদের পেশা ধরা উচিত হবে আমি মনে করি।
রাতের অন্ধকারে আর ধান্দা নয়, দিনের আলোয় ডাকাতি করতে সুবিধা হবে তাদের।
কোন রিস্কও নেই।
গত পরশু দিন একটা বিশেষ দরকারে রাত এগারোটায় মিরপুর মাজারে গিয়েছিলাম। সেখানে দেখতে পেলাম সেকি এলাহী কান্ডরে বাবা!
মাজারের প্রাঙ্গনে রাতের শো বসেছে। দর্শক হল কুলি-মজুর থেকে কামলা,মিস্ত্রি এবং রিক্সাওয়ালা সবাই আছে। খাজা বাবার ওরস উপলক্ষে গানের আসর। ঘোষক ঘোষনা দিল,
-খাজা বাবার গুন কীর্তন করতে স্টেজে আসছেন বাউল গায়িকা মমতাজ বানু।
দশ মিনিটের জন্য আমি থমকে দাঁড়ালাম কি ঘটে দেখার জন্য।
স্টেজে উঠে এলেন গায়িকা মমতাজ বানু। গান শুরু হল আউলা চুল নাচিয়ে নাচিয়ে।

ওরেও প্রাণ সোহাগী,ওরেও রসের ভাগি,
আইজকা কোন দিবস,
ধনের রাজা,প্রাণের রাজা
খাজা বাবার ওরস।
ওরে,রান্ধ যত পোলাউ-কোর্মা,রান্ধ যত ফির্নি,
তারচেয়ে মজা হায়রে খাজা বাবার শিন্নি।
গানের তালে তালে কিছু মুরুব্বি গোছের শুভ্র দাঁড়িওয়ালা লোকেরাও নাচছে। মাজারের মেইন গেটের সাথেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। মাজারে অনেকটা উৎসবের আমেজ। এক মহিলা বাউল গায়িকার গানই ভরিয়ে দিচ্ছে হাজারো মন্ডাভুক পুরুষের হৃদয়। মহিলার গলাটাও দশাসই।
বাজী ধরে বলতে পারি, কোন ভাঙ্গা বনের ফাটা বাশে যে আওয়াজ হয় তারচেয়ে কম হবে না।

আমাদের আজকের বাঙ্গালী বোনেরা আর নায়ক রিয়াজকে পছন্দ করে না। করে ম্যাট্রিক্স কিংবা অ্যাভাটর (AVATAR) ছবির নায়ককে, বলিউডের কিং খানকে তো অনেকে পছন্দ করা ছেড়েই দিয়েছেন। বয়স বেড়ে গেছে বলে কথা।
এখন তাঁদের পছন্দ নায়ক ইমরান হাশমী কিংবা রণবীর কাপুরকে।
দুই চারজন বান্ধবী মাঝে মাঝে আমাকে বলে তাদের জীবনের সেরা স্বপ্নগুলোর কথা। সেই স্বপ্ন হল পছন্দের নায়ককে জড়িয়ে ধরে লিপকিস করা, আর পারা গেলে তাদের সাথে এক বিছানায় রাত যাপন।
এখন আমার বান্ধবীদের মত আর কেউ যে এ দেশে নেই তা আমি স্বীকার করছি না।
অবশ্যই আছে। কিন্তু পুলিশ কি দেশের সব চোরদের ধরে প্রকাশ্য হাইকোর্টে চোর প্রমাণ করতে পারবে?
