Friday, April 30, 2010

আওয়ামীলীগের নেতারা না খেয়ে শুটকী হয়ে মরছেন!


দল ক্ষমতায় আসলেই যে নেতা-কর্মীদের “রাস্তা ভরা গাড়ি কিংবা জায়গা ভরা বাড়ি” থাকবে এটি সত্য নয়।
যারা ভাল তাঁরা ক্ষমতায় আসার পর থেকে চার বছরের জন্য দিন এনে দিন খেয়ে জীবন গুজরান করেন।
এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দল আওয়ামীলীগের কাহিণী।
এখানে কোন ধরণের দুর্নীতি চলে না। কঠোর সংগ্রাম ও অমানুষিক কষ্ট সহ্য করে দেশের সেবা করেন এ দলের নিবেদিত প্রাণ কর্মীরা।
তাঁদের সেবার গাড়ির গতিময়তায় বাংলাদেশ চলমান।
আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে লোকেরা স্লোগান দিচ্ছে,
চলছে গাড়ি, শশুরবাড়ি।
নেতারা শশুরবাড়ি যাওয়ার চেয়ে যাত্রাবাড়ি যাওয়া পছন্দ করেন।
আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীরা দেশের সেবা করতে করতে ডায়রিয়া,পাতলা পায়খানা,আমাশা ইত্যাদি সহ আরো বিভিন্ন মারাত্নক রোগে ভুগছেন।
যারা একটু বড় মানের নেতা,যেমন- ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, তিনি একটানা এগার মাস ধরে দেশের লোকের সেবা করতে করতে এখন দূরারোগ্য হার্টের ব্যাধিতে পড়েছেন। যেকোন সময় তাঁর প্রাণবায়ু বেরিয়ে যেতে পারে।
আচ্ছা, প্রাণ বায়ু বেরোবার সময় কি পাদ বের হয়?
বের হলেও আমার মনে হয় ওই সময়ের পাদে শান্তি থাকে না, জীবনের মাঝে দেওয়া পাদেই শান্তি থাকে।
পাদ নিয়ে কি কোন থিসিস করা হয়েছে? সে কথায় পরে আসি। আগে ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস-এর অবস্থা দেখি।
একমাস আগে রংপুরের এক অঁজপাড়াগায়ের ডাক্তার তাঁর হৃদরোগকে শনাক্ত করেছেন। টাকার অভাবে তিনি ঢাকা হতেও চিকিৎসা নিতে পারেন নি।
তাঁর ঘরে একবেলা চাল থাকে,তো পরের বেলা থাকে না।
এখানে হয়ত বিএনপির কোন নেতাকর্মীর হাত থাকতে পারে। তাঁরা অত্যন্ত চরিত্রবান একটি দলকে না খাওইয়ে ছিয়াত্তরের মনন্তরে ফেলতে চাইছে।
