Saturday, March 20, 2010

পৃথিবী বদলে যাচ্ছে,বদলে যাচ্ছে মেয়েরা!

শয়তান আগে শুধু এক প্রজাতিতে বন্দি ছিল,এখন সে ছাড়া পেয়ে গেছে। তার আর কোন বাঁধা কিংবা বাঁধন নেই। সে পুরুষ এবং মহিলা দুইজনের শরীরেই সমাবভাবে বিস্তার করতে পারছে। তবে আজকাল সে বোধহয় মেয়েদের শরীর নিয়ে খেলাধূলা করছে বেশী। তা না হলে আমাদের মুসলিম সমাজে মেয়েদের এই অধঃপতন কি কারণে খৃষ্টানদেরও ছাড়িয়ে যাচ্ছে তা আজকে গবেষণার বিষয়।
যখন আমাদের মুসলিম সমাজের মেয়েরা এত বেশী স্বাধীন ছিল না। বেঁচে থাকার মানে যখন তাদের ছিল শুধু মাত্র বিদ্যা চর্চা আর খুন্তি নাড়া দিয়ে শশুরবাড়িতে পৌছানো,তখন সমাজ ছিল আশাতিরিক্ত সুখি এবং সমৃদ্ধ।
যুগের হাওয়ার বাণে ভেসে গেল সেই মেয়েদের খোলস। পাল্টে গেল তাদের জীবনবিধি এবং আচরণ। এখন তাদের কারণে শুরু হয়েছে যত সব ফিতনা আর জাহেলী মার্কা কাজ-কারবার।
আমাদের পূর্বপুরুষেরা যে অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন তা নিয়ে এখন আর আমার মনে কোন সন্দেহ নেই। তাঁরা মেয়েদের স্বাধীনতার স্বত্তাকে সম্পূর্ণরূপে বাবা-মায়ের হাতে রাখা শ্রেয় মনে করতেন। আজ বুঝছি,তাদের এই ব্যবস্থার মত যুক্তিসঙ্গত ব্যবস্থা এখন আর আমেরিকা-রাশিয়ার মত প্রেসিডেন্টরাও করতে পারবেন না।
যখন মেয়েরা পরাধীনভাবে বাবা-মায়ের ইচ্ছা অনিচ্ছার উপরে সব কিছু ছেড়ে দিত,তখন আমাদের মুসলিম সমাজের অনেক বিখ্যাত মনীষী এবং মহিয়সীগণ মেয়েদের এই পরাধীনতার খোলসটাকে দুঃখের সমুদ্র মনে করে আবেগে আপ্লুত হয়েছিলেন। যা ছিল মারাত্নক ভুল।
তাঁরা মেয়েদের দয়া করে এ জগৎ সংসারের হাল তাদের ঘাড়ে দিয়ে দিয়েছিলেন। ফল এখন আমরা সবাই দেখছি।
আগের মত আর কারো হায়া নেই। সব,সব্বাই বেহায়া,বেশরম,বেলাজা,বেত্তমিজ মুষ্টিমেয় কিছু সংখ্যা বাদে।
তাদের অসামাজিক বলেন আর বেসামাজিক বলেন সমস্ত কাজ-কারবার এখন প্রতি পদে পুরুষকে টেক্কা দিয়ে হচ্ছে। সেই দিন আর বেশী দেরী নেই,যেদিন রাস্তা –ঘাটে কুকুর বিড়ালের মত জ্বিনা করবে নর-নারীরা।
আগে প্রায় টিভিতে কিংবা সংবাদে খবর দেখা যেত অমুক মেয়ে ধর্ষণ হয়েছে। কিন্তু গত কয়েক বছরে তা আশাতিত হারে কমে গেছে। কারণ সহজ,মেয়েরা পুরুষের মত কামুকে জীবন শুরু করেছে। তারা বিয়ের আগে হানিমুন করছে।
আর গত বছর দুই ধরে স্বয়ং মুসলিম সমাজে শুরু হয়েছে পুরুষ ধর্ষণ!
আশ্চর্য হলেও সতি,সেদিন পাকিস্তানে তিন শিল্পপতির মেয়ে এক অসহায় অল্পবয়স্ক বাচ্চা ছেলেকে ধরে আনে। তারপর তিন বান্ধবী মিলে সারারাত ছেলেটির সাথে পৃথিবীর সবচেয়ে আনন্দময় খেলায় নিমজ্জিত হয়। ছেলেটি প্রথমে রাজী হয়নি,কিন্তু তাকে জোর করে ধর্ষণ করে সেই কাজ করার জন্য বাধ্য করা হয়। ফলে যা হবার তাই হয়েছে। ছেলেটির যৌনাঙ্গ ফুলে ফেঁটে রক্ত বেড়িয়েছে এবং এই মূহুর্তে সে একটি হাসপাতালে চিকিৎসারত আছে।
আমরা অনেকে দিন বদলের গল্প শুনি। এই কি দিন বদল,এই কি পৃথিবীর বদলে যাওয়া?
সে প্রশ্ন পরেও করা যাবে। এখন পাকিস্তান থেকে ইন্ডিয়া এবং আমাদের দেশে আল্লাহ না করুন এই ধরণের ঘটনা না জানি ঘটে যায়!!
আমাদের বাবা-মায়েরা ছেলে-মেয়েদের প্রতি আরো বেশী সাবধান থাকবেন। ম্যাচিউড হলেও প্রয়োজন ছাড়া তাদের বাইরে বেরোতে দিবেন না।
কারণ একটি মেয়ে আরেকটি মেয়ের প্ররোচনায় পরে নষ্ট হয়। বাবা-মা ও ভাই-বোনেরা সাবধান।

No comments:

Post a Comment