অধিকাংশই তো রয়ে যাবে ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
যাই হোক, কথা তা নয়। মেয়েদের বিষয়ে পুলিশকে টানা উচিত হবে না।
তাঁরা দেশের মহান কারিগর। বর্ষার সময় তাঁরা শুধু নৌকায় চড়েন, ওই সময়ে ধান না খেলেও চলে তাঁদের।
অবশ্য মন্দার সময় তাঁরা শুধু ধান খান। পর্বত প্রমাণ পানি আসলেও তখন তাঁরা নৌকায় উঠেন না।
আপনাদের এই মূহুর্তে একটা ধন্যবাদ দিতে চাই। না দিলে আমি ছেলে নিমকহারাম বলে গণ্য হব।
আপনাদের অনুপ্রেরণার পর আমি এই প্রবন্ধটি পার্ট আকারে প্রকাশে উৎসাহ পেয়েছি।
আশা করি সমালোচকরা আমাকে নিয়মিত পাগল বলবেন, (হাজার হোক,আমার গোত্রীয় বংশ কিনা!) আর যারা আমার গুণগান গেয়ে আমাকে এই ছিঁড়া-ফাড়া পথে চলতে সাহায্য করেছেন, তাঁদের আমি কথা দিচ্ছি, আগে পিছে আমি তাঁদের সাথেই থাকব। (একই পথের পথিক)
যাক, বহুত রসকষ হল। এবার কার কি হয়েছে তা নিয়ে আলোচনায় আসি। একটা গোপন কথা বলতে চাই।
সেটা হল, এই যে আমি মেয়েদের নিয়ে আশেপাশের এত ঘটনা লিখছি, এ ধরণের ঝুলি ভড়া এক্সপেরিয়েন্স আমার নিজেরও কিন্তু যথেষ্ট আছে। কিন্তু আমি এই ভেবে ভয়ে লিখছি না যে, একেতো অন্যের ঘটনা লিখাতেই তেনারা রেগে ফায়ার হয়ে আমাকে বিশিষ্ট সম্মানিত হিসাবে ঘোষনা করেন, আর যদি আমি নিজের ঘটনা লিখি, তাহলেতো কাজ সারা!
তেনারা এবার বলবেন যে আমি পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে মেয়েদের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছি।
তো দেশে যদি তেনাদের মত ওভার স্মার্ট, মাদ্রাসা পড়ুয়াহীন জলকুস মাস্টার না থাকত তাহলে আমি অবশ্যই অন্তত আপনাদের সৌজন্যে লিখতাম।
পাইকপাড়ায় ফারিয়া নামে আমাদের ফ্রেন্ডের এক বান্ধবী আছে। তার চেহারাটা আমার কাছে বেশ মায়াময় মনে হত।
কি কারণে আমি জানি না, এখনো মেয়েদের দেখলেই তাদের মুখে আমি রাজ্যের সরলতা আর চঞ্চল হরিণীর মত মায়াবী চাহনী দেখতে পাই।
সবাইকে তো আমি ভালবাসি না, তাহলে কেন সবার প্রতি এই মিছে আদর মিশ্রিত শুভেচ্ছা?
তবে কি এটা কারেক্টর লুজ?
না, তাহলে সেই সব তেনাদের মত আমিও মেয়েদের মুখে না তাকিয়ে আগে বুকে তাকাতাম।
তো সেই ফারিয়া যখন প্রেগনেন্ট হল, আমিতো অবাক। তাও আবার এস.এস.সি পরীক্ষা দেওয়ার অনেক আগেই।
আমার সেই ফ্রেন্ডটাই যে এ ঘটনা ঘটিয়েছে তার কোন গ্যারান্টি নেই। কারণ ওই ফ্রেন্ডের মত অন্তত আরো চার/পাঁচটা বয়ফ্রেন্ড আছে ফারিয়ার। তাদের যে কারো দ্বারাই তো এ ঘটনা ঘটাতে পারে ফারিয়া, নাকি?
এরপর সর্বশেষ ফারিয়াকে নিয়ে সবচেয়ে বেশী অবাক হলাম গত বছর এস.এস.সি পরীক্ষা শেষে। ফারিয়া একবার নয়, দুইবার নয়, তিন তিনবার গর্ভবতী হয়েছে!