তবে বাংলার বুকে যতকাল রবে দামাল হারামজাদা,ততকাল এই আওয়ামীলীগের কিসসুটি হবে না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থাতো আরো করুণ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিনি গত দুদিন ধরে দানা-পানি কিছুই মুখে দেন নি। সামান্য ডায়রিয়া প্রতিরোধের জন্য আয়োডিনযুক্ত লবণ কেনার সামর্থ্যও তাঁর নেই।
ডাক্তার গুরু পাদা রায় ওরফে ভোদাই চন্দ্র ঘোষণা করেছেন, অতিরিক্ত পরিশ্রমের ও চিন্তার ফলে প্রধানমন্ত্রীর দেহে বিষাক্ত দুর্নীতিদমন কমিশনের ভাইরাস ঢুকে গেছে।
কবে নাগাদ এ থেকে তিনি মুক্তি পাবেন তার কোন ঠিক নেই। এছাড়া এই ভাইরাস হয়ত মারাত্নক রকমের পাগলামীও শুরু করে দিতে পারে।
আচ্ছা,প্রধানমন্ত্রীরা পাগল হলে তাঁরা কি করেন?
মাজারের সামনে উলঙ্গ নাচানাচি করা যায় কি?
নাকি তখন লজ্জা লাগে?
যাহ! এ বিষয়ে পরে আলোচনা হলে ভাল হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন টাকার অভাবে সিনেমায় অভিনয় করতে গিয়েছিলেন। পরিচালক কি বলেছেন জানেন?
-আপনি অভিনয় করতে চান?
-জ্বি ভাইজান।
-আপনাকে দিয়া অভিনয় হবে না। যারা অভিনয় করতে চায়, তাদের মোটা গলা লাগে।
-আমার মোটা গলা আছে, বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একটা ভাষন দেওয়ার মত করে হাম্বা ডাক দিলেন।
-আপনার হাম্বা ডাক হয় নাই। আমাদের নায়ক মেয়র মহিউদ্দিন ভাই এর চেয়ে সুন্দরভাবে হাম্বা ডাক দিতে পারেন। তাছাড়া হাম্বা ডাক বাদ দিলেও আপনি অতিরিক্ত সুন্দরী, এত সুন্দরী লোক মহিউদ্দিন ভাই পছন্দ করেন না।
গম্ভীর মুখে জবাব দিলেন পরিচালক সাহেব।
-ভাইজান, আমি সুন্দরী সেটা কোন সমস্যা না, দরকার হলে ইন্ডিয়া থেকে কাল হওয়ার মেকাপ নিয়ে আসব। জানেন তো ওদের মা কালীর বেদিতে কাল হওয়ার অনেক যন্ত্রপাতি আর প্রসাধনী আছে।
-তা ঠিক, তাহলে একটু নেচে দেখান তো দেখি।
-আমি নাচতে পারি না। তবে গান-কবিতা শুনতে চান তো শুনাতে পারি।
বলে পরিচালকের জবাবের অপেক্ষায় না থেকে সাহারা খাতুন গান-কবিতা শুরু করলেন।

