Friday, April 30, 2010

একুশে টেলিভিষনের অশ্লীল ভিডিও সম্প্রচার!


সম্প্রতি একুশে টেলিভিষনে সরকারী প্ররোচনায় বিভিন্ন অশ্লীল ধরণের নাটক প্রচারিত হচ্ছে যা ফ্যামিলী নিয়ে দেখার জন্য যথেষ্ট সঙ্কোচের ব্যপার। এসব নাটকগুলোতে আবার অভিনয় করছেন কিছু জনপ্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রী।

এমনিতেই বলিউডের কালচার ফলো করে আমাদের দেশে ইভটিজিং,মারামারি,খুন,ধর্ষণ,অবাধ যৌন সম্পর্ক ইত্যাদি কল্পনাতীতভাবে বেড়ে গেছে। তার উপর এখন আবার কিনা দেশীয়ভাবে এসব ছোট পর্দার নাটক তৈরি হচ্ছে।
তাহলে বাচ্চা এবং টিনএজাররা এই দেশ হতে কি শিখবে?
এ প্রশ্ন সরকার এবং পাগলের কাছে।
সম্প্রতি কিছুদিন আগে একুশে টেলিভিষনে ইউ টার্ন নামে একটি নাটক প্রচারিত হয়েছে যেখানে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় নাট্যাভিনেতা সজল এবং অভিনেত্রী রুমানা।
নাটকে বেশ কয়েকবার তাঁরা ঘনিষ্ঠ কিছু দৃশ্যে নিজেদের ক্যামেরার সামনে তুলে ধরেন। এইসব দৃশ্যগুলো বাংলাদেশের মত প্রেক্ষাপটে নাটকের জন্য খুবই আপত্তিকর।
অনেকখানি যেন সিনেমার রোমান্স দৃশ্য তৈরি করা হয়েছে নাটকটিতে। অন্তত প্রথম দর্শনে সকলের তাই মনে হবে।
ত্রিভুজ প্রেমের ধারা নিয়ে শুরু করে রুমানা এবং সজলের মিলন ঘটানো হয়েছে নাটকে। তার মাঝে তাদের ভালবাসার দৃশ্য,যেমন- একজন আরেকজনকে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরা,মুখের কাছাকাছি মুখ আনা,সজোরে রুমানার তলপেটে সজলের চাপ দেওয়া ছাড়াও বেশ কিছু আপত্তিকর দৃশ্য আছে এতে।
যা দেখে নাটক দর্শনার্থীরা নতুন কিছু অশ্লীলতা শিখে নিবে।

এমনিতেই আমাদের দেশ দুর্নীতিযুক্ত দেশ। এখানে দুর্নীতি দমন কমিশনের মূল অফিসের সামনেও ওপেন সিক্রেট দুর্নীতি হয়।
এছাড়া সেই দিন একই সাথে প্রথম আলোর মালিক এবং সম্পাদক মতিউর রহমান ওরফে বাচ্চুকে আদালতে দাঁড়াতে হয়েছে।
বড়জন ইন্ডিয়ার উলফার সাথে সখ্যতা গড়ে টাকার পাহাড় বানিয়েছেন। আর ছোট জন মতি ভাই সেই টাকা নিজে মেরে দিয়ে প্রথম আলোর কর্মীদের বেতন শুণ্যের ফাঁকে ঝুলিয়ে রেখেছেন।
সব জায়গায় যদি একই অবস্থা চলতে থাকে,তাহলে আমাদের মত হারামখোর বাঙ্গলীগণ কোথায় যাবে বলুন তো?
নাকি এই কথাগুলো তুলে দিয়ে আমরা আরো বড় কোন খারাপ হয়ে গেলাম?

No comments:

Post a Comment