শেষের দুইবারই ফ্যামিলির হাতে ধরা এবং উত্তম মাধ্যম খেয়েও কুকুরের লেজ বার বছরে সোজা না হওয়ার মত ঘটনা ঘটেছে।
আমার এ কথা বলার উদ্দেশ্য হল এই, একজন মানুষ, তা সে ছেলে হোক কিবা মেয়ে হোক। জীবনে যদি সে কখনো কঠিন কোন ঢুশ খায়, তাহলেই তার হুশ হয়ে যায়।
তবুও কিছু বেলায়েক,বেত্তমিজ তো থেকেই যায় শিক্ষার বাইরে। এখানে তারই উদাহরণ দিলাম।
আর ভাল লাগছে না। বিশ্বাস করুন, মেয়েদের এসব কুৎসা রচনা করার ইচ্ছে মোটেও আমার নেই।
কিন্তু তাদের কিছু চামচ আছে, যারা মেয়েদের নামে কিছু শুনলেই বাংলা ছবির নায়কের মত “তোর এত্ত বড় সাহস!” বলে ঝাপিয়ে পড়ে। আমি আসলে তাদেরই হুংকার শুনতে চাই।
পাশাপাশি যদি বাংলার নারীরাও নিজেদের গায়ের গন্ধ দূর করার একটু চেষ্টা চালায় আমার এ চামার মার্কা লেখা পড়ে, তো মন্দ কি।
এটুকু তো ভাবতে পারব। বাংলাদেশে আমার লক্ষ-কোটি মা-বোনেরা, যাদের শ্রদ্ধেয় পিতা-মাতা মহান একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন, সেই সব মহৎ প্রাণ লোকের কন্যাদের আমিই সঠিক পথে এনেছি।
অবশ্য তেনারা,
মানে যেইসব চামচের কথা বললাম, তারা যদি বাঁধা দেয়,তাহলে তারাই নিজেদের কর্মের জন্য একদিন নিজেরা ইয়া নাফসি করবে।



নারীর পেটে সমাজের বাচ্চা!
পার্ট-৪


সেদিন সহশিক্ষা এবং সহকর্মী হিসাবে মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেদের থাকার খুবই গুরুত্ব দিয়েছিলেন আপনাদের অনেকে। এখন যেই ঘটনা বলব তা শুনে আপনারাই বিচার করবেন যে সহকর্মী হিসেবে মেয়েদের প্রয়োজন কতটুকু।
বেশ কিছুদিন আগে গিয়েছিলাম মিরপুর দুই নম্বরে এক বিখ্যাত সুপার ভ্যালুশপে, ঢুকেছিলাম কিছু কেনাকাটার উদ্দেশ্যে। ভিতরে যেয়ে দেখি ছেলেদের চেয়ে মেয়ে কর্মীর সংখ্যাই বেশী। বেশীরভাগই পার্টটাইম জব করছে,স্টুডেন্ট তারা।
যেখানে কসমেটিকস পাওয়া যায় সেখানে এগোলাম আমি।
সুপার ভ্যালুশপে শোরুমের ভিতরেই গুদাম বা গোডাউনে যাওয়ার আলাদা দরজা থাকে,সেখান দিয়ে তাদের নিজস্ব লোকজন আসা-যাওয়া করে।
হঠাৎ সেখানের এক দরজায় আমার নজর আটকে গেল। জায়গাটা মিরপুরের সনি সিনেমা হলের পাশে বিখ্যাত সুপারভ্যালু শপের একেবারে ভিতরের দিকে। একটি মেয়ে,শপের কর্মী। হাতে কাগজ নিয়ে দরজা ঠেলা দিয়ে ঢুকল।
দরজার ফাঁক দিয়ে আমি স্পষ্ট একটা ছেলের হাত বেড়িয়ে আসতে দেখলাম। ছেলেটা মেয়ের গায়ের শার্ট ধরে সজোরে টান দিয়ে নিজের বুকের কাছে নিয়ে এল।
তারপর তাদের মাঝে বেশ কিছু ঘটনা ঘটে গেল। আমি ফিসফাস শব্দ আর উত্তেজিত ভঙ্গির কথা-বার্তা শুনতে পেলাম।
বুঝতে পারলাম তারা একজন আরেকজনকে পছন্দ করে।
ছেলেটার হাত পলকে পলকে মেয়েটার শরীরের বিভিন্ন স্থানে চলে যাচ্ছে। এভাবে প্রেম করে কোন লাভ নেই মেয়েটা কি তা বুঝছে না।