১. তোমারে লেগেছে এত যে ভাল,
চাঁদ বুঝি তা জানে,হুউ,চাঁদ বুঝি তা জানে।
২. বস্তি আমি,হস্তি তোরা,
ঘাড় মটকে যাব মোরা।
এক,দুই,তিন চট্টাশ,
বোম ফাটে ফট্টাশ।
আন্ডা-বিচি ছিলিয়ে,
ঢাকা দিব জ্বালিয়ে।


গান-কবিতা শেষ হল। কেউ তালি দিল না দেখে সাহারা খাতুন নিজেই একটা ছোট্ট তালি দিলেন।
পরিচালক সাহেব ভুরু কুঁচকে খানিক্ষণ চিন্তা করলেন। সাহারা খাতুন বলে উঠলেন,
-ভাইজ্বান,আসল জিনিসটাই বাকী রয়ে গেছে, এখনো ভাষণ দেওয়া হয় নি। দিয়ে দিব নাকি?
-না না, তার দরকার নেই। আপনি সিলেক্টেড।
তাড়াতাড়ি বলে উঠলেন পরিচালক সাহেব।

সাহারা খাতুন এই চান্সে কেমন করে যেন বেঁচে গেলেন।
অথচ অন্যান্য নেতারা তখনো দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।
ফজলে নূর তাপসের অবস্থা তেমন ভাল নয়। সারাক্ষণ কি সব উল্টো-পাল্টা স্বপ্ন দেখে তাঁর ঘুম ভেঙ্গে যায়।
গত রাতে তিনি স্বপ্নে দেখেছেন তিনি একটা ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁর দুই পাশে দুইজন ঘোমটা দেওয়া জল্লাদ।
তিনি অবাক বিস্ময়ে আবিস্কার করলেন জল্লাদরা তাঁরই দুই স্ত্রী। ঘোমটা পড়ে ছিল বলে তিনি চিনতে পারেন নি।
তিনি প্রথম স্ত্রী চমচমকে প্রশ্ন করলেন,
-তুমি আমাকে মারতে চাও?
-চুপ হারামজাদা,সারাদিন খালি দেশের সেবা, আমাদের একটু আদর-সোহাগ করবি তা না, বরং সারাদিন মানুষের বাসায় বাসায় দেশের সেবার জন্য দৌড়াদৌড়ি। আজকে আগে তোর দেহের বিশেষ অঙ্গগুলো কাটব। তারপর তোর মুন্ডু কাটব।
তিনি আশা নিয়ে ছোট স্ত্রী পদ্মিনীর দিকে তাকালেন।
-শেষ পর্যন্ত তুমিও এই কাজটা করতে চাও?
-আমার দিকে তাকায়ে লাভ নাই। আমি আগে তোর কাপড় খুলে তোকে নেঙটো করব,তারপর তোর যেই সব দেশে যেতে মন চায় সেইসব দেশে ভ্রুমন করায়ে আনব। এ জার্নি টু ফেভারিট কান্ট্রি উইদাউট ক্লথস। লোকে জিজ্ঞ্যেস করলে বলব এই লোক পাগল হয়ে গেছে,এরে একটু আপনাদের দেশের টাট্টিখানায় চুবাতে হবে। হিহঃ হিহঃ......
বলে অকৃত্রিম হাসিতে ফেটে পড়লেন তাঁর ছোট স্ত্রী পদ্মিনী।
তাপস অবাক হয়ে ভাবলেন গ্রাম থেকে কি সহজ সরল মেয়েটাকে বিয়ে করে এনেছিলেন, এই কি সেই মেয়ে?
যে স্বামীর ভয়ে কথা বলতে পারত না। এখন কিনা তাঁকে তুই তোকারী করছে, কাপড় খুলে নেঙটো করিয়ে দেবে বলছে। আরো বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে কি করে যেন তাঁর স্ত্রী ইংলিশ কথাও বলতে পারছে।
পদ্মিনী না হয়ে শঙ্খিনী হওয়া উচিত ছিল তাঁর স্ত্রীর নাম।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর অবস্থা কিন্তু কম সিরিয়াস নয়। তাঁর ডায়রিয়ার ময়লা পরিস্কার করতে যেয়ে ডাক্তার গুরা পাদা রায় ওরফে ভোদাই চন্দ্র বমি করে ঘর ভাসিয়ে দিয়েছেন।
ছিহ, কি বিশ্রি অবস্থা!
ফজলে নূর তাপস এক রাতে শুকিয়ে চর্মসার হয়ে শুটকিতে পরিণত হয়েছেন।
চিটাগাঙ থেকে শুটকির নেক্সট এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট সাপ্লাই হয়ত তাঁর কপালে জুটবে না।
প্রধানমন্ত্রী,ব্যারিস্টার ও মেয়র সাহেব দেশের মানুষের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন। এ যাত্রা তাঁরা বেঁচে গেলে বাংলাদেশের জয় হবে এ ঘোষণা দিয়েছেন বিকল্প ধারার নেতা হাইকুম বাক্কুস গাফফার।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সাহায্য পাঠানোর দরকার নেই। তিনি এখন ঢালিউডে অভিনয় করে সুপারস্টারনী!!

প্রধানমন্ত্রীকে সাহায্য করুন এই ঠিকানায়,
সুইস ব্যাংক,
সঞ্চয়ী হিসাব নং-০০৭-৩২৫৯৮০
ক্র্যাশ পোস্ট নং-৩৬৫২
একাউন্ট ইনফরমেশন-হিডেন
টাইটেল-প্রাইম মিনিস্টার
কান্ট্রি-বঙ্গদেশ।
উত্তর শ্যামপুর,ইউএসএ।

No comments:

Post a Comment