দেখা গেল পরে ছেলেটার কিংবা মেয়েটার পরিবার কেউ হয়তো বিয়েতে মত দিবে না।
আর আজকালকার মেয়েরা তো আর দুধে ধোয়া পানি নয়। তারা পুরুষের মতই এন্টারটেইনমেন্ট করতে পছন্দ করে। তাইতো কমবেশী সকল আধুনিক উগ্র মেয়েদের একাধিক বয়ফ্রেন্ড এবং সিঙ্গেল একটা লাভার অবশ্যই থাকে।
অবশ্য দুই/চারজন অতিবমেয়ে আছে। মানে তারা সম্ভবত ভুল ক্রমে পৃথিবীতে মেয়ে হয়ে এসেছে। কিন্তু তাদের আচার-আচরণ দেখে শুনে মনে হয় পরিপূর্ণ ছেলে। ভাগ্যিস তারা ছেলে হয়ে আসেনি বলে রক্ষা।
আসলে আর খবর থাকত না। যৌবনের শুরুতেই নিশ্চয়ই যৌন হয়রানিতে শীর্ষে উঠে গিনেস বুকে নাম লিখাত।
ওই সব মেয়েগুলোর ধারণা যার যত বেশী লাভার,তার তত বেশী ক্রেডিট। ক্রেডিট বুঝেন তো,তাহলে নাকি ওই মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে আর কাউকে চিন্তা করতে হবে না। সে একাই ছেলেদের ভেজে খেতে পারবে।
এই ধরণের মানষিকতার মেয়েরা যে কি করে আমাদের মত সমাজে আমাদেরই প্রশ্রয়ে আমাদের চারপাশে ঘুরে বেড়ায় তা আমার বোধগম্য নয়।
আপনাদের আশেপাশে তাকালেই বুঝতে পারবেন তাদের সংখ্যা কি আকারে বেড়ে গেছে।
এর মূল কারণ আমাদের সংস্কৃতি নামের মিডিয়ার বিভিন্ন বেহায়াপনা। তা আমি আগেও একবার উল্লেখ করেছি। এ সম্পর্কে আপনাদের হয়তো পরিপূর্ণ ধারণা নেই,কি করে মিডিয়া আমাদের তরুণ-তরুণীদের নষ্ট করছে।
ইদানিং আমরা আর সত্তর থেকে আশি দশকের মত ফিল্ম তৈরি করছি না। করছি ইন্ডিয়ার মত নগ্ন কুরুচি দেশের অশ্লীল ধারার ছবি। যার নগ্নতা ও যৌনতার ঢেউ দেখে আমাদের যুবক-যুবতি থেকে শুরু করে বয়স্ক লোকের মনেও প্রভাব ফেলে। তার প্রমাণ আমি নিজ হাতে পেয়েছি।
আমার এক পরিচিত আঙ্কেল আছেন, তাঁর তিন মেয়ে ও এক ছেলে আছে। তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নিয়মিত পড়েন। এলাকায় তাঁর যথেষ্ট সুনাম আছে ভাল চরিত্রের অধিকারি হিসেবে।
কিন্তু তাঁর বাসায় হিন্দি ফিল্ম,গান ও কালচার দেখে দেখে সকলেই রসাতলে গেছে।
তাঁর বড় মেয়ে সবে ক্লাস টেন পড়ুয়া। এরই মধ্যে সে সাতবার লাভার বদলেছে। তার মা, মানে ওই আঙ্কেলের স্ত্রী নিজের দেবরের সাথে অবৈধ যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছেন হিন্দি ফিল্ম দেখতে দেখতে।
আর আমার সেই ভাল চরিত্রের আঙ্কেল সর্বশেষ খবর অনুযায়ী দ্বিতীয় বিবাহ করেছেন।
সেই আঙ্কেলের হিন্দি সিরিয়ালের প্রতি প্রচন্ড আসক্তি ছিল এবং এখনো আছে।
সুতরাং বুঝতে বাকী নেই যে এই হিন্দি মিডিয়া আমাদের মুসলিম সমাজকে তিলে তিলে ধ্বংস করছে। একদিন আমাদের মুসলমানদের মাঝে যখন আল্লাহ বলার মত কেউ থাকবে না,তখনই কেয়ামত সংঘটিত হবে।
এ কথাও আমরা অনেকে হয়তো ভুলে গেছি। কারণ আমাদের তরুণীরা হিন্দি ফিল্মের নায়িকাদের পাছার দুলুনী দেখে একদিকে,তারা নাড়া দেয় আরেকদিকে।
এসব অশ্লীল বেহায়াপনাযুক্ত দৃশ্যাবলী দেখে সকলের মাথা হয়ে যাচ্ছে বিদঘুটে চিন্তা-ভাবনার অধিকারী। ফলে ইদানিং আমাদের সমাজের নারীদের অধিকাংশ এখন নষ্ট হয়ে গেছে। তারা বিবাহের পরও নিজের পুরানো বয়ফ্রেন্ড কিংবা লাভারদের যৌন আসক্তি পূরণ করে।
আমার এক ঘনিষ্ঠ ফ্রেন্ডের বান্ধবী (বিবাহিত মেয়ে) নিয়মিত সেই ফ্রেন্ডের যৌন মনোরঞ্জন করে। তার সাথে আমি কয়েকবার কথা বলেছি। এ জন্য তার মনে বিন্দুমাত্র অনুশোচনা নেই। বরং সে গর্ব করে আমার কাছেও এই কুরুচিপূর্ণ কাজের বর্ণনা দেয়।
আমি বর্তমানের নারীদের অবস্থা দেখে শুধু শঙ্কিত নই,বরং ভয়াবহ রকম আতঙ্কিত।
আমি বর্তমানের পুরুষদের একটা কথা বলে রাখছি। আপনারা যারা এখনো বিয়ে করেন নি,তাঁরা শতকরা একশভাগ দুশ্চিন্তাযুক্ত থাকুন যে স্ত্রী তাঁদের কপালে জুটবে তারা কখনোই পরিপূর্ণ কুমারী নয়। বরং তারা সময়ের চাহিদা পূরণের জন্য এক বা একাধিক পুরুষের সাথে ফষ্টিনষ্টি করেছে।
আপনি যদি বাসর রাতে আপনার স্ত্রীকে তার কুমারীত্ব বিষয়ে প্রশ্ন করেন,তাহলে যদি সে সৎ মানষিকতার হয়,তাহলে আপনার কাছে এভাবে কৈফিয়ত দিবে- “বিশ্বাস কর,আমি পরিস্থিতির স্বীকার হয়েছিলাম।”
স্ত্রী যখন অশ্রু বিসর্জন দিবে,তখন আপনি নিশ্চয়ই ক্ষমা না করে পারবেন না। এটা আমার বেলায়ও প্রযোজ্য।
কারণ এ কথা ঠিক যে পুরুষের একটা মন আছে। তবে হিংস্র যে দু’চারজন নেই তা আমি অস্বীকার করছি না। তবে পুরুষের পক্ষে যুক্তি হল তারা তখনই নারীকে আক্রমণ কিংবা আঘাত করে যখন তাদের সীমা ছাড়িয়ে যায়। এ ক্ষমতা যদি নারীকে দেয়া হত,তাহলে যে কি সাংঘাতিক ঘটনা ঘটত!
মেয়ে লোক প্রায় সময় কারণে অকারণে রেগে যায়। তাহলে পুরুষ মানুষকেও কারণে অকারণে মার খেতে হত মেয়েদের হাতে।
আমি যাকে ভালবাসি,তার রাগের সাথে আমার খুব ভাল করে পরিচয় আছে। সে রেগে গেল প্রায় সময় আমার গায়ে হাত তুলতেও দ্বিধা করেনা। উল্টো এতে সে কেমন যেন অমানুষিক তৃপ্তি পায়।
এ অবস্থা কিন্তু শুরু থেকেই ছিল না। বরং আমাদের সমাজের নানা রকম অসামাজিক আর অনৈতিক ব্যবস্থাপনা মেয়ে তথা নারী সমাজকে এই অধ্বর্মুখে ফেলেছে।
রাস্তা-ঘাটের কথা যদি ভাবেন,দেখবেন অনেক ধান্দাবাজ মেয়েদের দল আছে। তারা সেধে সেধে আপনার সাথে মিষ্টি মার্কা কথা বলবে। তারপর হয়তো হঠাৎ করে আপনার অসাবধানতার সুযোগ নিয়ে আপনাকে অন্ধকার রাস্তায় নিয়ে চেঁচিয়ে লোক জড়ো করে আপনাকে হেস্তনেস্থ করে আপনার টাকা পয়সা রেখে দেবে।
সুতরাং এ ধরণের ফাঁদ হতে সাবধান থাকবেন। পুরুষ জাতি হচ্ছে মাছের মত। আর নারীরা হল টোপ। টোপ দেখলে মাছ খেতে আসবেই। সুতরাং এই সমস্ত বেহায়াপনাময় এবং বার ভাতারযুক্ত মেয়েদের হতে সাবধান!